ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতিতে সন্দেহ আছে: ইরান
Published: 29th, June 2025 GMT
ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি নিয়ে সন্দেহ আছে বলে জানিয়েছে ইরান। শনিবার দেশটির সামরিক বাহিনীর প্রধান আব্দুল রহিম মুসাভি এ কথা বলেছেন।
মুসাভি বলেছেন, “আমরা যুদ্ধ শুরু করিনি, তবে আমরা আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে আক্রমণকারীকে জবাব দিয়েছি, এবং যেহেতু শত্রুর যুদ্ধবিরতিসহ তাদের প্রতিশ্রুতি মেনে চলার বিষয়ে আমাদের গুরুতর সন্দেহ রয়েছে, তাই আমরা আবার আক্রমণ করলে শক্তির সাথে জবাব দিতে প্রস্তুত।
১৩ জুন ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানও হামলা শুরু করে ইসরায়েলে। ১২ দিনের মাথায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাড়াহুড়ো করে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, ইরানকে তার পারমাণবিক কর্মসূচি ত্যাগ করতে হবে।
যুদ্ধবিরতির পরেও ইরান জোর দিয়ে বলেছে, তারা তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি ত্যাগ করবে না। এমনকি দেশটির পার্লামেন্টে চলতি সপ্তাহে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ- এর সাথে সহযোগিতা বন্ধ করার বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাগে গুলির ম্যাগাজিন, উপদেষ্টা আসিফ বললেন ভুলবশত
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্যানিংয়ের সময় ব্যাগে অস্ত্রের গুলি রাখার ম্যাগাজিন পাওয়ার ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, ‘প্যাকিং করার সময় অস্ত্রসহ একটি ম্যাগাজিন বাসায় রেখে এলেও ভুলবশত আরেকটি ম্যাগাজিন ব্যাগে থেকে যায়।’
‘ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামে’ অংশ নিতে মরক্কোর মারাকেশে যাওয়ার সময়ে গতকাল রোববার সকালে বিমানবন্দরে স্ক্যানিংয়ের সময় উপদেষ্টার ব্যাগে ম্যাগাজিনের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এর ব্যাখ্যায় আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে আমার লাইসেন্স করা বৈধ অস্ত্র আছে। গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বের ওপরে যেভাবে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে কয়েক দফা, তাতে রাখাটাই স্বাভাবিক। যখন সরকারি প্রটোকল বা সিকিউরিটি থাকে না, তখন নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে লাইসেন্সড অস্ত্র রাখা।’
বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা বলেছেন, শনাক্ত হওয়ার পর উপদেষ্টা জানান, ভুলবশত এটি সেখানে রেখে দেওয়া হয়েছিল। উপদেষ্টা দুঃখ প্রকাশ করেন এবং পরে ম্যাগাজিনটি তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তার মাধ্যমে বিমানবন্দরের বাইরে পাঠিয়ে দেন।
আগ্নেয়াস্ত্রের নীতিমালা অনুযায়ী ৩০ বছরের বেশি বয়সী এবং আগের তিন অর্থবছরে এক থেকে তিন লাখ আয়কর পরিশোধকারী ব্যক্তিই লাইসেন্স পেতে পারেন। এ নিয়মের ফলে ২৭ বছরের আসিফ কীভাবে লাইসেন্স পেয়েছেন– এ প্রশ্ন ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যদিও নীতিমালায় বলা হয়েছে, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সমমর্যাদার ব্যক্তির জন্য আয়করের শর্ত প্রযোজ্য নয়। ৩২(২) ধারা অনুযায়ী, মন্ত্রী পদমর্যাদার ব্যক্তিদের জন্য উপদেষ্টার পদ মন্ত্রী মর্যাদার হওয়ায় আসিফের লাইসেন্স পেতে বাধা নেই।
বিমানবন্দরে গুলি-অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ। তার পরও ব্যাগে ম্যাগাজিন ব্যাখায় আসিফ লিখেছেন, ‘বিষয়টি সম্পূর্ণ আনইন্টেনশনাল। শুধু ম্যাগাজিন দিয়ে আমি কী করব ভাই? ইন্টেনশন থাকলে অবশ্যই অস্ত্র রেখে আসতাম না।’
আসিফ মাহমুদের ব্যাগের গুলি ম্যাগাজিন পাওয়ার খবর রোববার একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয়। কিছুক্ষণ পর ব্যাখ্যা ছাড়াই এ খবর সরিয়ে নেওয়া হয়। চাপ দিয়ে সংবাদ সরানোর অভিযোগ নাকচ করেছে করেছেন উপদেষ্টা। তিনি লিখেছেন, ‘এই ঘটনার পর আমি টিমসহ টানা ১০ ঘণ্টা ফ্লাইটে ছিলাম। ট্রানজিটে নেমেও দীর্ঘক্ষণ পর অনলাইনে এসে দেখতে পাচ্ছি, যে এত কিছু ঘটেছে। নাগরিক হিসেবে আপনারও যদি নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে, যথাযথ নিয়ম ফলো করে আপনিও অস্ত্রের লাইসেন্স করতে পারেন।’