পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে অংশীজনদের মাসিক সমন্বিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বর্তমান বাজার পরিস্থিতিসহ পুঁজিবাজারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা হয়েছে। আগামীতেও মাসিক সমন্বয় সভা আয়োজন অব্যাহত থাকবে। সর্বাপরি বিএসইসি ও অংশীজনদের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধিতে এ সভা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রবিবার (২৯ জুন) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো.

আবুল কালামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

শেয়ার মানি ডিপোজিটকে প্রেফারেন্স শেয়ারে রূপান্তর করবে তিতাস গ্যাস

প্রথম কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান

বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, বিএসইসির কমিশনার মো. আলী আকবর, বিএসইসির কমিশনার ফারজানা লালারুখ, বিএসইসির কর্মকর্তা এবং পুঁজিবাজার অংশীজন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের শীর্ষ প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. মোমিনুল ইসলাম, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবদুল মোতালেব, সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল) এর বাবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আ স ম খায়রুজ্জামান, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এর সভাপতি মাজেদা খাতুন, ডিএসই’র পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্বিক আহমেদ শাহ, ভিআইপবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সিইও শহীদুল ইসলাম, দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি)’র কাউন্সিল সদস্য সাব্বির আহমেদ, পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য মাজেদুর রহমান, ডিবিএর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মো. সাইফুদ্দিন, বিএমবিএর ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়াদ মতিন, বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটস (বিএএসএম) এর মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) এর কোম্পানি সচিব এ এস এম সায়েম, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পুঁজিবাজারের অংশীজনদের সাথে পুঁজিবাজারের বর্তমান বাজার পরিস্থিতিসহ পুঁজিবাজারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা হয়েছে। সভার শুরুতে বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী পুঁজিবাজারের উন্নয়নে গৃহীত উদ্যোগ এবং পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’র সুপারিশ ও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ, পুঁজিবাজারের অংশীজনদের বিভিন্ন প্রস্তাবনার ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণসহ পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়ন ও সংস্কারের অগ্রগতির আপডেট তুলে ধরেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে পুঁজিবাজারে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি তালিকাভুক্তকরণ, পুঁজিবাজারে কর ছাড়ের সুবিধা বৃদ্ধি, মিউচুয়াল ফান্ড খাতের উন্নয়ন, স্টক এক্সচেঞ্জসহ পুঁজিবাজার অংশীজন প্রতিষ্ঠানসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি, সরকারি নীতি সহায়তা ও নীতির স্থিতিস্থাপকতা বা ধারাবাহিকতা (কন্সিস্টেন্সি) নিশ্চিতকরণ, পুঁজিবাজার ও আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়ায় ইস্যু ম্যানেজার ও অডিটরদের ভূমিকা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিতকরণ, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিতকরণ, সিসিবিএল এর বাস্তবায়ন, পুঁজিবাজারের বিদ্যমান বাজার কাঠামোর আধুনিকায়ন, নেগেটিভ ইক্যুইটির সমাধান, স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ট্রেজারি বন্ডের প্রাইমারি অকশন চালুকরণ, স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ট্রেজারি বন্ডের সেকেন্ডারি লেনদেন সহজীকরণ, কর্পোরেট বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন ও এর তারল্য বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ, পুঁজিবাজারে অনিয়ম ও কারসাজি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, সর্বস্তরে বিনিয়োগ শিক্ষার প্রসার ও বিকাশ, পুঁজিবাজার উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট গবেষণাকে উৎসাহিতকরণ, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

পুঁজিবাজারের টেকসই সংস্কার ও উন্নয়নের স্বার্থে আইনসংক্রান্ত সংশোধনসমূহ অন্যান্য পদক্ষেপসমূহ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলে বিএসইসির পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়। সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি পুঁজিবাজারের বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত এবং প্রস্তাব তুলে ধরার জন্য বাজার অংশীজনদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আগামীতেও পুঁজিবাজারের অংশীজনদের সাথে বিএসইসির মাসিক সমন্বয় সভা আয়োজন অব্যাহত থাকবে এবং সর্বাপরি বিএসইসি ও পুঁজিবাজারের অংশীজনদের মাঝে সমন্বয় বৃদ্ধি পাবে।

ঢাকা/এনটি/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ব জ র র অ শ জনদ র ব এসইস র ব যবস থ ড এসই সমন ব

এছাড়াও পড়ুন:

তিন ব্যাংকের ২৩০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

তিন ব্যাংকের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা মূল্যের বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির ৯৭৫তম কমিশন সভায় এই বন্ড অনুমোদন করেছে কমিশন। বিএসইসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

আরো পড়ুন:

প্রিফারেন্স শেয়ার, বন্ডের বিনিয়োগ সিআইবিতে রিপোর্ট করতে নির্দেশ

পুঁজিবাজারে সূচকের পতনে সপ্তাহ শুরু, কমেছে লেনদেন

ব্র্যাক ব্যাংক:
ব্র্যাক ব্যাংকের ১০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউট, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, কুপন রেয়ারিং, ফ্লোটিং রেট, সোস্যাল সাবর্ডিনেট বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিশন। যার কুপন রেট হবে রেফারেন্স রেট প্লাস ২ দশমিক ৫০ শতাংশ কুপর মার্জিন। এটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা।

বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ব্র্যাক ব্যাংকের টিআর-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করা হবে। বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এছাড়াও বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল: 
কমিশন সভায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউট, নন-কনভার্টিবল,রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট সাবর্ডিনেট বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিশন। যার কুপন রেট হবে রেফারেন্স রেট প্লাস ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন। এটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য এক লাখ টাকা।

বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংকের টিআর-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করা হবে। বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।এছাড়াও বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।

ট্রাস্ট ব্যাংক: 
কমিশন সভায় ট্রাস্ট ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউট, নন কনভার্টিবল, রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট সাবর্ডিনেট বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিশন। যার কুপন রেট হবে রেফারেন্স রেট প্লাস ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন। এটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য এক লাখ টাকা।

বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ট্রাস্ট ব্যাংকের টিআর-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করা হবে। বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এছাড়াও বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগ আদৌ ফল দেবে কি
  • ফেসবুকে বিজ্ঞাপন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, বিনিয়োগ প্রতারণার ফাঁদ
  • তিন ব্যাংকের ২৩০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন