তিন ব্যাংকের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা মূল্যের বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির ৯৭৫তম কমিশন সভায় এই বন্ড অনুমোদন করেছে কমিশন। বিএসইসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

আরো পড়ুন:

প্রিফারেন্স শেয়ার, বন্ডের বিনিয়োগ সিআইবিতে রিপোর্ট করতে নির্দেশ

পুঁজিবাজারে সূচকের পতনে সপ্তাহ শুরু, কমেছে লেনদেন

ব্র্যাক ব্যাংক:
ব্র্যাক ব্যাংকের ১০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউট, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, কুপন রেয়ারিং, ফ্লোটিং রেট, সোস্যাল সাবর্ডিনেট বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিশন। যার কুপন রেট হবে রেফারেন্স রেট প্লাস ২ দশমিক ৫০ শতাংশ কুপর মার্জিন। এটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা।

বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ব্র্যাক ব্যাংকের টিআর-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করা হবে। বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এছাড়াও বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল: 
কমিশন সভায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউট, নন-কনভার্টিবল,রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট সাবর্ডিনেট বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিশন। যার কুপন রেট হবে রেফারেন্স রেট প্লাস ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন। এটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য এক লাখ টাকা।

বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংকের টিআর-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করা হবে। বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।এছাড়াও বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।

ট্রাস্ট ব্যাংক: 
কমিশন সভায় ট্রাস্ট ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউট, নন কনভার্টিবল, রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট সাবর্ডিনেট বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিশন। যার কুপন রেট হবে রেফারেন্স রেট প্লাস ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন। এটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য এক লাখ টাকা।

বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ট্রাস্ট ব্যাংকের টিআর-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করা হবে। বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এছাড়াও বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে বিজ্ঞাপন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, বিনিয়োগ প্রতারণার ফাঁদ

ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে ঝকঝকে বিজ্ঞাপন, সেখানে অল্প সময়ে শেয়ারবাজারে বড় মুনাফার প্রতিশ্রুতি। বিজ্ঞাপন থেকে নিয়ে যাওয়া হয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে, সেখানে সাজানো প্রশংসা আর তথাকথিত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ। এরপর ভুয়া ওয়েবসাইট বা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপে নিবন্ধন করিয়ে শেষ ধাপে বিকাশ বা নগদে টাকা পাঠাতে বলা হয়। এভাবেই গড়ে উঠেছে এক বহু-প্ল্যাটফর্ম প্রতারণার জাল।

ডিসমিসল্যাবের এক মাসের অনুসন্ধানে এই স্কিমের বিস্তার স্পষ্ট হয়েছে। শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই পাওয়া গেছে অন্তত ১৫টি ফেসবুক পেজ থেকে চালানো শত শত বিজ্ঞাপন, যেগুলোর লক্ষ্য ছিল নতুন নতুন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মানুষ টেনে নেওয়া। এমন অন্তত ২০টি গ্রুপ শনাক্ত হয়েছে, যেখানে সদস্যসংখ্যা সব মিলিয়ে ৩ হাজারের বেশি। গ্রুপগুলো চালানো হচ্ছে দুটি বৈধ ব্রোকারেজ হাউজের নামে: সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড (সিবিএল) এবং ব্র্যাক ইপিএল সিকিউরিটিজ।

ডিসমিসল্যাবের গবেষকেরা গ্রাহক সেজে একাধিক গ্রুপে যোগ দিয়ে গোটা প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছেন। সিবিএল গ্রুপে বিনিয়োগকারীদের পাঠানো হয় একটি ভুয়া অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপে, আর ব্র্যাক গ্রুপে নিয়ে যাওয়া হয় একটি ভুয়া ওয়েবসাইটে। তারপর ব্যাংক এবং বিকাশ ও নগদের মতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবার মাধ্যমে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা লেনদেন করা হয়। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রতারকেরা বৈধ ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্ট এড়িয়ে সরাসরি নিজেদের পকেটে টাকা তুলছে।

বিজ্ঞাপনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেনের মতো বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তির ছবি ও পরিচয় ব্যবহার হচ্ছে।

ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ডিসমিসল্যাবকে জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, সিআইডিকে লিখিতভাবে এই প্রতারণা সম্পর্কে জানিয়েছেন। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন থেকে এক দফায় সাবধানও করা হয়েছে। কিন্তু এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত বেশির ভাগ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ সক্রিয় ছিল এবং ফেসবুকে প্রতিদিন নতুন নতুন বিজ্ঞাপনও চলছিল।

এর আগে ভারতেও একই ধরনের প্রতারণা দেখা গেছে, যেখানে সামাজিক মাধ্যম-মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম-ভুয়া ওয়েবসাইট ব্যবহার করে শেয়ারবাজারে উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে সাধারণ গ্রাহকদের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।

প্রযুক্তি যেভাবে প্রতারণাকে সহজ করেছে

এই স্কিমের প্রতিটি ধাপে আছে প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মের দায়। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে নামসর্বস্ব অ্যাকাউন্ট দিয়ে শত শত বিজ্ঞাপন চালিয়ে ব্যবহারকারীদের টেনে নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এই অনুসন্ধান চলাকালে মেটা অ্যাড লাইব্রেরি থেকে যে চার দিন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, তাতে দেখা যায় বিভিন্ন পেজ থেকে শুধু এক দিনেই ৫০টির বেশি বিজ্ঞাপন চলতে দেখা গেছে। যে ১৫টি পেজ থেকে বিজ্ঞাপনগুলো চালানো হয়েছে, সেগুলো এক বছরের বেশি সময় ধরে সক্রিয়, বিজ্ঞাপন চালানো ছাড়া তাদের প্রোফাইলে আর কোনো কার্যক্রম নেই, অ্যাডমিনদের বেশির ভাগের অবস্থান ভিয়েতনাম বা যুক্তরাষ্ট্রে। দুটিতে বাংলাদেশি অ্যাডমিনও রয়েছে।

এরপর আসে এনক্রিপটেড মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ, যেখানে ভুয়া নাম ও পরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের নামে গ্রাহকদের বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করা হচ্ছে। ২০টি গ্রুপ নথিবদ্ধ হয়েছে এই এক অনুসন্ধানেই। এই কাজে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের অসংখ্য মোবাইল নম্বর ব্যবহার হচ্ছে, যার নিবন্ধন কীভাবে কার নামে হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যে ৫টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপকে ডিসমিসল্যাব পর্যবেক্ষণ করেছে, তাদের অ্যাডমিন, বিশেষজ্ঞ ও প্রশংসাকারীদের ২৯টির বেশি ফোন নম্বর শুধু এই অনুসন্ধানেই নথিবদ্ধ করা হয়েছে।

এরপর রয়েছে এআইয়ের ব্যবহার। শুরু বিজ্ঞাপন থেকে। ফেসবুকে যে বিজ্ঞাপনগুলো (প্রায় ৪০টি) বিশ্লেষণ করা হয়েছে, সেগুলোর ভাষা যান্ত্রিক এবং কোথাও কোথাও ছবিগুলো প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে এআই দিয়ে তৈরি বলে মনে হয়েছে। যেমন ‘জেসিকা পেগি বোলিন’ নামের একটি পেজের বিজ্ঞাপনে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ছবিটি এআই দিয়ে সম্পাদনা করা এবং বিজ্ঞাপনটির গ্রাফিক্স কার্ডে লেখা, ‘লক্ষ্য মূল্য: ৳৫৬৯। পরবর্তী মাসে প্রত্যাশিত। এটি বেড়ে ৳১২৬৮ হয়েছে। ৫০টি শেয়ার কিনুন। এখনই কিনুন এবং ৳৬০০০০ পান।’ বাক্য গঠন ইংরেজি ভাষার মতো। একই ক্যাপশনে আরেকটি বিজ্ঞাপনে ড. জাহিদ হোসেনের ছবিও যুক্ত থাকতে দেখা যায়।
অন্তত ৪০টি বিজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তাদের আধেয় যান্ত্রিক (মেশিন জেনারেটেড) এবং বার্তা প্রায় একই রকমের। প্রতিটি গ্রুপের প্রচারণায় একই পেজ থেকে কয়েকটি নির্দিষ্ট থিমে গ্রাফিকস কার্ড তৈরি হচ্ছে এবং তাতে বাংলা-জানা কোনো মানব-নজরদারি নেই।

একই দশা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মেসেজগুলোতেও। ডিসমিসল্যাবের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বিশেষজ্ঞ বা অ্যাডমিনরা যে মেসেজগুলো দিচ্ছেন তা যান্ত্রিক ভাষার এবং প্রায়ই ইংরেজি টেক্সটের আক্ষরিক অনুবাদ। যেমন একটি গ্রুপে নুসরাত জাহান লিখেছেন, ‘বন্ধুত্বপূর্ণ স্মরণিকা: গ্রুপটি শিগগিরই অস্থায়ী নীরব অবস্থায় যাবে। সুস্পষ্ট তথ্য সংক্রমণ নিশ্চিত করা এবং প্রতিটি সদস্যের অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার উদ্দেশ্যে, গ্রুপটি একটি অস্থায়ী নীরব সময়কাল অতিক্রম করবে।’ এখানে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ স্মরণিকা’ মানে হলো ‘ফ্রেন্ডলি রিমাইন্ডার’। এমনকি প্রশংসাকারীদের মেসেজও যান্ত্রিক। গ্রুপে বার্তা প্রেরণের সময়, মেসেজের হুবহু মিল এবং প্রশ্নের উত্তরে ছাঁচেঢালা উত্তরগুলো গ্রুপ পরিচালনায়ও অটোমেশনের ইঙ্গিত বহন করে।

একইভাবে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল তাদের প্লে স্টোরে সিটি ব্রোকারেজের আদলে তৈরি ভুয়া ট্রেডিং অ্যাপকে জায়গা করে দিচ্ছে। বিকাশ ও নগদের মতো পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে প্রতারকেরা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর সুযোগ পাচ্ছে।

প্রতারণায় এমএফএসের এই ব্যবহার নিয়ে অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এখানে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর আইনি দায় থাকুক বা না থাকুক, নৈতিক দায় অবশ্যই আছে। কারণ তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রতারণা করা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এতে করে তাদের ওপর ব্যবহারকারীরা বিশ্বাস হারাবেন, যা তাঁদের ভবিষ্যৎ ব্যবসার প্রসারে বাধার কারণ হবে।’

বাংলাদেশের অন্যতম এমএফএস প্রতিষ্ঠান বিকাশের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পিআর শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম ডিসমিসল্যাবকে বলেন, ‘অনলাইন প্রতারণাসহ সংশ্লিষ্ট সব অবৈধ লেনদেন প্রতিরোধে নিয়মিত তদারকি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিকাশ-এর যথাযথ প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষিত কর্মী বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে।’ তিনি জানান, বিভিন্ন ধরনের অবৈধ লেনদেন প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগের অংশ হিসেবে তাঁরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দেন।

প্রতারণার আকার ক্রমেই বড় হচ্ছে

ডিসমিসল্যাবের সব প্রমাণই বলবে, এটি একটি প্রতারণামূলক স্কিম। এখানে নামকরা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় নকল করা হচ্ছে, প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্ব বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সেজে মানুষকে শেয়ারবাজারে নির্দিষ্ট শেয়ারে বিনিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, অনুমোদিত সাইট বা অ্যাপ তৈরি করে টাকা লেনদেন হচ্ছে। এমন প্রতারণায় যে মানুষ সব হারান তার সাম্প্রতিকতম নজির ভারতেই আছে।

ফেসবুক পেজ, বিজ্ঞাপনের ধরন ও প্রতারণার স্কিম–এর সঙ্গে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের সম্পৃক্ততারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। ডিসমিসল্যাব অনুসন্ধানে পাওয়া ২৯টি নম্বরের মধ্যে অ্যাডমিন ও কথিত বিশেষজ্ঞদের ২৩টি নম্বরে সরাসরি এবং ১২টি নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপে কল দিয়েছে। সরাসরি সংযোগে নম্বরগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যপেও কেউ কল ধরেনি। একটি গ্রুপ থেকে শুরুতেই ডিসমিসল্যাবের প্রতিনিধিকে বের করে দেওয়া হয়।

এ ধরনের প্রতারণা নিয়ে এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন বেরিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘তারা ছোট অঙ্কের লাভ দেখিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে, পরে বড় বিনিয়োগের জন্য উৎসাহিত করে এবং টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিনিয়োগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এবং এভাবে বিভিন্ন প্রতারক চক্র সামাজিক মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ক্রমবর্ধমান হারে মানুষকে প্রতারিত করছে।’

বিষয়টি জানতে পারার পর সিটি ব্রোকারেজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএসইসি ও পুলিশকে জানানো হয়েছে। ব্র্যাক ইপিএল কর্তৃপক্ষ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। এসইসি থেকে সতর্ক থাকতেও বলা হয়েছে। কিন্তু সমাধান হয়নি।

ব্র্যাক ইপিএলের প্রধান নির্বাহী আহসানুর রহমান বলেন, ‘তাদের নাম ও লোগো দেখে অনেকে এসব গ্রুপে যোগ দিচ্ছেন এবং বিশ্বাস করছেন। এতে বিনিয়োগকারীরা যেমন ঝুঁকিতে পড়তে পারেন, তেমনি প্রতিষ্ঠানেরও সুনাম ক্ষুণ্ন হতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফেসবুকে বিজ্ঞাপন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, বিনিয়োগ প্রতারণার ফাঁদ