বাজেট স্মার্টফোন থেকে অনেকের কিছুটা বাড়তি প্রত্যাশা রয়েছে। ঠিক এমন গ্রাহকের কথা বিবেচনা করেই এ৩এক্স মডেলের ডিজাইন করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড।
নতুন মডেলে রয়েছে মিলিটারি-গ্রেড শক রেজিসট্যান্স, যা ১.২ মিটার পর্যন্ত উচ্চতা থেকে পড়লে বা যে কোনো দিক থেকে আসা আঘাতের পর মডেলটি সচলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
অন্যদিকে, যুক্ত হওয়া মাল্টিপল লিকুইড রেজিসট্যান্স ও স্প্ল্যাশ টাচ প্রযুক্তির কারণে হাত ভেজা থাকলেও মডেলটি সচল থাকবে বলে নির্মাতা জানায়। অনাকাঙ্ক্ষিত আবহাওয়া বা হঠাৎ ছিটে আসা পানির ক্ষেত্রে এর সুরক্ষা রয়েছে। জানা গেছে, এতে রয়েছে ব্যাটারি ৫১০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ও ৪৫ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জ সুবিধা। ৩০ মিনিটে ৫০ শতাংশ চার্জ আর ৭৪ মিনিটে পূর্ণ চার্জ হয়। মডেলের ইন্টেলিজেন্ট স্মার্ট চার্জিং ফিচার প্রতিদিনের ব্যবহারিক অভ্যাস থেকে শিখতে সক্ষম, যা ব্যাটারির লাইফকে দেয় বাড়তি সময়।
উল্লেখযোগ্য কোনো ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই কয়েক বছর ব্যবহার করা যাবে। ডিসপ্লেতে রয়েছে হাজার নিটস, যা প্রখর সূর্যের আলোতে স্ক্রিনের স্বচ্ছ অভিজ্ঞতা দেবে। অপো বাংলাদেশ অথরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং বলেন, সব ধরনের গ্রাহককে গুরুত্ব দিয়ে ডিজাইন করি। বাজেটে এ৩এক্স মডেলের মাধ্যমে আমরা এমন মডেল এনেছি, যা প্রতিদিনের ফোন চালানোর সুবিধার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। সংস্করণে রয়েছে
৪ জিবি র্যাম আর ৬৪ জিবি স্টোরেজ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শ্বশুরবাড়িতে যুবককে ‘গলা কেটে হত্যাচেষ্টা’, পাশের ঘরে খোঁড়া হয়েছিল গর্ত
ফরিদপুরের সদরপুরে শ্বশুরবাড়িতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার মুন্সি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির স্ত্রী লাবণী আক্তারকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর তাঁর শাশুড়ি শহিদা বেগম (৪৯) ও দাদিশাশুড়ি জনকী বেগম (৬২) পলাতক।
ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম ফরহাদ ব্যাপারী ওরফে ঠান্ডু (৩৫)। তিনি সদরপুর উপজেলার ছলেনামা এলাকার ব্যাপারীডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা। ঢাকায় তাঁর একটি ওয়ার্কশপের ব্যবসা রয়েছে। ভাষানচর ইউনিয়নের মুন্সি গ্রামের প্রবাসী জাহাঙ্গীর মিয়ার মেয়ে লাবণী আক্তারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরহাদ ব্যাপারীকে রাতের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। তিনি ঘুমিয়ে পড়লে রাত দেড়টার দিকে স্ত্রী, শাশুড়ি ও দাদিশাশুড়ি মিলে কাস্তে দিয়ে গলা কাটার চেষ্টা করেন। হত্যাচেষ্টার আগে পাশের ঘরের বারান্দায় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছিল। এ সময় ফরহাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। এর আগেই ওই তিন নারী পালিয়ে যান। এলাকাবাসী আহত ফরহাদকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং সদরপুর থানায় খবর দেন।
ফরহাদ ব্যাপারীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জমি কেনার জন্য ফরহাদ তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়িকে ১১ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। তাঁরা জমি না কিনে টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই ঘটনার জেরেই হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এই হত্যাচেষ্টা পূর্বপরিকল্পিত। টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ফরহাদের স্ত্রী লাবণীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।