হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু
Published: 10th, July 2025 GMT
দেশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে দীর্ঘ ৭ মাস পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে।
বৃহম্পতিবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় ভারত থেকে দুটি মরিচ বোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে।
ভারতে ঝারখান রাজ্য থেকে গঙ্গেস্বরি ইন্টারন্যাশনাল নামের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মরিচ রপ্তানি করছে। আর হিলি বন্দরের এনপি ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মরিচগুলো আমদানি করে।
আরো পড়ুন:
হিলি স্থলবন্দরে সব কার্যক্রম বন্ধ
হিলি কাস্টমসের কর্মবিরতিতে শুল্কায়ন স্থবির
সম্প্রতি দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি শুরু করেছেন বলে জানান আমদানিকারকরা। এর আগে, গত বছরের ১৫ নভেম্বর এই বন্দর দিয়ে সর্বশেষ কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পি জানান, সম্প্রতি দেশে অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে মরিচ ক্ষেত নষ্ট হয়ে সংকট দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে দাম নিয়ন্ত্রণহীণ হয়ে পড়েছে। তাই ব্যাবসায়ীরা ভারত থেকে আমদানি শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে পুরোদমে আমদানি শুরু হবে। এতে দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।”
এদিকে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে হিলি বন্দর বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কেজিতে ১৩০ টাকা। আমদানি খবরে হিলি বন্দর এলাকায় কাঁচা মরিচের দাম কমতে শুরু করেছে।
ঢাকা/মোসলেম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক চ মর চ আমদ ন আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে ভূখণ্ড নিয়ে ‘কোনো আপস’ হয়নি: রুশ কর্মকর্তা
যুদ্ধের ইতি টানতে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ‘কোনো আপস’ হয়নি। মস্কোয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর এক রুশ কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও প্রেসিডেন্টের জামাতা জ্যারেড কুশনার মঙ্গলবার ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে মারাত্মক যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতার অংশ হিসেবে তাঁরা এ বৈঠক করেন। এ বৈঠক প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে এবং মধ্যরাতের পর শেষ হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্রেমলিনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা কোনো আপসে পৌঁছাতে পারিনি। তবে মার্কিন কিছু প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা এগোতে পারে।’
উশাকভ মঙ্গলবারের আলোচনাকে ‘খুবই ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ উল্লেখ করলেও তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ওয়াশিংটন ও মস্কো— উভয় পক্ষের সামনে এখনো অনেক কাজ বাকি।’
মার্কিন প্রতিনিধিদল একটি শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে রাশিয়ার রাজধানীতে গিয়েছিল। সেখানে আগের ফাঁস হওয়া ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনার খসড়ার হালনাগাদ সংস্করণ নিয়ে আলোচনা হয়। ফাঁস হওয়া ‘খসড়াটি রাশিয়ার পক্ষে গেছে’— ইউক্রেন ও দেশটির মিত্রদের এমন কঠোর সমালোচনার মুখে ওয়াশিংটন এতে পরিবর্তন আনে।
কিয়েভ ও ইউরোপের পাল্টা প্রস্তাবটিরও নিন্দা করেছে ক্রেমলিন। পুতিন বারবার বলে আসছেন, এটি তাঁর দেশের কাছে ‘অগ্রহণযোগ্য’।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মস্কো, রাশিয়া; ২ ডিসেম্বর, ২০২৫।