পণ্য আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে ডকুমেন্টারি কালেকশন পদ্ধতির লেনদেনে আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন মেনে চলতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের যথাযথভাবে অবহিত করতে বলা হয়েছে।

রবিবার (১৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) প্রকাশিত ইউনিফর্ম রুলস ফর কালেকশনস (ইউআরসি) এর সর্বশেষ সংস্করণ অনুসরণ করে আমদানি-রপ্তানি লেনদেন সম্পন্ন করতে হবে।

আরো পড়ুন:

স্টার্ট-আপ খাতে অর্থায়ন সহজ করতে মাস্টার সার্কুলার জারি

জুলাইয়ের ৬ দিনে রেমিট্যান্স এল ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি

বর্তমানে প্রচলিত আমদানি নীতিমালা ও রপ্তানি নীতিমালার আলোকে এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন সংক্রান্ত নির্দেশনা অনুসারে, অল্টারনেটিভ পেমেন্ট (ক্যাশ ইন অ্যাডভান্স, ডকুমেন্টারি কালেকশন এবং ওপেন অ্যাকাউন্ট) পদ্ধতিতেও বৈধ বাণিজ্যিক লেনদেন করতে পারবে। তবে এসব বিকল্প পদ্ধতির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এর আগে, ২০০৭ সালের একটি নির্দেশনায় আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে এলসি ইস্যুর জন্য ইউসিপি ৬০০ অনুসরণ বাধ্যতামূলক করা হয়। 

বৈশ্বিক বাণিজ্যে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ, স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং লেনদেনের মান রক্ষা করতেই এই আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে আমদানি রপ্তানির তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আস্থা বাড়বে এবং ঝুঁকি কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ল কশন ল নদ ন আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে ভূখণ্ড নিয়ে ‘কোনো আপস’ হয়নি: রুশ কর্মকর্তা

যুদ্ধের ইতি টানতে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ‘কোনো আপস’ হয়নি। মস্কোয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর এক রুশ কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও প্রেসিডেন্টের জামাতা জ্যারেড কুশনার মঙ্গলবার ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে মারাত্মক যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতার অংশ হিসেবে তাঁরা এ বৈঠক করেন। এ বৈঠক প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে এবং মধ্যরাতের পর শেষ হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্রেমলিনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা কোনো আপসে পৌঁছাতে পারিনি। তবে মার্কিন কিছু প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা এগোতে পারে।’

উশাকভ মঙ্গলবারের আলোচনাকে ‘খুবই ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ উল্লেখ করলেও তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ওয়াশিংটন ও মস্কো— উভয় পক্ষের সামনে এখনো অনেক কাজ বাকি।’

মার্কিন প্রতিনিধিদল একটি শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে রাশিয়ার রাজধানীতে গিয়েছিল। সেখানে আগের ফাঁস হওয়া ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনার খসড়ার হালনাগাদ সংস্করণ নিয়ে আলোচনা হয়। ফাঁস হওয়া ‘খসড়াটি রাশিয়ার পক্ষে গেছে’— ইউক্রেন ও দেশটির মিত্রদের এমন কঠোর সমালোচনার মুখে ওয়াশিংটন এতে পরিবর্তন আনে।

কিয়েভ ও ইউরোপের পাল্টা প্রস্তাবটিরও নিন্দা করেছে ক্রেমলিন। পুতিন বারবার বলে আসছেন, এটি তাঁর দেশের কাছে ‘অগ্রহণযোগ্য’।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মস্কো, রাশিয়া; ২ ডিসেম্বর, ২০২৫।

সম্পর্কিত নিবন্ধ