টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২০০ রান মানেই জয়ের নিরাপদ গণ্ডি, এই ধারণা যেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্ষেত্রে এখন আর প্রযোজ্য নয়। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ২০৫ রান করেও হারলো তারা। সেটিও ৩ উইকেট আর চার বল হাতে রেখে! সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসে বাংলাদেশ সময় আজ রোববার (২৭ জুলাই) সকালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে এমন লজ্জাজনক রেকর্ড গড়লো ক্যারিবীয়রা। ২০০’র বেশি রান তুলে এটি তাদের সপ্তম পরাজয়, যা বিশ্ব টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাট হাতে জমজমাট পারফরম্যান্সই দিয়েছিল। শারফেন রাদারফোর্ডের ৩১, পাওয়েল ও শেফার্ডের সমান ২৮ রানের ইনিংসে ২০৫ রানে পৌঁছায় দলটি। কিন্তু বোলারদের হতাশাজনক প্রদর্শনী এবং তিনটি সহজ ক্যাচ মিস তাদের জয়ের স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দেয়।

অস্ট্রেলিয়া জয়ের লক্ষ্যে নেমে আগ্রাসী শুরু পায়। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল মাত্র ১৮ বলে ৪৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। যেখানে ছিল ১টি চার আর ৬টি বিশাল ছক্কা। ইংলিস খেলেন ৩০ বলে ৫১ রানের ঝকঝকে ইনিংস। তবে ম্যাচের আসল নায়ক হয়ে উঠলেন ক্যামেরন গ্রিন। শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে অপরাজিত ৫৫ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।

আরো পড়ুন:

রাহুল-গিলের ব্যাটিং দৃঢ়তা, শেষ দিনে হবে কি শেষ রক্ষা?

ম্যাচ রেফারি নাকি কোচ, মাহমুদউল্লাহর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঘিরে সংশয়

ম্যাচের বিভিন্ন সময় বৃষ্টি খেলায় বিঘ্ন ঘটালেও, জয়ের গতিপথ থেকে অস্ট্রেলিয়াকে সরাতে পারেনি। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ২ রান, সেই হিসেব মিটে যায় মাত্র দুই বলেই।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের আকিল হোসেন বৃষ্টির মধ্যেই শেষ ওভার করতে এলেও মাঠের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন একেবারে শান্ত ও নিয়ন্ত্রিত। অস্ট্রেলিয়া পেয়ে যায় সহজ জয়, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ রান পাহাড় গড়েও মুখ থুবড়ে পড়ে আত্মঘাতী ভুলে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০৫/৯ (২০ ওভার)
রাদারফোর্ড ৩১, শেফার্ড ২৮, পাওয়েল ২৮; জাম্পা ৩/৫৪, হার্ডি ২/২৪।

অস্ট্রেলিয়া: ২০৬/৭ (১৯.

২ ওভার)
গ্রিন ৫৫*, ইংলিস ৫১, ম্যাক্সওয়েল ৪৭; ব্লেডস ৩/২৯, হোল্ডার ১/৩৮।

ফল: অস্ট্রেলিয়া জয়ী ৩ উইকেটে।

সিরিজ: ৫ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে ৪–০ ব্যবধানে।

ম্যাচসেরা: গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (ব্যাটিং ৪৭ + ফিল্ডিং ২ ক্যাচ)।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইন ড জ ক র ক ট

এছাড়াও পড়ুন:

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব

বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি

২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।

 তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।

কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন

সম্পর্কিত নিবন্ধ