নিকলী হাওর থেকে ইংলিশ চ্যানেল জয়, সাঁতারু নাজমুলের সাহসী গল্প
Published: 7th, August 2025 GMT
৩৭ বছর পর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশকে নতুন করে গৌরবের আসনে বসিয়েছেন কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা নিকলীর ছেলে নাজমুল হক (হিমেল)। কিংবদন্তি সাঁতারু ব্রজেন দাস, আবদুল মালেক ও মোশাররফ হোসেনের পথ ধরে নাজমুল হক দেখালেন সাহস, নিষ্ঠা আর অদম্য ইচ্ছাশক্তির অনন্য নজির। তাঁর এই মাইলফলক স্পর্শে গর্বিত পরিবার ও এলাকাবাসী।
সারা বিশ্বে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া সাঁতারুদের জন্য আলাদা এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। এই চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার স্লট পাওয়া দুষ্কর। ঠান্ডা পানি, জেলিফিশ ও প্রাকৃতিক বৈরিতার পাশাপাশি চ্যানেল অতিক্রমের ব্যয়ও অনেক। সব বাধা পেরিয়ে ৩৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে নাজমুলের সময় লেগেছে ১২ ঘণ্টা ১০ মিনিট। ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে থাকা এই চ্যানেল জয়ে উচ্ছ্বসিত নাজমুলের পরিবার।
কিশোরগঞ্জের নিকলীর মীরহাটি গ্রামে জন্ম নাজমুলের। চার ভাইবোনের মধ্যে নাজমুল তৃতীয়। বাবা আবুল হাসেম ছিলেন আশির দশকের জাতীয় সাঁতারু। জাতীয় সুইমিং ফেডারেশনের সাবেক সদস্য এবং কিশোরগঞ্জের নিকলী সুইমিং ক্লাবের কোচ। বাবার হাত ধরে নাজমুলের সাঁতারে হাতেখড়ি।
আবুল হাসেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছেলের আত্মবিশ্বাস ছিল। সে করে দেখিয়েছে। এ জন্য ছেলেকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। ইংলিশ চ্যানেলের তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাওরের তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় নাজমুল ড্রামের মধ্যে বরফ রেখে সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থেকে নিজেকে প্রস্তুত করেছে। নাজমুলের এমন অর্জনে পুরো পরিবার আবেগাপ্লুত।’
ইংলিশ চ্যানেল জয় করে নিকলীতে ফেরার পর নাজমুল হককে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানান নিকলীর ইউএনও রেহানা মজুমদার। গত রোববার ইউএনও কার্যালয়ে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নান্দাইলের ইউএনও’র দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সদ্য সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে ওঠা ৩ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে ৫ কোল পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন
বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের অভিযোগে গবিতে মানববন্ধন
উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাসহুদ পারভেজসহ অন্যান্য ইউপি সদস্যরা গত ২৮ মার্চ ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছে সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ করেন।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থাকাকালীনও সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। যা নিয়ে তখন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে সারমিনা সাত্তার যোগ দেন। এরপর থেকে সীমাহীন দুর্নীতি করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ইজারা, পাথর কেলেঙ্কারি, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ, নামজারিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়, ভুয়া প্রকল্প থেকে টাকা উত্তোলনসহ নানা দুর্নীতি করেছেন।
বক্তব্যে ইউপি সদস্য মাসহুদ পারভেজ বলেন, ‘‘সারমিনা সাত্তার শুধু অনিয়ম-দুর্নীতিতে সীমাবদ্ধ ছিলেন না, ইউপি সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণসহ মিথ্যা মামলার হুমকিও দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছি।’’
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন খারুয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুস কদ্দুস মুন্সি, বাচ্চু মিয়া, শেরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহজাহান প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে সারমিনা সাত্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/মিলন/বকুল