সরকারকে কেয়ারটেকার মোডে যাওয়া উচিত: আমীর খসরু
Published: 22nd, October 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘‘নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের এখনই কেয়ারটেকার মোডে চলে যাওয়া উচিত। যারা বিতর্কিত, যারা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের সরকারি দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’’
বুধবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজনে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমতা রক্ষায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলেচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে: আইন উপদেষ্টা
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, তা করব
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘‘১৪-১৫ মাস ধরে নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশ চলছে। নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব না থাকায় রাষ্ট্রে জবাবদিহিতা হারিয়ে গেছে। প্রশাসন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়— সব জায়গায় এখন জবাবদিহিতার ঘাটতি স্পষ্ট। এটা দেশের গণতন্ত্রের জন্য ভয়াবহ সংকেত। নির্বাচিত সরকার না থাকলে কারো কাছে জবাবদিহির প্রশ্নই আসে না। সরকার উপরে, জনগণ নিচে মাঝখানে কোনো সেতু নেই। এই সেতুই তো নির্বাচিত প্রতিনিধি। এখন সেই সেতু অনুপস্থিত।’’
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। সেই স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনো আপস নেই। দেশের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে কারো হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের সম্পর্ক হবে বিশ্বের প্রতিটি দেশের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মান ও স্বার্থ রক্ষার ভিত্তিতে। কিন্তু কোনো দেশের নির্দেশে নয়। বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক কৌশল বাংলাদেশ নিজেরাই নির্ধারণ করবে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা অনির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে কিছু প্রত্যাশা করি না। আমাদের একটাই দাবি, যত দ্রুত সম্ভব জনগণের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। একটি গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে, জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে নির্বাচিত সংসদ গঠন করতে হবে।’’
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজীজ উলফাতের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ দলের নেতারা।
ঢাকা/রায়হান/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র ব এনপ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সংখ্যালঘু বলতে কোন শব্দ নাই, সবাই এদেশের জনগণ : সজল
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে রণাঙ্গনের যুদ্ধ করে এদেশ স্বাধীন করেছিলেন।
উনি সব সময় বলেছিলেন এবং মনেপ্রানে বিশ্বাস করতেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলতে কোন শব্দ নাই । সবাই এদেশের জনগণ তারা আমাদের ভাই। তাদের বিপদ-আপদে সব সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীদের থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আর আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন এদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান মুসলিম সবাই ভাই ভাই, ‘সবার আগে বাংলাদেশ’।
গতকাল রাতে মদনগঞ্জ নমুনা বাজার হরিজন পল্লীতে শ্রী শ্রী শ্যামা পূজার পরিদর্শন এসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল এসব কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, কারন আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। সবার সবান অধিকার আছে বাংলাদেশে বাস করার। দেশের সকল শ্রেণীর জনগণকে নিয়ে আমাদের নেতা তারেক রহমান সুন্দর একটি আগামীর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন। যে স্বপ্নতে আপনারা কখনোই কষ্ট পাবেন না।
সেখানে আপনারা আমরা সবাই মিলেমিশে একসাথে বসবাস করবো। কারণ আমরা হিন্দু ভাই-বোনদের পাশে আছি। বিগত দুর্গাপূজায় আমাদের নেতাকর্মীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ মোতাবেক আপনাদের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতে থাকবো। আজকে এই শ্যামা পূজা আপনারা আমাকে দাওয়াত করায় আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশের নাগরিক আমার যতটুকু অধিকার আছে বাংলাদেশের ভোগ করার ঠিক ততটুকু অধিকার আপনাদেরও আছে। কারণ আপনারা জানেন বিগত সময় একটি ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় ছিল। আপনারা দেখেছেন তারা সবসময় বলেছিল হিন্দু সম্প্রদায়রা তাদের আপনজন। কিন্তু বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি হিন্দুরা নির্যাতন হয়েছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা।
আপনারা দেখেছেন কুমিল্লাতে মন্দিরে হামলা হয়েছিল এমপি বাহারের নেতৃত্বে আর ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িগুলো লুটপাট করা হয়েছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে। শুধু তাই না রাঙ্গামাটিতে বৌদ্ধ বিহারসহ বিভিন্ন জায়গায় যে হামলা হয়েছিল তা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা করেছিল। এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি হিন্দু সম্প্রদায় জাগা সম্পত্তি দখল করেছিল আওয়ামী লীগের লোকজন।
বিএনপির নেতাকর্মীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আপনাদের যেকোন প্রয়োজন আপনারা আমাদেরকে ডাকবেন আমরা ভাই হিসাবে আপনাদের পাশে থাকবো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতা কর্মীরা বেঁচে থাকতে আপনাদের বিন্দু ক্ষতিও হবে না। আমরা যেমন আপনাদের পাশে এখনো আছি আগামী তো থাকবো আপনার সুন্দরভাবে আপনাদের সকল পূজা-পড়বন ও ধর্মীয় উৎসব পালন করবেন।
পরিদর্শনকালে পূজা মন্ডপ কমিটির পক্ষ থেকে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজলসহ নেতাকর্মীদেরকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তারা। এবং হরিজন পল্লীতে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজলকে পাওয়ায় তারা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন রিপন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির ১ম সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান মাসুদ, মদনগঞ্জ নমুনা বাজার হরিজন সমাজ সেবা সংঘের সভাপতি প্রতাপ বাবু, সাধারণ সম্পাদক বাদল রায় বানু, সহ- সভাপতি বাবু, পূজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি রাজেশ সাধারণ সম্পাদক শুভ চন্দ্র প্রমুখ।