রাজশাহী কলেজের সামনে নালায় পড়ে আহত হয়েছেন এক শিক্ষার্থী। গত মঙ্গলবার রাতে কলেজের সামনে ফুটপাতের ওপর হাঁটতে গিয়ে তিনি নালায় পড়ে যান। এক মাস ধরে ওই ফুটপাতের স্ল্যাব চুরির ঘটনা ঘটছে।

আহত শিক্ষার্থীর নাম ইয়াসির আরাফাত। তিনি রাজশাহী কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি তিন দিন ধরে রাজশাহী খ্রিষ্টিয়ান মিশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ইয়াসিরের সহপাঠী আল মাহমুদ বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ইয়াসির ফুটপাত দিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। তখন তাঁর মুঠোফোন থেকে তাঁর কাছে কল আসে। পরে রাজশাহী কলেজের পাশে জাদুঘর মোড়ে গিয়ে দেখেন, স্থানীয় লোকজন তাঁকে নালা থেকে তুলেছেন। পরে তাঁকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি বলেন, কলেজের সামনের ফুটপাত থেকে প্রায় এক মাস ধরে স্ল্যাব চুরি হচ্ছে। এখানে চলাফেরা করা ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু কেউ এগুলো ঢাকার ব্যবস্থা নেয়নি।

আহত শিক্ষার্থীর ভাই আফ্রিদি বলেন, রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা না পাওয়ায় তাঁকে মিশন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এ জন্য অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে।

মিশন হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব বলেন, ইয়াসির বুকে ব্যথা পেয়েছেন। এখনো ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট আছে। এ জন্য অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে। তাঁর দুটি এক্স–রে করা হয়েছে। শরীরে কোনো কিছু ভেঙে যায়নি, রক্তজমাটও বাঁধেনি। একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাঁকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। সার্বিকভাবে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো।

ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে গিয়ে নালায় পড়ে আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী ইয়াসির আরাফাত.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টপ ত কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

অল্প দুধের সঙ্গে পানি ও রাসায়নিক মিশিয়ে নকল দুধ, স্বামী-স্ত্রীর কারাদণ্ড

অল্প দুধের সঙ্গে পানি ও রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে শৌচাগারে যন্ত্র বসিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল নকল দুধ। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করা হতো প্রায় ৪০ মণ দুধ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে এমন একটি নকল দুধ তৈরি কারখানার সন্ধান পেয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ নকল দুধ তৈরির সরঞ্জামসহ দুজনকে আটক করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় ৩০ মণ নকল দুধ জব্দ করে নষ্ট করা হয়েছে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সানাউল মোরশেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন মোহাম্মদ আলহাজ্ব উদ্দিন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের মো. তারেক হোসেন (২৬) ও তাঁর স্ত্রী মুন্নি খাতুন (২০)। তাঁদের মধ্যে তারেককে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা এবং মুন্নি খাতুনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তারেক হোসেনের বড় ভাই শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে তাঁদের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে নকল দুধ তৈরি হচ্ছিল। এর আগে দুবার শফিকুলকে নকল দুধ তৈরির অপরাধে এক লাখ টাকা করে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরে তিনি বেশ কিছুদিন নকল দুধ তৈরি থেকে বিরত ছিলেন। এরপর আবার নকল দুধ তৈরি শুরু করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুর ১২টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁদের বাড়িতে অভিযান চালান। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে শফিকুল পালিয়ে যান। তবে বাড়িটির শৌচাগারে নকল দুধ তৈরির সময় তারেক ও তাঁর স্ত্রীকে আটক করা হয়।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সানাউল মোরশেদ জানান, নকল দুধ তৈরির যন্ত্রে শব্দ হওয়ার কারণে তাঁরা সেটি শৌচাগারে বসিয়েছিলেন। যন্ত্র চালানোর সময় বাড়িতে উচ্চ শব্দে গান বাজানো হতো। চক্রটি দিনে প্রায় ৪০ মণ নকল দুধ তৈরি করে বিভিন্ন দুধ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করে আসছিলেন। তাঁরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে নকল দুধ তৈরির কথা স্বীকার করেছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন মোহাম্মদ আলহাজ্ব উদ্দিন বলেন, সাধারণত গুরুর দুধে ৩ থেকে ৪ শতাংশ পর্যন্ত ফ্যাট থাকে। কিন্তু নকল এই দুধে প্রায় ১৩ শতাংশ ফ্যাট পাওয়া গেছে, যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই দুধপানে লিভার, কিডনিসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ