সাংবাদিক হত্যায় পুলিশের অবহেলা রয়েছে: ইসলামী আন্দোলন
Published: 11th, August 2025 GMT
গাজীপুরে আলোচিত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডে সরকারের ব্যর্থতা, পুলিশ প্রশাসনের অবহেলা ও শক্তিশালী গোষ্ঠীর ইন্ধন থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল ১১টায় গাজীপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা আতাউর রহমান।
তিনি বলেন, “স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও সরকার তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন না করায় সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হতে হয়েছে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে। শুধু ভিডিও ধারণের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেনি, এর পেছনে বড় কোনো ঘটনা লুকিয়ে আছে। আমরা জানতে পেরেছি, হত্যাকাণ্ড ঘটানোর জন্য সরাসরি নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।”
আরো পড়ুন:
সাংবাদিক তুহিন হত্যা: ‘শরীরে ধারালো অস্ত্রের ৯ গভীর ক্ষত’
চার টুকরো করে যুবকের লাশ খালে ফেলেন দম্পতি
তিনি আরো বলেন, “গ্রেপ্তার হওয়া কেউ গাজীপুরের বাসিন্দা নয়। তাহলে গাজীপুরে এই খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতারা কারা ছিল? কারা এই সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করছে, যারা হত্যা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই চালিয়ে যাচ্ছে- তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে।
দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বেগ জানিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, “গাজীপুরে প্রতিনিয়ত খুন, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সন্ত্রাসীরা এখানে আশ্রয় নিচ্ছে। অথচ তাদের বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিশাল জনগোষ্ঠীর এ শহরে পুলিশের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। অবিলম্বে পুলিশ সংখ্যা বৃদ্ধি এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন করতে হবে।”
আগামী জাতীয় নির্বাচনে সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) বজায় থাকবে কিনা তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন রয়েছে বলে জানান মাওলানা আতাউর রহমান।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনের তিনি সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ নিহত সাংবাদিক তুহিনের পরিবারের পাশে দাঁড়াইনি বলে দুঃখ প্রকাশ করে তার পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে নেওয়ার আহ্বানও জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তারা সাংবাদিক হত্যা মামলার দ্রুত তদন্ত, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। তারা সতর্ক করে বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও জনগণের জানার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ইসলামী আন্দোলন গাজীপুর মহানগরের সভাপতি মাওলানা ফয়জ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর শাখার সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান মিয়াজী, এমএ হানিফ সরকার, অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম, মুফতি হোসাইন আহমদ, এইচএম সাইদুর রহমান, এসএম ওয়াহিদুল ইসলাম, আবু জাফর হাওলাদার প্রমুখ।
ঢাকা/রেজাউল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য র রহম ন ইসল ম সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ঘোড়া
ছোট্ট পুমুকেলকে দেখে যে কেউ অবাক হবেন—এটি ঘোড়া, গাধা, কুকুর নাকি পুতুল, তা বুঝতে কারও কারও কয়েক সেকেন্ড সময়ও লেগে যেতে পারে।
পুমুকেলের বাস জার্মানিতে। এটি দেখে আপনার যা–ই মনে হোক, পুমুকেল কিন্তু একটি জীবন্ত ঘোড়া। বাদামি ও উজ্জ্বল সাদা রঙের ঘোড়াটির ঘাড়ে-মাথায় বেশ বড় বড় লোম। সেগুলো অনেকটা চুলের মতো ঝুলে থাকে। এ কারণে হঠাৎ দেখায় সেটিকে একটি পুতুল বলে মনে হতে পারে।
তবে এসবের কিছুই পুমুকেলের মূল বৈশিষ্ট্য নয়। প্রাণীটির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো সেটির উচ্চতা। পুমুকেলের উচ্চতা মাত্র ২১ দশমিক ১ ইঞ্চি। নিজের এ উচ্চতার কারণে প্রাণীটি এখন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের মালিক। পুমুকেল এখন সবচেয়ে কম উচ্চতার জীবন্ত ঘোড়া।
২০২০ সালে ক্যারোলা ভাইডেমান নামের এক নারী পুমুকেলকে পালন করতে নেন। সে সময় এটির বয়স ছিল মাত্র ৫ মাস, উচ্চতা মাত্র ১৮ ইঞ্চি।
পুমুকেলকে প্রথমবার দেখার দিনের কথা এখনো স্পষ্ট মনে আছে ক্যারোলার। তিনি একটি থেরাপি ঘোড়া খুঁজছিলেন। তখন এক বন্ধু তাঁকে পুমুকেলের কথা জানান এবং তিনি পুমুকেলকে দেখতে যান।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকে ক্যারোলা বলেন, ‘আমি গাড়ি চালিয়ে সেখানে গিয়ে ওকে দেখি এবং সত্যিই, পুরোপুরি ধাক্কা খাই। এর আগে আমি এত ছোট ঘোড়া কখনো দেখিনি।’
এর আগে যে ঘোড়া এই রেকর্ডের মালিক ছিল, সেটির চেয়ে পুমুকেলের উচ্চতা দেড় ইঞ্চি কম।
পুমুকেল একটি প্রশিক্ষিত ঘোড়া। প্রাণীটি থেরাপি দেওয়ার কাজ করে। এ জন্য সেটিকে নিয়মিত বিভিন্ন নার্সিং হোম, হাসপাতাল, স্কুল ও প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য নানা প্রতিষ্ঠানে নেওয়া হয়।
ক্যারোলা বলেন, ‘সে খুবই মিষ্টি স্বভাবের। সে শিশুদের সঙ্গে অবিশ্বাস্য রকম ভালো আচরণ করে, খোঁচাখুঁচি ও আলিঙ্গন পছন্দ করে। পুমুকেল মনোযোগের কেন্দ্রে থাকতে খুবই পছন্দ করে।’
পুমুকেল কোনো ছোট আকারের ঘোড়ার প্রজাতি নয়। ক্যারোল বলেন, পুমুকেল স্বাভাবিক আকারের ঘোড়ার প্রজাতি। প্রকৃতিই প্রাণীটিকে এই আকার দিয়েছে।