সিলেট জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে বিএনপির কর্মী-সমর্থকেরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন বলে মন্তব্য করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘অতীতের মতো ভবিষ্যতেও দলীয় কর্মসূচিতে আপনাদের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে আমাদের ঐক্যই সবচেয়ে বড় শক্তি। সিলেটের ছয়টি আসনে বিজয় নিশ্চিত করতে বিএনপি এখন ঐক্যবদ্ধ।’

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের নূরপুর এলাকায় উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী এ কথা বলেন। সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে সিলেটের ছয়টি আসনে তৃণমূলের ঘরে ঘরে গিয়ে কাজ করার সংকল্প ব্যক্ত করেন আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘একজন সাধারণ কর্মী অথবা জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে যেকোনো পরিচয়েই আমি মাঠে থাকব। দেশনেতা তারেক রহমান যে রূপরেখা জাতির সামনে তুলে ধরেছেন, তা বাস্তবায়নে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত রাখব।’

আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমরা কথা দিয়েছিলাম, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করব। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সেই ফ্যাসিস্ট শাসনের ইতি টানতে সক্ষম হয়েছি। বন্যা, খরা, করোনা মহামারিসহ যেকোনো জাতীয় দুর্যোগে বিএনপি অতীতে যেভাবে জনগণের পাশে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।’

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ওহিদুজ্জামান ছুফি চৌধুরী। এ সময় উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি এনায়েত হোসেন, ছাদিকুর রহমান, মো.

সাহাদ মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল হাসান চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক দিনার আহমদ শাহ, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মো. শাহিন আহমদ, সমবায়বিষয়ক সম্পাদক জয়ফুর রহমান, সদস্য মেহেদী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব জয় ন শ চ ত করত ব এনপ র র ছয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম বন্দরমুখী সড়কে স্কপের অবরোধ শুরু

চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল বিদেশিদের ইজারা দেওয়ার বিষয়কে সামনে রেখে বন্দরমুখী সড়কের তিনটি অংশে প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। এ বিষয়ে সমর্থন জানিয়েছে পরিবহনশ্রমিকদের কয়েকটি সংগঠন ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা-কর্মীরা।

আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে নগরের মাইলের মাথা, বড়পোল ও বন্দরের টোল প্লাজা গেট এলাকায় প্রতীকী অবরোধ শুরু হয়। এর আগে সকাল থেকেই সেখানে স্কপের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হন। কর্মসূচির শুরুতে সমাবেশ করেন তাঁরা। সেখানে কর্মসূচির সমর্থনে বক্তব্য দেন শ্রমিক নেতারা।

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশিদের ইজারা দেওয়ার চুক্তির প্রতিবাদে এবং লালদিয়ার চর ও পানগাঁও টার্মিনালে বিদেশি অপারেটরদের ইজারার চুক্তি বাতিলের দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে স্কপ। গত শনিবার স্কপের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

ঘোষণা অনুযায়ী, নগরের তিন মোড়ে অবরোধের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল হওয়ার কথা রয়েছে। শ্রমিক নেতারা বলছেন, বন্দরের এনসিটি একটি লাভজনক টার্মিনাল। এটি বিদেশিদের ইজারা দিতে তড়িঘড়ি করছে সরকার। অন্যদিকে লালদিয়া চুক্তির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হয়েছে। বন্দর জনগণের সম্পদ। জনগণের আড়াল করে চুক্তির বিষয়টি রাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী।

সরেজমিন দেখা যায়, সকালে বড়পোল মোড়ে অবস্থানরত শ্রমিক নেতা-কর্মীদের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা-'চট্টগ্রাম বন্দরের লাভজনক এনসিটি ডিপি ওয়ার্ল্ডকে ইজারা দেওয়ার পাঁয়তারার প্রতিবাদে এবং লালদিয়ার চর ও পানগাঁও ইজারা চুক্তি বাতিলের দাবিতে বন্দর অবরোধ কর্মসূচি'।

সমাবেশে বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস কে খোদা তোতন বলেন, ‘আমরা চাইলেই বন্দর অচল করে দিতে পারি। কিন্তু আমরা সময় দিচ্ছি। বিদেশিদের টার্মিনাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসুন।’ শ্রম অধিকারকর্মী ফজলুল কবির বলেন, ‘বন্দর কোনোভাবেই বিদেশি হাতে দেওয়া যাবে না।’

আদালতের রায় ৪ ডিসেম্বর

এদিকে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি-সম্পর্কিত প্রক্রিয়া নিয়ে করা রিট আবেদনের রায় আগামী ৪ ডিসেম্বর দেবেন হাইকোর্ট। ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এই চুক্তি-সম্পর্কিত প্রক্রিয়া প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের এ দিন ধার্য করেন।

নিউমুরিং টার্মিনাল নির্মিত হয় ২০০৭ সালে, মোট ২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা বিনিয়োগে। চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কনটেইনারের বেশির ভাগ এই টার্মিনাল দিয়ে পরিবহন করা হয়। এটি পরিচালনা করছিল সাইফ পাওয়ারটেক। তাদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় গত ৬ জুলাই। এরপর নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান চিটাগং ড্রাইডক লিমিটেড এটি পরিচালনার দায়িত্ব পায়।

এই টার্মিনাল পরিচালনায় ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের সমঝোতা স্মারক হয়েছিল। এখন বিদেশি এই কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ এগিয়ে নিতে চাইলে তার বৈধতার প্রশ্নে বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসাইন হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

অন্যদিকে লালদিয়া ও কেরানীগঞ্জের পানগাঁও নৌ টার্মিনাল পরিচালনার জন্য দুই বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে সম্প্রতি। লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ এবং ৩০ বছরের জন্য পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে ডেনমার্কের এপি মোলার মায়ের্সক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এপিএম টার্মিনালস। এ ছাড়া ২২ বছরের জন্য পানগাঁও নৌ টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান মেডলগ এসএ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জনগণের সম্পত্তির প্রতি শেখ হাসিনার ছিল লোভাতুর দৃষ্টি: আদালত
  • দুর্নীতি প্রতিরোধে ইসলামী শাসনের বিকল্প নেই : ইলিয়াস আহমদ
  • ‘নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ আগুন সন্ত্রাসে মেতে উঠেছে’
  • ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে জনগণের টাকা লুট হয়েছে: সাইদ আহমেদ
  • চার আসনই পুনরুদ্ধার চায় বিএনপি, নতুন মুখ নিয়ে মাঠে জামায়াত
  • চট্টগ্রাম বন্দরমুখী সড়কে স্কপের অবরোধ শুরু
  • স্টিমরোলার নির্যাতনেও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হইনি: মির্জা ফখরুল
  • ‘প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে’: জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
  • সংবাদমাধ্যম কখন নিজেকে প্রশ্ন করার সাহস রাখে