ইনোভার: ঘর থেকে শিল্পকারখানা—সবখানেই নির্ভরযোগ্য সমাধান
Published: 27th, November 2025 GMT
বাংলাদেশের হালকা প্রকৌশল খাতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল আকিজ রিসোর্স। দেশের অন্যতম বৃহৎ এই শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে যাত্রা শুরু করে আকিজ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড (এএলইএল)।
গুণগত মান, নিত্যনতুন উদ্ভাবন ও নির্ভরযোগ্যতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চালু হয় আকিজ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। ‘লাইফ রেডি প্রতিদিন’ স্লোগানে ফ্ল্যাগশিপ ব্র্যান্ড ‘ইনোভার’-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস খাতে আস্থার নাম হয়ে ওঠার লক্ষ্য এই প্রতিষ্ঠানের।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
দীর্ঘদিন ধরে ভোক্তাদের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হিসেবে পরিচিত আকিজ রিসোর্স। তারই ধারাবাহিকতায় গ্রাহকদের বহুমাত্রিক চাহিদা পূরণে ইলেকট্রিক্যাল ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স-বাজারে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও আন্তর্জাতিক মানের সমাধান দেওয়ার উদ্দেশ্যে ‘ইনোভার’-এর পথচলা। হালকা প্রকৌশল খাতের ভোক্তাদের বিশ্বমানের অভিজ্ঞতা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের জীবন আরও সহজ, স্মার্ট ও টেকসই করে তুলতে কাজ করছে ব্র্যান্ডটি।
এ প্রসঙ্গে আকিজ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং মো.
মো. সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ব্র্যান্ড “ইনোভার” বাজারে আসার পরপরই সব শ্রেণির ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করেছে। আশা করছি, এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে দ্রুতই ইনোভার একটি ভালো মার্কেট শেয়ার অর্জন করতে পারবে। দেশীয় শিল্প বিকাশের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরি এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমরা অবদান রাখতে চাই।’
ঘর থেকে শিল্পকারখানা—সমাধান সবখানেই
বিস্তৃত পণ্যসম্ভারের মাধ্যমে শিল্পকারখানা, আবাসিক ও বাণিজ্যিক—সব ক্ষেত্রেই নির্ভরযোগ্য সমাধান দিচ্ছে ইনোভার।
এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির হেড অব অপারেশন মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ফয়সাল বলেন, ‘ইনোভার ব্র্যান্ডটি যাত্রা শুরু করেছে সুইচ ও সকেট, এলইডি লাইট, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, হার্ডওয়্যার টুলস, পাওয়ার টুলস, ওয়াটার পাম্প, সিলিং ও টেবিল ফ্যানসহ নানাবিধ আধুনিক গৃহস্থালি ও ইলেকট্রিক পণ্য নিয়ে। ইনোভারের আরেক বিশেষ সমাধান হলো স্মার্ট হোম সিস্টেম।’
মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ফয়সাল বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন প্যাকেজ আছে। যেমন একটা ঘর অথবা পুরো বাড়ি হাতের মুঠোয় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। শিগগিরই আমরা সর্ববৃহৎ কেব্লস এবং ফ্যানের কারখানা করতে যাচ্ছি। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকসের সম্পূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।’
আকিজ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে নিয়ে এসেছে আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি। ফলে পণ্যের মান থাকবে অক্ষুণ্ন। পণ্য হবে আধুনিক।উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াশিংটন ডিসিতে হামলা: আসলে কী ঘটেছিল, সন্দেহভাজন কে
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসের কাছে দায়িত্বরত দুই ন্যাশনাল গার্ডকে গুলি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ দুজন ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কী কারণে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে গুলি করা হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁদের ‘নিশানা করে গুলি করা হয়েছিল।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘটনাকে ‘জঘন্য হামলা’ ও ‘শয়তানের কাজ, বিদ্বেষ থেকে হামলা ও সন্ত্রাসী হামলা’ বলে বর্ণনা করে এর নিন্দা জানিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের কাছে ঠিক কী ঘটেছিল, সন্দেহভাজন হামলাকারী কে—এসব নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:
ওয়াশিংটন ডিসিতে কী ঘটেছিল
পুলিশ বলেছে, স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে সন্দেহভাজন এক হামলাকারী এক ন্যাশনাল গার্ডকে লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি ছোড়েন।
সংঘর্ষের সময় সন্দেহভাজন ওই হামলাকারীও গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি পুলিশের হেফাজতে আছেন।
পুলিশের নির্বাহী সহকারী প্রধান জেফরি ক্যারল সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে, হামলাকারী একজনই ছিলেন। তিনি অস্ত্র হাতে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের ওপর আকস্মিক হামলা চালিয়েছেন।’
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ন্যাশনাল গার্ডের তিন সদস্যের কাছে এগিয়ে যান। তিনি গুলি ছোড়া শুরু করার আগপর্যন্ত খুব সম্ভবত রক্ষীরা তাঁকে খেয়ালই করেননি। হামলাকারী প্রথমে এক ন্যাশনাল গার্ডকে গুলি করেন, তারপর আরেকজনকে।
পালিয়ে যাওয়া আফগানদের মধ্যে অনেকেই মার্কিন সেনাদের সঙ্গে দোভাষী, গাড়িচালক বা সহায়ককর্মী হিসেবে কাজ করেছিলেন। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর তাঁদের ভয় ছিল, তাঁরা লক্ষ্যবস্তু হতে পারেন।এরপর হামলাকারীকে প্রথমবার গুলি ছোড়া ন্যাশনাল গার্ডের ওপর আরেক দফা গুলি চালানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়। ঠিক সেই মুহূর্তে তৃতীয় গার্ড হামলাকারীর দিকে পাল্টা গুলি চালান।
এ ঘটনার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটন ডিসিতে ছিলেন না। তিনি ফ্লোরিডায় অবস্থান করছিলেন।
জননিরাপত্তার কথা বলে ট্রাম্প রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রায় ২ হাজার ২০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করেছেন। এর মধ্যে ডিসি ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য ৯২৫ জন। অন্যান্য অঙ্গরাজ্য থেকে আরও ১ হাজার ২০০ জনের বেশি ন্যাশনাল গার্ড সদস্য আনা হয়েছে।
ন্যাশনাল গার্ড কী
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর একটি অংশ ন্যাশনাল গার্ড। কোনো অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ও দেশের প্রেসিডেন্ট, দুজনের অধীনেই কাজ করে এই বাহিনী। ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা মার্কিন সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর রিজার্ভ (সংরক্ষিত) সেনাদের অংশ।
খণ্ডকালীন ভিত্তিতে কাজ করেন ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা। যুদ্ধ বা সহায়তা অভিযানের জন্য তাঁদের বিদেশে মোতায়েন করা হতে পারে। তবে সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করে ন্যাশনাল গার্ড।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্য ও অঞ্চলের (ওয়াশিংটন ডিসিসহ) নিজস্ব ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী রয়েছে। যেকোনো সময় যেকোনো অঙ্গরাজ্যের গভর্নর বা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দিতে পারেন। এ কারণে মার্কিন সামরিক বাহিনীর অন্যান্য শাখা থেকে ন্যাশনাল গার্ডের কার্যক্রম আলাদা।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ দমনে কাজ করছে ন্যাশনাল গার্ড