বিশ্বের বৃহত্তম টি–রেক্স ডাইনোসরের ফসিলে রক্তনালি আবিষ্কার
Published: 13th, August 2025 GMT
প্রায় সাত কোটি বছর আগে পৃথিবীর বৃহত্তম শিকারি প্রাণী হিসেবে বিভিন্ন ডাইনোসর এখানে–সেখানে ঘুরে বেড়াত। তখনকার সব মহাদেশে আধিপত্য বিস্তার করে বিভিন্ন ডাইনোসর। সেই সময় টাইরানোসরাস রেক্স বা টি–রেক্স ও রহস্যময় মেগারাপ্টরের মতো ডাইনোসররা বিশাল দৈত্যে পরিণত হয়েছিল। ডাইনোসর সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সাধারণত মাটি থেকে খনন করা সংরক্ষিত হাড় ও দাঁত থেকে জানা যায়। এ জন্য জীবাশ্মবিষয়ক বিভিন্ন গবেষণায় বর্তমানে জীবাশ্মে জৈব অবশেষ খুঁজে বের করেন বিজ্ঞানীরা। দুর্ভাগ্যবশত ডাইনোসরের ডিএনএ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে শুধু মাটির নিচ থেকে সংরক্ষিত হাড় ও দাঁতের শক্ত টিস্যু থেকে তথ্য সংগ্রহ করায় ডাইনোসর সম্পর্কে তথ্য বেশ সীমিত।
সম্প্রতি টি–রেক্স ডাইনোসরের জীবাশ্মে রক্তনালি আবিষ্কার করেছেন কানাডার রেজিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জেরিট লিও মিচেল। জীবাশ্মের মধ্যে নরম টিস্যু থাকার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। নরম টিস্যুর খোঁজ পেলে প্রাচীন জীবনের অনেক বেশি তথ্য জানা যায়। আর তাই জীবাশ্মে রক্তনালি আবিষ্কারের ফলে ডাইনোসর কীভাবে বাস করত ও তারা দেখতে কেমন ছিল, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার সুযোগ আছে। এ বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র সায়েন্টিফিক রিপোর্টসে প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুনটি–রেক্সের দাদা-দাদি কারা ছিল১২ মে ২০২৫জেরিট লিও মিচেল জীবাশ্ম অধ্যয়নের জন্য পার্টিকেল অ্যাকসিলারেটর ব্যবহার করার দলে কাজ করেছেন। তিনি উন্নত থ্রিডি মডেল ব্যবহার করে একটি টি–রেক্স ডাইনোসরের হাড়ে রক্তনালি আবিষ্কার করেছেন। কানাডার রয়্যাল সাস্কাচোয়ান মিউজিয়ামে টি–রেক্সের সবচেয়ে বড় জীবাশ্ম সংরক্ষণ করা আছে। স্কটি নামে পরিচিত জীবাশ্মটি টি–রেক্সের সবচেয়ে পূর্ণ নমুনার মধ্যে একটি।
নতুন আবিষ্কারের বিষয়ে জেরিট লিও মিচেল জানান, সাধারণত হাড়ে ফাটলের মতো আঘাতের পরে নিরাময়ের প্রক্রিয়া ঘটে। তখন আক্রান্ত স্থানে রক্তনালির কার্যকলাপে বৃদ্ধি পায়। স্কটির পাঁজরে তেমন কার্যকলাপ দেখা যাচ্ছে। সেখানে খনিজ পদার্থের একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক আছে। আমরা পুনর্গঠিত থ্রিডি মডেল ব্যবহার করে পরীক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি। জীবাশ্মের হাড় বিশ্লেষণ করার সময় দুটি প্রধান চ্যালেঞ্জ দেখা যায়। জীবাশ্মের ক্ষতি না করে হাড়ের অভ্যন্তরে পরীক্ষা করা বেশ জটিল। আর জীবাশ্মকরণ প্রক্রিয়ার কারণে হাড়ের বিভিন্ন উপাদান বেশ ঘন হয়ে জৈব পদার্থ দিয়ে প্রতিস্থাপিত হতে পারে।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষের মন্দির
মানুষের মন্দির
এটি ছিল এক বিষণ্ন রাত
ফ্যাকাশে আলোর সঙ্গে,
হৈমন্তী চাঁদের আলোয়
আলোকসজ্জিত আকাশ।
আমরা আনন্দে একত্র হয়েছিলাম
শরতের রোদে রাঙা দুপুরে
আমাদের ঘামের ফসল হাতে
. . . . . . . . . . .
আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি
আমাদের বপনের ঋতুতে
আমাদের যত্নের ঋতুতে,
আমরা ছিলাম অধ্যবসায়ী
আমরা ছিলাম নিবেদিত
আমাদের প্রচেষ্টা প্রতি,
এখন সময় এসেছে ফসল তোলার।
এই সব দিনে
আমরা ভোগ করি পরিশ্রমের ফসল
আমাদের আগে ছিল যারা,
বুঝি না আত্মত্যাগের মানে
যা জন্ম নিয়েছে
নিজের গড়া গৌরবের ছায়া হতে।
আমারও লোভার্ত হাত পৌঁছেছিল সেই আলমারিতে
একটি নিরবচ্ছিন্ন চেতনা নিয়ে,
প্রাচুর্যের মানে বুঝতে অপারগ,
এক নিঃশব্দ অস্বীকৃতির ভারে।
. . . . . . . . . . . .
এই সময়ে
কিছু মানুষ আছে,
আমার প্রতিবেশীরা,
আমার সহপথিক মানবেরা
অক্লান্ত পরিশ্রম করে, তবু ভোগে যন্ত্রণায়।
এদিকে আমার কঠিন চেতনা
আসে আর যায়
সহানুভূতির প্রাঙ্গণ দিয়ে,
ফেলে রেখে যায়
আমার জন্মগত ও ঈশ্বরপ্রদত্ত করুণা,
আমার অসংবেদনশীলতার দ্বারে।
.. . . . . . . . . . .
দশমাংশ কী,
এ কি শুধু এইটুকুই...
আমাদের সীমিত পকেট আর পার্স খালি করা
চাঁদার ঝুড়িতে ফেলার জন্য?
. . . . . . . .
আমি আমার দশম ভেড়া কোথায় দেব,
আমার দশম ছাগল,
আর কোন মন্দিরে...?
এ কি মানুষের তৈরি মন্দির,
ইট, চুনসুরকি আর কাঠ দিয়ে গড়া,
যেখানে আমরা জমায়েত হই
আমাদের স্বেচ্ছায় জমানো অস্থিরতা উজাড় করতে,
নাকি এটা তার চেয়ে বড় কিছু,
একটি মন্দির যা বিরাট কোনো চেতনার জগতে বিরাজমান,
যা আমাদের সকলকে আপন করে জড়িয়ে ধরে?
যখনযখন সবকিছু ধসে পড়বে,
তখন তুমি কোথায় দাঁড়িয়ে থাকবে?
যখন আকাশ নিজেকে গুটিয়ে নেবে,
তখন তুমি কীভাবে নিশ্বাস নেবে?
যখন তারারা তাদের আলো নিভিয়ে দেবে,
তখন কি আমাদের স্বপ্ন দেখার ক্ষমতাটাও
অদৃশ্য হয়ে যাবে?
যখন হাসি ব্যথার জন্ম দেবে,
তখন কি আমরা
অর্থবোধক অনুভূতি থেকে
সম্পূর্ণ শূন্য হয়ে যাব?
যখন আমরা আর আহারের জন্য ক্ষুধার্ত থাকব না,
তখন কি আমরা সময়ের মৃত্যুযাত্রায়
নীরবে আত্মসমর্পণ করব?
যখন দিগন্তের শেষ
আমাদের সামনে দাঁড়াবে,
তখন কি আমরা ছুটে বেড়াব
সবকিছু মনে করতে, ফিরে পেতে
যা আমরা অবহেলা করেছি,
ধ্বংস করেছি, ভুলে গেছি?
যখন সব ‘কেন’র উত্তর মিলবে,
তখন কি আমরা অবশেষে বুঝতে পারব?
যেমন মি. স্মিথ বলেছিল নিওকে,
আমরা একধরনের ভাইরাস,
একটা বিপজ্জনক জাত
যাদের সবচেয়ে বড় ক্ষমতা হলো
ধ্বংস করার দক্ষতা।
এই আত্মনির্মিত দুঃস্বপ্ন
কবে শেষ হবে?
কবে?