ঝিনাইদহে জিপিএ-৫ উৎসব: ‘সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে চাই, তার জন্য তৈরি হতে হবে’
Published: 17th, August 2025 GMT
ঝিনাইদহে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কৃতী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১০টায় শহরের জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্কে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘স্বপ্ন দেখো জীবন গড়ো’—এই স্লোগানে শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম শিখোর পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রথম আলো।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মজিদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সব ভালো কাজের সঙ্গে আমরা থাকতে চাই। পরিশ্রম ও ধৈর্য ছাড়া সফলতা আসে না। তোমরা সবাই ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করবে। তোমার হাত ধরে সমাজ এবং দেশ পরিবর্তিত হবে। আমরা চাই একটি সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে আর তার জন্য তৈরি হতে হবে। আজ যারা আমার সামনে বসে আছে, তারাই সেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন, আন্দুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হক, ঝিনাইদহ পৌর মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভীন, জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা রহমান এবং বন্ধুসভার সভাপতি বিপাসা আহম্মেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আজাদ রহমান।
আয়োজকেরা জানান, শিক্ষার্থীদের মেধা ও সাফল্যকে স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্দেশ্যে এ আয়োজন করা হয়েছে। এতে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৯ শতাধিক শিক্ষার্থীকে সম্মাননা স্মারক ও সনদ প্রদান করা হয়।
আয়োজনটি পাওয়ার্ড বাই কনকা-গ্রি এবং সহযোগিতায় থাকছে কনকর্ড গ্রুপ, ফ্রেশ, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, কোয়ালিটি গ্রুপ, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস, আকিজ টেলিকম লিমিটেড, আম্বার আইটি লিমিটেড, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরের লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে চলছে
বন্দরের ঐতিহ্যবাহী লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে মেতে উঠেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। যে খাল দিয়ে এক সময় শীতলক্ষা-বহ্মপুত্র নদীতে সংযোগ ছিল।
সেই ঐতিহ্যবাহী খালটি অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছে ওই সকল ভূমিদস্যুরা।
খালটি দখল হয়ে যাওয়ার কারনে পয়নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয়রা। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উল্লেখিত খাল দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা ।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ ও সানাউল্লাহ সানু এবং বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের মদদপুষ্ট হয়ে আদর্শ বিদ্যানিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে খাল দখল করে রাস্তা বানিয়েছে।
তেমনি ভাবে গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া খালটি ভরাট করার কারনে বন্দর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের কদমতলীসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ড্রেজার দিয়ে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি ভরাট করতে গিয়ে সরকারি খাল দখল করে নিয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন সৈকত জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রভাবশালী মহল ও ভূমিদস্যুদের কর্তৃক দখলকৃত খালটি উদ্ধার করে পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।