তিন দিন ধরে নোয়াখালী পৌরসভার সরবরাহ করা সুপেয় পানি পাচ্ছেন না শহরের সার্কিট হাউস এলাকার বাসিন্দা ফরহাদ কিসলু। পানি না পেয়ে রান্নাসহ গৃহস্থালির নানা কাজ করতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাঁর পরিবারের সদস্যদের। বোতলজাত পানি কিনে পান করতে হচ্ছে তাঁদের।

শুধু ফরহাদ কিসলুই নন, তাঁর মতো একই ভোগান্তিতে রয়েছেন নোয়াখালী পৌরসভার অনেক বাসিন্দা। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পানির সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় তাঁদের এই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

নোয়াখালী পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সরবরাহ করা পানির গ্রাহকসংখ্যা প্রায় সাত হাজার। বিভিন্ন স্থানে বসানো ১২টি বৈদ্যুতিক পাম্পের সাহায্যে ভূগর্ভ থেকে পানি তোলার পর তা পরিশোধন করে গ্রাহকদের সরবরাহ করা হয়। প্রতিদিন এক কোটি লিটার পানি সরবরাহ করতে পারে পৌর কর্তৃপক্ষ। তবে গত কয়েক দিনে ১২টি পাম্পের ৬টি বিকল হয়ে পড়ায় পানি সরবরাহও অর্ধেকে নেমে এসেছে। প্রতিদিন ৫০ লাখ লিটারের মতো পানি সরবরাহ করতে পারছেন।

পৌর শহরের সার্কিট হাউস এলাকার আরেক বাসিন্দা মো.

মোস্তফা জানান, বাসিন্দাদের নিজেদের বসানো পাম্পে যে পানি ওঠে, তাতে মাত্রাতিরিক্ত আয়রন, যে কারণে এই পানি দিয়ে রান্না করা সম্ভব হয় না। পানও করা যায় না। তিন দিন ধরে পৌরসভার পানি না পেয়ে অনেক বাসিন্দা দূরদূরান্তের পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করে এনে রান্না করছেন। পান করার জন্য বোতলজাত পানি কিনতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘এমনিতে প্রায় সময় পৌরসভার পানিতে দুর্গন্ধসহ নানা সমস্যা থাকে। এর মধ্যে এখন পানি সরবরাহই বন্ধ। মানুষের ভোগান্তির কোনো শেষ নেই।’

পৌর শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা নুরুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, গত দুই দিনে তাঁর এলাকায় পানি সরবরাহ কমেছে। পানি পাচ্ছেন খুবই কম, তা দিয়ে পরিবারের পানির চাহিদা মিটছে না।

পানি সরবরাহ কমার বিষয়টি স্বীকার করেছেন পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. সোহেল। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পানি তোলার ১২টি পাম্পের মধ্যে ৬টিই বর্তমানে বিকল। এ কারণে গত তিন দিনে দৈনিক এক কোটি লিটারের পরিবর্তে ৫০ লাখ লিটার পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে। বিকল পাম্পগুলো সচলের চেষ্টার পাশাপাশি নতুন পাম্প সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। তবে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কয়েক দিন লাগতে পারে।

পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ ইসমাঈল প্রথম আলোকে বলেন, পানি সরবরাহে সমস্যার বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত রয়েছেন। বিদ্যুৎ লাইনের সমস্যার কারণে ঠিকমতো পানি ওঠানো যাচ্ছে না। আবার পাম্পের সমস্যাও রয়েছে। সমস্যাগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা চলছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরবর হ কম র সরবর হ প রসভ র সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’

ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাঁপাইনবাবগঞ্জে পেঁয়াজের দামে সেঞ্চুরি
  • যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন আনা হবে
  • মধ্যস্থতা নিয়ে আদানির প্রস্তাবে রাজি নয় পিডিবি
  • বিশ্বকে ১৫০ বার ধ্বংস করার মতো পারমাণবিক অস্ত্র আমাদের আছে: ট্রাম্প
  • দুই সপ্তাহের মধ্যে তেহরানে সুপেয় পানি ফুরিয়ে যেতে পারে
  • চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে
  • জ্বালানি খাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন
  • বাজারে আগাম সবজি আসতে দেরি, দাম চড়া
  • নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল