৩৮ ঘণ্টা ধরে রাজশাহীসহ তিন জেলায় চলছে না দূরপাল্লার বাস
Published: 27th, September 2025 GMT
উত্তরাঞ্চলের তিন জেলা রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোরে ৩৮ ঘণ্টা পরও দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়নি। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় অঞ্চলটির বাসমালিক পক্ষ। এরপর আজ শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। এ কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
সংশ্লিষ্ট রুটের যাত্রীদের ভাষ্য, মালিক ও শ্রমিক পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তাঁরা। জরুরি প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে বিকল্প যানবাহনে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। পূর্বঘোষণা ছাড়া এ ধরনের ধর্মঘটের কারণে তাঁদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে এবং সময়ও লাগছে বেশি। ট্রেনেরও টিকিট নেই।
আরও পড়ুনরাজশাহীসহ তিন জেলা থেকে দূরপাল্লার বাস বন্ধ, যাত্রীদের চরম ভোগান্তি১৬ ঘণ্টা আগেবাসমালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে একতা ট্রান্সপোর্ট ও কয়েকটি লোকাল বাস ছাড়া অন্য সব দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ আছে। এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকেরা তিন জেলা থেকে দূরপাল্লার বাস চালানো বন্ধ করে দেন। দুই দিন পর মালিকপক্ষের আশ্বাসে তাঁরা বাস চলাচল শুরু করলেও আশানুরূপ বেতন-ভাতা না বাড়ানোয় ২২ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে আবারও কর্মবিরতি শুরু করেন।
২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল পর্যন্ত একতা ছাড়া অন্য সব বাসের চলাচল বন্ধ ছিল। পরে শ্রমিকদের বেতনাদি বাড়ানো হলেও গত বৃহস্পতিবার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার মালিকপক্ষ বাস বন্ধ রেখেছে। এ কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজারসহ দূরপাল্লার যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
আজ শনিবার সকালে রাজশাহী নগরের শিরোইল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, শিরোইলের ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দূরপাল্লার কোনো বাস নেই। কাউন্টারগুলো খোলা থাকলেও টিকিট বিক্রি করছেন না। যাত্রীরা এসে গাড়ি না পেয়ে কেউ অপেক্ষা করছেন, কেউ বিকল্প উপায়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
গোলাম মোস্তফা নামের এক যাত্রী বলেন, ঢাকাগামী বাস সরাসরি পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে লোকাল একটি বাসে টিকিট কেটেছেন। তিনি বলেন, ‘মালিক-শ্রমিকের দ্বন্দ্ব থাকবেই। তাই বলে হঠাৎ বাস বন্ধ করে দেবে!’
আরও পড়ুনচাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে আবার দূরপাল্লার বাস বন্ধ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫উত্তরবঙ্গ বাস মালিক সমিতির মহাসচিব নজরুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর পর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। খোরাকির ১০০ থেকে ১১৫ টাকা না দেওয়ায় শ্রমিকদের সঙ্গে এক বাসের ব্যবস্থাপকের ঝামেলা বাঁধে। এর পর থেকে বাস চলাচল বন্ধ।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বজলুর রহমান বলেন, ‘এখন শ্রমিকেরা দূরপাল্লার বাসে যেখানে-সেখানে থামিয়ে যাত্রী তুলতে চাইছেন এবং খোরাকি ভাতার দাবি করছেন। যেখানে-সেখানে বাস থামিয়ে যাত্রী তুললে তো ব্যবসা করা যাবে না। এটা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে নতুন করে বিরোধ। তাঁরা বাস চালাবেন না বলেছেন। আমরাও বলেছি, ঠিক আছে, এভাবে বাস চালাতে চাই না। কত দিন বসে থাকবে থাকুক।’
অন্যদিকে রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স প ট ম বর ব স বন ধ করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
রাঙামাটিতে ৩৬ ঘণ্টা হরতালের ডাক
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীনে শিক্ষক নিয়োগে কোটা বৈষম্য ও অনিয়মের প্রতিবাদে জেলায় বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩৬ ঘণ্টা হরতালের ডাক দিয়েছে কোটাবিরোধী ঐক্যজোট, সাধারণ শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকবৃন্দ।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ৩টায় জেলার একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতা রাকিব হাসান, শিক্ষার্থী ইব্রাহিম রুবেল, নুরুল আলম, রুবেল হোসেন, রেজাউল করিম রাজু ও ইমাম হোছাইন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোটা বৈষম্য বাদ দিয়ে সঠিকভাবে নিয়োগ প্রদানের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানানোর পরেও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের সমাধান দেয়নি। তাই, বাধ্য হয়ে হরতাল দিতে হয়েছে।
বক্তারা বলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কোনো কোটা উল্লেখ নেই এবং শূন্যপদের সংখ্যাও পরিষ্কারভাবে জানানো হয়নি। সরকার নির্ধারিত সাত শতাংশ কোটা বিধান উপেক্ষা করে পরিষদ কর্তৃপক্ষ ৭০ শতাংশ উপজাতি ও ৩০ শতাংশ বাঙালি কোটা অনুসারে নিয়োগ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে, যা দুঃখজনক। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। কোটা প্রথার নামে বৈষম্য আর মেধা হত্যার সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেব না।
ঢাকা/শংকর/রাজীব