আড়াইহাজারে উপজেলাজুড়ে ৩১ টি পূজা মন্ডপে রাতভর ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন, নিরাপত্তা তদারকি ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মোঃ মামুনুর রশীদ।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত সারারাত নির্ঘুম থেকে উপজেলার ৩১ টি মন্ডপে তিনি এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তার দায়িত্বশীল কার্যক্রমে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে উপজেলাবাসী খুশী হয়েছেন। তাকে উপজেলার এমন অভিভাবক হিসেবে অনেকে অভিহিত করেছেন যেমন অভিভাবক একটি পরিবারের সম্পূর্ণ ভরসাস্থল।

প্রায় প্রতিটি মন্ডপে সার্বিক খোঁজ খবর নেন তিনি। সেখানে কোথায় কি প্রয়োজন, কোথাও নিরাপত্তার ঘাটতি রয়েছে কিনা, কারো কোন দায়িত্বে অবহেলা আছে কিনা তা নিজেই দেখেছেন তিনি। এতে তার প্রতি উপজেলাবাসীর আস্থা বিশ্বাস বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে তার প্রতি মানুষের প্রত্যাশাও বেড়েছে অনেক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) নঈম উদ্দিন, উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আতাউর রহমান, আনসার বিডিপি কর্মকর্তা আল মামুনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

আড়াইহাজার চৌধুরী পাড়া পূজা মন্ডপসহ উপজেলার ৩১ টি মন্ডপ এবার পূজার রয়েছে। সবগুলো মন্ডপেই নিয়মিত যোগাযোগ রেখে কোন ধরনের প্রয়োজন হলেই সেখানে ছুটে যাচ্ছেন ইউএনও।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইউএনও কর মকর ত উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বরিশালে সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিসি-ইউএনওর সামনে হামলা–ভাঙচুর

বরিশালের মুলাদীতে একটি সেতুর নাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়।

আজ শনিবার সকালে মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর নির্মিত একটি সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানের জন্য সেখানে উপস্থিত জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সামনেই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা সেতুর নামফলক, সভামঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করেন এবং অনুষ্ঠানস্থলে বিছানো লালগালিচা তুলে নিয়ে যান। পরে মুলাদী ও পার্শ্ববর্তী মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শী কাচিচর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সাইফুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম, ইউএনও মো. গোলাম সরওয়ার, মুলাদী থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা সেতুর পশ্চিম প্রান্তে উপস্থিত হন। সকাল ১০টার দিকে নাজিরপুর ও রামারপোল গ্রামের লোকজন সেতুর পূর্ব পাশ থেকে ‘উদ্বোধন মানি না’ স্লোগান দিতে দিতে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। এরপর জেলা প্রশাসকসহ কর্মকর্তাদের সামনেই নামফলক, মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।

স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য, সেতুটির পূর্বনির্ধারিত নাম ছিল ‘নাজিরপুর–রামারপোল সৌহার্দ্য সেতু’। স্থানীয় লোকজনের মতামত উপেক্ষা করে নাম পরিবর্তন করে ‘৩৬ জুলাই সেতু’ নামে উদ্বোধনের চেষ্টা করা হচ্ছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকার সঙ্গে নাজিরপুর এলাকার যোগাযোগ উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৪ সালে আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর ‘নাজিরপুর–রামারপোল সৌহার্দ্য সেতু’ নামে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকার পর চলতি বছর মূল সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়। তবে সংযোগ সড়কের কাজ অসম্পূর্ণ থাকা অবস্থায় মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে সেতুটির নাম পরিবর্তন করে ‘৩৬ জুলাই সেতু’ রাখা হয় এবং ৬ ডিসেম্বর উদ্বোধনের দিন নির্ধারণ করা হয়।

মুলাদী থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় কিছু লোকের হামলা ও ভাঙচুরের কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে গেছে।

মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. গোলাম সরওয়ার বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সেতুটির নাম পরিবর্তন করে ‘৩৬ জুলাই সেতু’ নামে উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে নাম পরিবর্তন নিয়ে স্থানীয়রা আগেই আপত্তি জানিয়ে অভিযোগ দিয়েছিলেন, যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে নতুন ইউএনও শিবানী সরকারের যোগদান
  • রাজবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত কবরস্থানে দুর্বৃত্তদের আগুন
  • বরিশালে সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিসি-ইউএনওর সামনে হামলা–ভাঙচুর