গাইবান্ধায় মারধরের পর ঘরের টিন খুলে নিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে
Published: 3rd, October 2025 GMT
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে মতিয়ার রহমান (৭৫) নামের এক বৃদ্ধকে মারধরের পর ঘরের টিন খুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী সুরুজ মিয়া (১৮) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গত বুধবার (১ অক্টোবর) মতিয়ার মিয়ার স্ত্রী জমিলা বেগম ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কেন্দ্রের ইনচার্জ স্বপন কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘‘পূজার ব্যস্ততা থাকায় তদন্তে অগ্রগতি হয়নি। অভিযুক্তকে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।’’
এর আগে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রঘুনাথপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
হতদরিদ্র বৃদ্ধকে মারধর ও ঘরের টিন খুলে নেওয়ার কারণ জানার চেষ্টা করেছে রাইজিংবিডি ডট কম।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, ‘‘প্রায় দুই মাস আগে মতিয়ার রহমানের নাতি বুলুর কাছ থেকে একটি নষ্ট মোবাইল মেরামত করে ব্যবহার করার জন্য নেন প্রতিবেশী সাজু মিয়ার ছেলে সুরুজ মিয়া। তারা একসঙ্গে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। পরে এক হাজার টাকা খরচ করে মোবাইল সচল করে ব্যবহার করতে থাকেন সুরুজ মিয়া। কিছুদিন আগে সুরুজের কাছে থেকে মোবাইলটি হারিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে গ্রামেই তা পাওয়া যায়। এরপর সুরুজ বুলুকে মোবাইল ফেরত দিয়ে মেরামতের এক হাজার টাকা ফেরত চায়। সেই এক হাজার টাকা ফেরত দিতে দেরি হওয়ায় সুরুজ বুলুর বাড়িতে এসে তার বৃদ্ধ দাদা মতিয়ার মিয়াকে কিল-ঘুষি মারেন এবং ঘরের বারান্দা থেকে ৬-৭টি টিন খুলে নিয়ে যায়।’’
বৃদ্ধ মতিয়ার রহমান বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী ঘরে নামাজ পড়ছিল। সুরুজ এসে টিন খোলা শুরু করে। আমার স্ত্রী নামাজ শেষ করে সুরুজক বাঁধা দিতে গেলে তার সঙ্গে হাতাহাতি হয়। তখন আমি চেয়ার থাকি উঠে সুরুজকে থামাতে গেলে আমার শরীরে জোরে ঘুষি মারে। পরে মুখে ঘুষি মারে।’’
বৃদ্ধ মতিয়ার রহমানের স্ত্রী জমিলা বেগম অভিযোগ করেন বলেন, ‘‘সুরুজ আমার নাতির বয়সী হলেও সে আমার স্বামীর গায়ে হাত তুলেছে। আমার নাতির কাছে দাবি করা এক হাজার টাকা ফেরত দিতে এক দিনের সময় চেয়ে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু সুরুজ কোনো কথা শোনেনি। আমার গায়েও হাত তুলতে এসেছিল। আমার স্বামী এসে বাঁধা দিয়েছে। তখনই গায়ে হাত তোলে সুরুজ।’’
হতাশা ও ক্ষোভের সূরে তিনি আরো বলেন, ‘‘সুরুজ টিনগুলো এখনো ফেরত দেয়নি। একটাই থাকার ঘর। বৃষ্টিতে সমস্যা হচ্ছে। সুরুজ মোবাইল মেরামত করার কথা বললেও মোবাইলটি আসলে নষ্টই ছিল।’’
ঢাকা/মাসুম/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এক হ জ র ট ক র রহম ন আম র স
এছাড়াও পড়ুন:
‘খুব শিগগির পাবনা-ঢাকা সরাসরি রেল চলাচল শুরু হবে’
খুব শিগগির ঢাকা-পাবনা সরাসরি রেল চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ সচিব ফাহিমুল ইসলাম শোভন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচরের খাস চরে এক সমাবেশে এ তথ্য জানান তিনি।
এর আগে বেড়া উপজেলার খয়েরচর, ঢালারচর, কাজীরহাট সরেজমিন পরির্দশন করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহছানুল হক ও বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম শোভন।
আরো পড়ুন:
নতুন সূচিতে সেবা, ট্রেন পাওয়া যাবে সোয়া ৪ মিনিট পরপর
যৌথ ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হচ্ছে ঢাকা, রাজশাহী ও সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতাল
এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এছাড়াও পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম রেজা হাবিব, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসাইন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাসুদ খন্দকারসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ও রাজনীতি দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ দুই সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা পাবনা-ঢাকা-পাবনা সরাসরি রেল যোগাযোগ চালু, জ্বালানি ব্যয় ও সময় হ্রাস এবং বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থার নিশ্চিত করার জন্য কাজিরহাট ফেরিঘাট-খয়েরচর চালু করা, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংযোগ সড়ক চালুর প্রস্তাব, ঢালার চর থেকে পদ্মা রেল সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য ঢালারচর-রাজবাড়ী রেল ব্রিজ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাবিত প্রকল্পস্থল সরেজমিন পরির্দশন করেন।
পরে দুই সচিব সাংবাদিকদের বলেন, প্রকল্পস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করে তাদের নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। মানুষের দাবি এবং তাদের অভিজ্ঞতা সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে জানানো হবে। তবে এখানে অনেক আশার আলো রয়েছে বলে তারা জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে পাবনা-কাজীরহাট-দৌলতদিয়া দ্বিতীয় যমুনা সেতু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি এলাকার মানুষ মনে রেখে এখনো আশায় বুক বেধে আছে। আমরা মানুষের প্রত্যাশার কথা সরকারের কাছে তুলে ধরতে এই সরেজমিন পরির্দশনের অনুরোধ করেছি। আশা করছি, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মানুষের পালস বুঝে কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের প্রস্তাবনা তুলে ধরবেন। আশা করি এ সব প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।’’
ঢাকা/শাহীন/বকুল