রাতে কতবার ঘুম ভাঙা স্বাভাবিক, কখন চিন্তার কারণ
Published: 4th, October 2025 GMT
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের নানা কারণেই রাতে ঘুম ভেঙে যেতে পারে। কিছু বিষয় ঘুমের পরিবেশের সঙ্গে জড়িত, কিছু আবার স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। রাতে এক থেকে তিনবার আপনার ঘুম ভেঙে যেতে পারে স্বাভাবিকভাবেই। অবশ্য বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমের সমস্যা বাড়তে দেখা যায়। তখন পাঁচবার পর্যন্ত ঘুম ভেঙে যাওয়াকেও স্বাভাবিক ধরে নেওয়া যেতে পারে। তবে এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরও কিছু বিষয়। সেগুলো ঠিক না থাকলে মাত্র একবার ঘুম ভাঙাটাও অস্বাভাবিক হতে পারে।
যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবেকিছু সমস্যা দেখা দিলে রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়াটাকে অস্বাভাবিক ধরে নেওয়া হয়:
একবার ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর ৩০ মিনিটের মধ্যে আবার ঘুমিয়ে পড়তে না পারা।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার ৩০ মিনিটের মধ্যে সতেজ হতে না পারা, মাথাব্যথা করা।
সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব কিংবা বারবার ঘুমানোর প্রয়োজন অনুভব করা।
দিনের বেলা কাজেকর্মে মনোযোগ দিতে না পারা।
দিনের অনেকটা সময় তুচ্ছ কারণে মেজাজ বিগড়ে থাকা।
হরমোনের পরিবর্তন হলেও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে রুলস হওয়ার আগেই সমাধান খুঁজতে হবে: ডিএসই চেয়ারম্যান
দেশের পুঁজিবাজারে রুলস তৈরি হওয়ার আগেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক অফার অব ইক্যুইটি সিকিউরিটিজ) রুলস, ২০২৫’ শীর্ষক আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
একমি পেস্টিসাইডসের প্রথম প্রান্তিকে লোকসান কমেছে ১৬.৬৭ শতাংশ
সিএসইর কমোডিটি এক্সচেঞ্জের উন্নয়নে মালয়েশিয়া সহযোগিতা করবে: রাষ্টদূত
মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘পুঁজিবাজারে অনেক সমস্যা আছে, যে কারণে ভালো ভালো কোম্পানিগুলো এখনো তালিকাভুক্ত হয়নি। এ সমস্যাগুলো দূর করতে রুলস হওয়ার আগেই সমাধান খুঁজতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘মার্কেটের পরিধি বাড়াতে ভালো ও নতুন নতুন প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আনতে হবে। কিন্তু পুঁজিবাজারে সমস্যাকালীন দরজা–জানালা বন্ধ হয়ে যেতে দেখা যায়। নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায়িত্বে যারা থাকেন, তাদের হাতেও অনেক সময় রুলস ছাড়া কিছু করার থাকে না। তাই সমস্যাগুলো যেন জমে না থাকে, সে জন্য রুলস হওয়ার আগেই সমাধান খোঁজা প্রয়োজন।’’
ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘বাজারে ভালো কোম্পানির সংখ্যা খুবই কম। ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তি বাড়াতে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। এই জায়গায় কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। তাই ভালো কোম্পানিগুলোকে বাজারে আনার উপযোগী করে রুলস তৈরি করা দরকার।’’
ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) সভাপতি এস এম গোলাম সামদানী ভূঁইয়া বলেন, ‘‘পুঁজিবাজারে আইপিও অনুমোদনে প্রধান বাধা দীর্ঘকালক্ষেপণ। বর্তমানে একটি আইপিও অনুমোদন পেতে এক থেকে দেড় বছর লেগে যায়। যেখানে কোনো কোম্পানি মূলধন সংগ্রহ বা ঋণ সহজে ব্যাংক থেকে পেতে পারে। বিশেষ করে ভালো ভালো কোম্পানি যখন ব্যাংকে ঋণ নিতে যায়, ১৫ দিন থেকে এক মাসের মধ্যে চাহিদামতো ঋণ পেয়ে যায়। গত দুই বছরে পুঁজিবাজারে কোনো আইপিও নেই। ভালো আইপিও না আসার কারণে পুঁজিবাজার নেতিবাচক প্রবণতা থেকে বের হতে পারছে না।’’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে। এতে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি), বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (ডিসিসিআই), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজের (বিএপিআই) প্রতিনিধি ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এনটি/বকুল