লাঙল কিংবা কাস্তে-হাতুড়ির সময় পেরিয়ে কৃষি এখন পৌঁছে গেছে আধুনিক যুগে। বিশ্বজুড়েই কৃষিকাজে এখন ব্যবহার বেড়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতির। বাংলাদেশের কৃষিতেও দ্রুত বাড়ছে আধুনিক কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার, বদলে যাচ্ছে চিরচেনা দৃশ্যপট। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের আধুনিক এই যুগে ২০০৭ সালে সোনালিকা ট্রাক্টর দিয়ে যাত্রা শুরু করে এসিআই মটরস্। বর্তমানে এসিআই মটরস্-এর ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলার দিয়ে আমাদের দেশের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ জমি চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে সোনালিকা ট্রাক্টরের রয়েছে ২৬ হাজারের বেশি গ্রাহক। প্রতিষ্ঠানটি দেশে সর্বাধিক বিক্রীত ট্রাক্টর ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম।

এই ধারাবাহিক সাফল্যের অংশ হিসেবেই গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে উদ্‌যাপন করা হয় ‘সোনালিকা ডে ২০২৫’। এসিআই মটরস্-এর উদ্যোগে আয়োজিত এ বার্ষিক সেবা ও মতবিনিময় সভা কেবল রাজশাহীতেই সীমাবদ্ধ নয়। সারা দেশে মোট ৫০টি স্থানে আয়োজিত হবে এমন মতবিনিময় সভা। এ আয়োজনের মাধ্যমে প্রায় ৬ হাজার গ্রাহকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা হবে বলে জানান আয়োজকেরা। শুধু সেবাই নয়, দিনটিকে ঘিরে গ্রাহকেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে একত্র হওয়ার সুযোগ পান। ফলে অনুষ্ঠানটি রূপ নেয় একধরনের পারিবারিক মিলনমেলায়।

‘সোনালিকা ডে’র মতবিনিময় সভায় অংশ নেন গ্রাহক মো.

আশরাফুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে তাঁর অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘আমি পাঁচ বছর ধরে সোনালিকা ট্রাক্টর চালাচ্ছি। এসিআই কোম্পানির কর্মীদের ব্যবহার ও দ্রুত সার্ভিসে আমরা খুব খুশি। আমাদের যেকোনো সমস্যা হলে তিন ঘণ্টার মধ্যেই তাঁরা সমাধান দেন।’

আরেকজন গ্রাহক মো. এরশাদ প্রামাণিক বলেন, ‘পারিবারিকভাবে আমি অনেক অসচ্ছল ছিলাম। সোনালিকা ট্রাক্টর কেনার আগে আমি মানুষের জন্য কাজ করতাম। ট্রাক্টর কেনার পর আমি স্বাবলম্বী হয়েছি, নিজের কর্মসংস্থানের পথ তৈরি হয়েছে। আর ট্রাক্টরে কোনো সমস্যা হলে কোম্পানিকে জানালেই সঙ্গে সঙ্গে সার্ভিস পেয়ে যাই।’

এসিআই মটরস্-এর চিফ বিজনেস অফিসার ইঞ্জিনিয়ার আসিফ উদ্দীন বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে মূলত আমরা গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এতে তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সুযোগ পাওয়া যায়। এ আয়োজন সারা দেশে গ্রাহকদের কাছে ‘‘সোনালিকা ডে’’ নামে পরিচিত। এই দিনে গ্রাহকেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে আসেন, সবাই একসঙ্গে সময় কাটান এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা, সুখ-দুঃখ শেয়ার করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই সামনের কৃষি মৌসুম আসার আগেই গ্রাহকেরা যেন তাঁদের ট্রাক্টর ভালোভাবে সার্ভিস করিয়ে নিতে পারেন। এতে করে তাঁরা পুরো মৌসুম নিরবচ্ছিন্নভাবে ট্রাক্টর চালাতে পারবেন। আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের আয়োজন আমাদের গ্রাহকদের সঙ্গে সম্পর্ক ও বন্ধনকে আরও সুন্দর ও দৃঢ় করে তুলবে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র হক র

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাইব্যুনাল যে রায় দেবেন, সেটাই কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল সোমবার (১৭ নভেম্বর)।

এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘‘আদালত কি রায় দেয়, তার দিকে কান পেতে থাকুন। ট্রাইব্যুনাল যে রায় দেবেন, সেটাই কার্যকর হবে।’’

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘‘আদালতের রায় দেশের মানুষ মেনে নেবেন। তবু, যেকোনো বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।’’

রবিবার (১৬ নভেম্বর) বরিশাল পুলিশ লাইন্সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘‘পরিস্থিতি যে খুব ভালো তা বলব না, আবার খুব খারাপ তাও নয়; সন্তোষজনক রয়েছে।’’

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উৎসবমুখর করতে প্রশাসন মাঠ গুছানোর কাজ করছে। ইতোমধ্যে প্রশাসনকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’’

তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন উৎসবমুখর শুধু মাঠ প্রশাসনের ওপর নির্ভর করে না। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সর্বশেষ জনগণ। জনগণ যদি নির্বাচনমুখী হয় সেক্ষেত্রে কেউ তাদের থামিয়ে রাখতে পারবে না।’’

ঢাকা/পলাশ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ট্রাইব্যুনাল যে রায় দেবেন, সেটাই কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা