চট্টগ্রাম-১৫ আসন ঘিরে জামায়াতে ইসলামী বা দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কোনো ধরনের অসন্তোষ নেই বলে জানিয়েছে দলটির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখা। তারা বলেছে, এ আসনে দলের নেতা-কর্মীরা আন্তরিক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে নির্বাচনী প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন।

আজ প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে ‘নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত, কেন্দ্রভিত্তিক প্রস্তুতি শুরু জামায়াতের, আলোচনায় কারা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে লেখা হয়েছে, ‘চট্টগ্রাম-১৫ আসন নিয়েও অসন্তোষ দেখা গেছে। সেখানে জামায়াত শাহজাহান চৌধুরীকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।’

এর প্রতিবাদ জানিয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরী ও সেক্রেটারি মাওলানা বদরুল হক বলেছেন, প্রার্থিতা নিয়ে কোনো ধরনের অসন্তোষ নেই।

প্রতিবাদ বিবৃতিতে দুই নেতা বলেন, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে জামায়াতে ইসলামী এখন একটি সংগঠিত, ঐক্যবদ্ধ ও উদ্দীপনাময় পরিবেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সেখানে কোনো অসন্তোষের স্থান নেই। সব দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও কর্মীরা দিন-রাত পরিশ্রম করে ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ, কেন্দ্রভিত্তিক কাঠামো মজবুত করা, নির্বাচনী প্রচারণার প্রস্তুতি ও সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার কাজে সম্পৃক্ত আছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অসন ত ষ

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে রুলস হওয়ার আগেই সমাধান খুঁজতে হবে: ডিএসই চেয়ারম্যান

দেশের পুঁজিবাজারে রুলস তৈরি হওয়ার আগেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক অফার অব ইক্যুইটি সিকিউরিটিজ) রুলস, ২০২৫’ শীর্ষক আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

একমি পেস্টিসাইডসের প্রথম প্রান্তিকে লোকসান কমেছে ১৬.৬৭ শতাংশ

সিএসইর কমোডিটি এক্সচেঞ্জের উন্নয়নে মালয়েশিয়া সহযোগিতা করবে: রাষ্টদূত

মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘পুঁজিবাজারে অনেক সমস্যা আছে, যে কারণে ভালো ভালো কোম্পানিগুলো এখনো তালিকাভুক্ত হয়নি। এ সমস্যাগুলো দূর করতে রুলস হওয়ার আগেই সমাধান খুঁজতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে হবে।’’ 

তিনি বলেন, ‘‘মার্কেটের পরিধি বাড়াতে ভালো ও নতুন নতুন প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আনতে হবে। কিন্তু পুঁজিবাজারে সমস্যাকালীন দরজা–জানালা বন্ধ হয়ে যেতে দেখা যায়। নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায়িত্বে যারা থাকেন, তাদের হাতেও অনেক সময় রুলস ছাড়া কিছু করার থাকে না। তাই সমস্যাগুলো যেন জমে না থাকে, সে জন্য রুলস হওয়ার আগেই সমাধান খোঁজা প্রয়োজন।’’ 

ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘বাজারে ভালো কোম্পানির সংখ্যা খুবই কম। ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তি বাড়াতে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। এই জায়গায় কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। তাই ভালো কোম্পানিগুলোকে বাজারে আনার উপযোগী করে রুলস তৈরি করা দরকার।’’ 

ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) সভাপতি এস এম গোলাম সামদানী ভূঁইয়া বলেন, ‘‘পুঁজিবাজারে আইপিও অনুমোদনে প্রধান বাধা দীর্ঘকালক্ষেপণ। বর্তমানে একটি আইপিও অনুমোদন পেতে এক থেকে দেড় বছর লেগে যায়। যেখানে কোনো কোম্পানি মূলধন সংগ্রহ বা ঋণ সহজে ব্যাংক থেকে পেতে পারে। বিশেষ করে ভালো ভালো কোম্পানি যখন ব্যাংকে ঋণ নিতে যায়, ১৫ দিন থেকে এক মাসের মধ্যে চাহিদামতো ঋণ পেয়ে যায়। গত দুই বছরে পুঁজিবাজারে কোনো আইপিও নেই। ভালো আইপিও না আসার কারণে পুঁজিবাজার নেতিবাচক প্রবণতা থেকে বের হতে পারছে না।’’ 

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে। এতে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি), বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (ডিসিসিআই), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজের (বিএপিআই) প্রতিনিধি ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।
 

ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ