খাবার ও আবাসনসংকটের সমাধান চান শিক্ষার্থীরা
Published: 5th, October 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বিনতা চাকমা থাকেন নবাব ফয়জুন্নেসা হলে। হলের ডাইনিংয়ের খাবার নিয়ে তাঁর বিস্তর অভিযোগ। ঠান্ডা ভাত, পানসে ডাল কিংবা ভাজিতে তেল-চিটচিটে গন্ধ। আবার থাকতেও হয় গাদাগাদি করে। এই শিক্ষার্থী বললেন, হলের আশপাশে দোকান বা ক্যাফেটেরিয়াও নেই। ডাইনিংয়ের খাবারও মুখে দেওয়া যায় না। হল প্রশাসন এসবের স্থায়ী সমাধান করতে পারেনি।
শুধু বিনতাই নন, এমন অভিযোগ শোনা যায় প্রায় প্রতিটি হলে। হলের শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে আবাসনসংকট আর খাবারের নিম্নমানের সমস্যা তাঁদের পিছু ছাড়ছে না। তাই চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে যাঁরা জয়ী হবেন, তাঁরা এ দুটি সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখবেন—এমনটাই প্রত্যাশা।
১৫ অক্টোবর সপ্তম চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। এবার হল সংসদে ৪৮৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ভোটার ২৭ হাজার ৫২১ জন। গত এক সপ্তাহে আবাসিক হলের অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, প্রার্থীদের কাছে তাঁরা দুই সংকট নিয়ে জোরালো পদক্ষেপ চান।
আবাসনসংকট ও নিম্নমানের খাবারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য মো.
হলে গাদাগাদির জীবন
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী প্রায় ২৮ হাজার। অথচ ১৪টি হলে আসন মাত্র ৬ হাজার ৩৬৯। বাস্তবে গাদাগাদি করে থাকছেন ৯ হাজারের মতো শিক্ষার্থী। এর বাইরে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী বাধ্য হয়ে থাকেন ক্যাম্পাসসংলগ্ন মেসে বা দূরের শহরে।
অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের শিক্ষার্থী পরেশ চাকমা বললেন, ‘আমাদের হল নতুন হলেও এখন দ্বৈত আসন দেওয়া হচ্ছে; অর্থাৎ এক আসনে দুজন থাকছেন। শুরুতে খাবারের মান মোটামুটি ভালো ছিল। এখন খারাপ হচ্ছে। অন্য হলের তুলনায় দামও বেশি। যাঁরা হল সংসদে নির্বাচিত হবেন, তাঁরা এ বিষয়ে কাজ করবেন বলে আমরা আশা করি।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের একটি হল। সম্প্রতি তোলা।উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বব দ য
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের সঙ্গে জয়ের পর শ্রীমঙ্গলের বাড়িতে শমিত, মানুষের ভিড়, উৎসব
বাংলাদেশ জাতীয় দলে যোগ দেওয়ার পর প্রথমবারের মতো মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পৈতৃক বাড়িতে গিয়েছেন ফুটবলার শমিত সোম। ভারতের বিরুদ্ধে ২২ বছর পর জয়ের আনন্দ নিয়ে আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে তিনি শ্রীমঙ্গলের দক্ষিণ উত্তরসুর গ্রামে পৌঁছালে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে।
পরিবারের সদস্যদের উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি কানাডায় জন্ম নেওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ফুটবলারকে একনজর দেখতে আশপাশের মানুষ ছুটে আসেন। শমিত সোম গাড়ি থেকে নামতেই মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালিয়ে বরণ করে নেন পরিবারের সদস্যরা। পরে বাড়িতে প্রবেশ করেন ২৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
আগে অনেকবার এসেছি। তবে জাতীয় দলে খেলার পর এটাই প্রথমবার। এবারের অনুভূতিটা একদমই আলাদা।শমিত সোম, ফুটবলার, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলশমিত সোমের আসার খবরে কয়েক দিন ধরেই তাঁর পৈতৃক বাড়িতে উৎসবের আমেজ। স্বজনেরা সুন্দর করে ঘরবাড়ি সাজিয়েছেন। বাড়িতে তাঁর ফুটবল খেলার ছবি দিয়ে ব্যানার টানানো হয়েছে। আগে অনেকবার এসেছেন, তবে বাংলাদেশ দলে যোগ দেওয়ার পর এবারই প্রথম যাওয়া। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে জয় নিয়ে ফেরায় উৎসব আরও বেড়ে যায়।
শমিত সোম গাড়ি থেকে নামতেই মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালিয়ে বরণ করে নেন পরিবারের সদস্যরা। বুধবার সকালে শ্রীমঙ্গলের দক্ষিণ উত্তরসুর গ্রামে