বিয়ের ১৭ দিন পর নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামীসহ নয়জন আটক
Published: 5th, October 2025 GMT
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় বিয়ের ১৭ দিন পর এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর নাম পপি বেগম ওরফে রাশেদা (১৮)। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের রেহানিয়া গ্রামের বাবার বাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত পপি বেগম রেহেনিয়া গ্রামের শরিফ উদ্দিনের মেয়ে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাঁর সঙ্গে উপজেলার চর বগুড়া গ্রামের মোহাম্মদ রুবেলের (২৬) বিয়ে হয়। গতকাল শনিবার সকালে রুবেলের পরিবারের লোকজন প্রতিবেশীদের জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে পপি বেগমের মৃত্যু হয়েছে। পপির পরিবারকেও একই কথা জানানো হয়। খবর পেয়ে পপির লাশ বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে পরিবারের সদস্যরা লক্ষ করেন তাঁর শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এরপর বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন তাঁরা। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় নয়জনকে আটক করা হয়। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য আজ রোববার সকালে নোয়াখালী সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহত গৃহবধূর শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড। ওসি আরও বলেন, আটক ব্যক্তিদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ের ১৭ দিন পর নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামীসহ নয়জন আটক
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় বিয়ের ১৭ দিন পর এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর নাম পপি বেগম ওরফে রাশেদা (১৮)। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের রেহানিয়া গ্রামের বাবার বাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত পপি বেগম রেহেনিয়া গ্রামের শরিফ উদ্দিনের মেয়ে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাঁর সঙ্গে উপজেলার চর বগুড়া গ্রামের মোহাম্মদ রুবেলের (২৬) বিয়ে হয়। গতকাল শনিবার সকালে রুবেলের পরিবারের লোকজন প্রতিবেশীদের জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে পপি বেগমের মৃত্যু হয়েছে। পপির পরিবারকেও একই কথা জানানো হয়। খবর পেয়ে পপির লাশ বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে পরিবারের সদস্যরা লক্ষ করেন তাঁর শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এরপর বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন তাঁরা। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় নয়জনকে আটক করা হয়। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য আজ রোববার সকালে নোয়াখালী সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহত গৃহবধূর শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড। ওসি আরও বলেন, আটক ব্যক্তিদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।