এসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপে প্রাণ ফিরে পেল টেঁটাবিদ্ধ কুকুর
Published: 5th, October 2025 GMT
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় টেঁটাবিদ্ধ একটি কুকুরকে উদ্ধার করে এসিল্যান্ডের (সহকারী কমিশনার—ভূমি) সহযোগিতায় চিকিৎসাসেবা দিয়েছে ‘এনিমেল লাভারস অব পটুয়াখালী’র কলাপাড়া শাখার সদস্যরা।
শনিবার (৫ অক্টোবর) রাত ১০টায় কুকুরটি উদ্ধার করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এর আগে শেষ বিকেলে কলাপাড়া উপজেলার চাকামাইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গ্রাম থেকে টেঁটাবিদ্ধ অবস্থায় কুকুরটি উদ্ধার করা হয়। তবে, কে বা কারা ওই কুকুরকে টেঁটাবিদ্ধ করেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এনিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া শাখার টিম লিডার বায়েজিদ মুন্সী বলেছেন, একটি টেঁটাবিদ্ধ কুকুর এলাকায় ঘোরাফেরা করছে, এমন খবর পাওয়ার পর আমরা বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদীককে অবহিত করি। পরে তার নির্দেশে কুকুরটিকে আমাদের সদস্যরা উদ্ধার করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে নিয়ে গেলে তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসা দেন। দ্রুত হস্তক্ষেপের জন্য এ্যাসিল্যান্ড মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এনিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর সদস্য কাওসার হৃদয় জানিয়েছেন, কুকুরটি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে। তার চিকিৎসা ও যত্ন অব্যাহত আছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদীক বলেছেন, বায়েজিদ মুন্সী আমাকে টেঁটাবিদ্ধ কুকুরের বিষয়ে অবহিত করলে আমি দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের সহকর্মীদের সহযোগিতার আহ্বান জানাই। এনিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর কলাপাড়ার শাখার সদস্য এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় কুকুরটির সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রাণী আমাদের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের অপরিহার্য অংশ। তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ও দায়িত্বশীল আচরণ মানবতার প্রতিফলন। উপজেলা প্রশাসন কলাপাড়া ভবিষ্যতেও প্রাণিকল্যাণ, সচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্ধার কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এন ম ল ল ভ র র কল প ড় উদ ধ র ক র সদস য উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ঘোড়া
ছোট্ট পুমুকেলকে দেখে যে কেউ অবাক হবেন—এটি ঘোড়া, গাধা, কুকুর নাকি পুতুল, তা বুঝতে কারও কারও কয়েক সেকেন্ড সময়ও লেগে যেতে পারে।
পুমুকেলের বাস জার্মানিতে। এটি দেখে আপনার যা–ই মনে হোক, পুমুকেল কিন্তু একটি জীবন্ত ঘোড়া। বাদামি ও উজ্জ্বল সাদা রঙের ঘোড়াটির ঘাড়ে-মাথায় বেশ বড় বড় লোম। সেগুলো অনেকটা চুলের মতো ঝুলে থাকে। এ কারণে হঠাৎ দেখায় সেটিকে একটি পুতুল বলে মনে হতে পারে।
তবে এসবের কিছুই পুমুকেলের মূল বৈশিষ্ট্য নয়। প্রাণীটির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো সেটির উচ্চতা। পুমুকেলের উচ্চতা মাত্র ২১ দশমিক ১ ইঞ্চি। নিজের এ উচ্চতার কারণে প্রাণীটি এখন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের মালিক। পুমুকেল এখন সবচেয়ে কম উচ্চতার জীবন্ত ঘোড়া।
২০২০ সালে ক্যারোলা ভাইডেমান নামের এক নারী পুমুকেলকে পালন করতে নেন। সে সময় এটির বয়স ছিল মাত্র ৫ মাস, উচ্চতা মাত্র ১৮ ইঞ্চি।
পুমুকেলকে প্রথমবার দেখার দিনের কথা এখনো স্পষ্ট মনে আছে ক্যারোলার। তিনি একটি থেরাপি ঘোড়া খুঁজছিলেন। তখন এক বন্ধু তাঁকে পুমুকেলের কথা জানান এবং তিনি পুমুকেলকে দেখতে যান।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকে ক্যারোলা বলেন, ‘আমি গাড়ি চালিয়ে সেখানে গিয়ে ওকে দেখি এবং সত্যিই, পুরোপুরি ধাক্কা খাই। এর আগে আমি এত ছোট ঘোড়া কখনো দেখিনি।’
এর আগে যে ঘোড়া এই রেকর্ডের মালিক ছিল, সেটির চেয়ে পুমুকেলের উচ্চতা দেড় ইঞ্চি কম।
পুমুকেল একটি প্রশিক্ষিত ঘোড়া। প্রাণীটি থেরাপি দেওয়ার কাজ করে। এ জন্য সেটিকে নিয়মিত বিভিন্ন নার্সিং হোম, হাসপাতাল, স্কুল ও প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য নানা প্রতিষ্ঠানে নেওয়া হয়।
ক্যারোলা বলেন, ‘সে খুবই মিষ্টি স্বভাবের। সে শিশুদের সঙ্গে অবিশ্বাস্য রকম ভালো আচরণ করে, খোঁচাখুঁচি ও আলিঙ্গন পছন্দ করে। পুমুকেল মনোযোগের কেন্দ্রে থাকতে খুবই পছন্দ করে।’
পুমুকেল কোনো ছোট আকারের ঘোড়ার প্রজাতি নয়। ক্যারোল বলেন, পুমুকেল স্বাভাবিক আকারের ঘোড়ার প্রজাতি। প্রকৃতিই প্রাণীটিকে এই আকার দিয়েছে।