পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় টেঁটাবিদ্ধ একটি কুকুরকে উদ্ধার করে এসিল্যান্ডের (সহকারী কমিশনার—ভূমি)  সহযোগিতায় চিকিৎসাসেবা দিয়েছে ‘এনিমেল লাভারস অব পটুয়াখালী’র কলাপাড়া শাখার সদস্যরা। 

শনিবার (৫ অক্টোবর) রাত ১০টায় কুকুরটি উদ্ধার করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। 

এর আগে শেষ বিকেলে কলাপাড়া উপজেলার চাকামাইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গ্রাম থেকে টেঁটাবিদ্ধ অবস্থায় কুকুরটি উদ্ধার করা হয়। তবে, কে বা কারা ওই কুকুরকে টেঁটাবিদ্ধ করেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

এনিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া শাখার টিম লিডার বায়েজিদ মুন্সী বলেছেন, একটি টেঁটাবিদ্ধ কুকুর এলাকায় ঘোরাফেরা করছে, এমন খবর পাওয়ার পর আমরা বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদীককে অবহিত করি। পরে তার নির্দেশে কুকুরটিকে আমাদের সদস্যরা উদ্ধার করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে নিয়ে গেলে তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসা দেন। দ্রুত হস্তক্ষেপের জন্য এ্যাসিল্যান্ড মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এনিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর সদস্য কাওসার হৃদয় জানিয়েছেন, কুকুরটি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে। তার চিকিৎসা ও যত্ন অব্যাহত আছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদীক বলেছেন, বায়েজিদ মুন্সী আমাকে টেঁটাবিদ্ধ কুকুরের বিষয়ে অবহিত করলে আমি দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের সহকর্মীদের সহযোগিতার আহ্বান জানাই। এনিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর কলাপাড়ার শাখার সদস্য এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় কুকুরটির সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রাণী আমাদের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের অপরিহার্য অংশ। তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ও দায়িত্বশীল আচরণ মানবতার প্রতিফলন। উপজেলা প্রশাসন কলাপাড়া ভবিষ্যতেও প্রাণিকল্যাণ, সচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্ধার কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।

ঢাকা/ইমরান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এন ম ল ল ভ র র কল প ড় উদ ধ র ক র সদস য উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আমি ব্যর্থ হয়েছি: বাঁধন

কখনো পরিবার, কখনো সমাজ—সবাই চেয়েছে তাকে নির্দিষ্ট ছাঁচে ঢালতে। কিন্তু বাঁধন ভেঙেছেন সেই ছাঁচ। হ্যাঁ, তিনি ব্যর্থ হয়েছেন ‘প্রত্যাশিত নারী’ হতে, অথচ সেই ব্যর্থতাকেই এখন মনে করছেন জীবনের বড় সাফল্য। 

রবিবার (৫ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে নিজেকে ‘সমাজ আর একজন অস্বস্তিকর নারী’ আখ্যায়িত করেছেন বাঁধন। সেখানে তিনি খোলামেলা স্বীকার করেছেন নিজের ব্যর্থতার কথাও। 

আরো পড়ুন:

আলোচনায় নুহাশ হুমায়ূনের ফেসবুক পোস্ট

বাগদানের পরও রাশমিকার প্রথম বিয়ে কেন ভেঙেছিল?

বাঁধন লিখেছেন, “আমি এমন একজন মেয়ে হতে চেয়েছিলাম, যে সবাইকে খুশি রাখবে। অনুগত, বাধ্য, শান্তভাবে মানিয়ে নেওয়া মেয়ে। কিন্তু আমি পারিনি। আমি ব্যর্থ হয়েছি। চেষ্টা করেছিলাম পরিবারের প্রত্যাশিত মেয়ে হতে, সমাজের বানানো ‘নারী’ হয়ে বাঁচতে। কিন্তু পারিনি। আর আজ, সেই ব্যর্থতার জন্যই আমি নিজেকে ধন্যবাদ জানাই।” 

ব্যর্থতার ব্যাখ্যা দিয়ে এ অভিনেত্রী লেখেন, “আমি অন্য কারো স্ক্রিপ্টে বাঁচার জন্য জন্মাইনি। আমার কথা হয়তো অনেকের কাছে অস্বস্তিকর, আমার কাজ হয়তো অনেকের স্বস্তি ভেঙে দেয়। আমি সহজ নই, কিন্তু নির্মমও নই। আমি কাউকে আঘাত করি না, অসম্মানও করি না—যদিও অনেকেই আমার প্রতি তা করে।” 

কয়েক দিন পরই ৪২ বছরে পা দেবেন এই অভিনেত্রী। বয়সের এ পর্যায়ে তিনি খুঁজে পেয়েছেন ভেতরের শান্তি। বাঁধনের ভাষায়, “চল্লিশের পর আমি নিজের সঙ্গে শান্তিতে আছি। এখন আমি বাঁচি আমার মতো করে—স্বাধীনভাবে, সৎভাবে, বিনা ক্ষমাপ্রার্থনায়। কেউ কষ্ট পেলে উপেক্ষা করুক, ব্লক করুক, ঘৃণা করুক—আমার কিছু যায় আসে না। কারণ, যত মানুষ আমাকে অস্বস্তিতে ফেলে, তার চেয়েও অনেক বেশি মানুষ আমাকে ভালোবাসে, বোঝে, আমার সত্যে শক্তি খুঁজে পায়। আর সবচেয়ে বড় কথা—আমি নিজেকে ভালোবাসি।” 

তার পোস্টের শেষ লাইনগুলোতে উঠে এসেছে আত্মসম্মান আর আত্মবিশ্বাসের এক দৃঢ় উচ্চারণ, “আমি ভাঙা নই। আমি শুধু এমন এক পৃথিবীর কাছে অস্বস্তিকর, যে পৃথিবী এখনো আসল নারীকে ভয় পায়। ভালোবাসি তোমায়, আজমেরী হক বাঁধন। তুমি যে নারী হতে চেয়েছিলে, শেষ পর্যন্ত তুমি সেই নারীই হয়েছো।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ