ফাঁকি দেওয়া রাজস্ব পুনরুদ্ধার কার্যক্রমকে গতিশীল করতে ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেলের (আইআইসি) কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কর ফাঁকি প্রতিরোধের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের কর অঞ্চলগুলোকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্যের (কর অডিট, ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন) দপ্তর থেকে জারি করা এ নির্দেশনায় প্রতিটি কর অঞ্চল কর্তৃক ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেল টিম গঠন, টিমের কার্য পদ্ধতি, টিমের সুপারিশ প্রণয়নের ভিত্তি এবং ফাঁকি দেওয়া কর পুনরুদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণের জন্য কমিটির অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ব্যাংক গ্যারান্টি বিপরীতে শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানির সুবিধা পাবেন রপ্তানিকারকরা

জুলাই-আগস্টে রাজস্ব আদায়ে ২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

বিভিন্ন প্রকারের গোয়েন্দা তথ্য, কর ফাঁকির অভিযোগ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য, আয়কর নথি ও বিভিন্ন রেজিস্টারে ঘষা-মাজা বা কাটা-ছেঁড়া, অস্বাভাবিক পরিমাণ করমুক্ত আয় প্রদর্শন, করযোগ্য আয় এবং পরিশোধিত করের তুলনায় সম্পদ বিবরণীতে অস্বাভাবিক পরিমাণ নিট সম্পদ প্রদর্শন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট টিম তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে।  

তদন্ত পর্যায়ে কর ফাঁকির সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট টিম রাজস্ব পুনরুদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেল কমিটির অনুমোদনের জন্য প্রতিবেদন দাখিল করবে। রাজস্ব ফাঁকির সুস্পষ্ট তথ্য-উপাত্ত থাকলে সংশ্লিষ্ট কর কমিশনারেটের ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেল রাজস্ব পুনরুদ্ধারের আইনি কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুমোদন দেবে।

প্রতিটি কর কমিশনারেটকে মাসিক ভিত্তিতে নির্ধারিত ছকে তথ্য-উপাত্ত সন্নিবেশ করে ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন কার্যক্রম থেকে সৃষ্ট অতিরিক্ত দাবি এবং অতিরিক্ত কর আদায়ের বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পাঠাতে বলা হয়েছে।

ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেলের কার্যক্রম জোরদার করার মাধ্যমে ফাঁকি দেওয়া রাজস্ব পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে বলে মনে করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। একই সঙ্গে কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা কমবে, সুষ্ঠু কর সংস্কৃতির বিকাশ লাভ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনব আর

এছাড়াও পড়ুন:

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাসাভাড়া বেড়েছে, পরিপত্র জারি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাসাভাড়া ৫০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে শিক্ষকেরা এখন থেকে দেড় হাজার টাকা বাসাভাড়া পাবেন। আজ রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ভাড়া বৃদ্ধির পরিপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি শাখার পরিপত্রে এ–সংক্রান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনসহকারী শিক্ষকের বেতন কম্পিউটার অপারেটরের সমান, কলেজ অধ্যাপকের যুগ্ম সচিবেরও নিচে৪ ঘণ্টা আগে

পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা নিম্নোক্ত শর্তাদি পালন সাপেক্ষে ১ হাজার টাকা হতে বৃদ্ধি করে ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হলো।’ শর্তে বলা হয়েছে, ‘এ ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে যাবতীয় আর্থিক বিধিবিধান যথাযথভাবে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে; এ ভাতা–সংক্রান্ত ব্যয়ে ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম দেখা দিলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত অনিয়মের জন্য দায়ী থাকবেন।’ প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারির তারিখ থেকে ভাতা কার্যকর হবে। প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জিও জারি করে জিওর চার কপি অর্থ বিভাগে পৃষ্ঠাঙ্কনের জন্য পাঠাতে হবে।

আরও পড়ুনঅক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি অনলাইন কোর্স, ঘরে বসেই শিখুন নতুন দক্ষতা৯ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ