হেরোইন-ইয়াবাসহ সিদ্ধিরগঞ্জে চার মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
Published: 6th, October 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে হেরোইন ও ইয়াবা সহ চার মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী, আদমজী বিহারী ক্যাম্প ও আরামবাগ এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে এক’শ পুরিয়া হেরোইন ও ৬১টি পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বরিশালের হিজলা থানাধীন চরদূর্গাপুর গ্রামের মৃত কালু চৌকিদারের ছেলে ওলিল চৌকিদার (২৬), মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানাধীন জামালদী গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন (২৯), সিদ্ধিরগঞ্জের সুমিলপাড়া বিহারী ক্যাম্প এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে নাসির ওরফে কালু (৩৫) এবং একই থানাধীন আরামবাগ এলাকার সুলতান ব্যাপারীর ছেলে মাসুদুর রহমান তপন (৩২)।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম জানান, নারায়ণগঞ্জ একটি শিল্পনগরী এলাকা হওয়ায় এখানে বিভিন্ন জেলার মানুষের বসবাস বেশি। সেই সুবাদে মাদকের প্রবণতাও বেশি। এই বিবেচনায় আমরা নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছি।
এই ধারাবাহিকতায় গত রোববার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হেরোইন ও ইয়াবাসহ চার মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ হ র ইন
এছাড়াও পড়ুন:
আসন্ন নির্বাচনে কমনওয়েলথের পূর্ণ সমর্থন চাই: প্রধান উপদেষ্টা
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে আয়োজনের জন্য কমনওয়েলথের পূর্ণ সমর্থন চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়োরকর বচওয়ের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ সমর্থন চান।
আরো পড়ুন:
জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
এ সময়ে তিনি বলেন, “আমাদের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে আপনারা সমর্থন দেবেন বলে আশা করি।”
তিনি কমনওয়েলথ মহাসচিবকে বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রতি গভীর আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
জবাবে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেন, “কমনওয়েলথ বাংলাদেশের নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী রূপান্তরের ক্ষেত্রে পূর্ণ সমর্থন দেবে।”
তিনি বলেন, “কমনওয়েলথের ৫৬টি দেশ-যেখানে জি-৭ ও জি-২০-এর সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত-যাদের হাতে বিপুল সম্পদ রয়েছে। এই দেশগুলো একে অপরকে শক্তিশালী করতে সেই সম্পদ ব্যবহার করতে পারে।”
মহাসচিব আরো জানান, তিনি দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে প্রধান বিচারপতি, আইন উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি যোগ করেন, “দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি খুব আশাবাদী।”
মহাসচিব নিশ্চিত করেন, “আসন্ন নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর জন্য কমনওয়েলথ প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
বৈঠকে দুই নেতা তরুণদের ক্ষমতায়ন, উদ্যোক্তা তৈরি, সামাজিক ব্যবসা সৃষ্টি এবং বেকারত্ব, কার্বন নির্গমন ও বৈষম্য হ্রাসের লক্ষ্য নিয়ে তিন-শূন্য ভিশন বাস্তবায়ন সম্পর্কেও আলোচনা করেন। খবর বাসসের।
ঢাকা/এসবি