কান্নাভেজা চোখে ২০২১ সালে ক্যাম্প ন্যু ছেড়ে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। এরপর খেলোয়াড় হিসেবে মেসির ফেরার গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল একাধিকবার। সেসব শেষ পর্যন্ত সত্য হয়নি। মেসির আর ফেরা হয়নি বার্সায়। এর মধ্যে ২০২৩ সালের জুনে সংস্কারের জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায় ক্যাম্প ন্যুতে।

৮৯৪ দিনের অপেক্ষার পর অবশেষে গত ৭ নভেম্বর ক্যাম্প ন্যুতে ফিরেছে বার্সেলোনা। শুক্রবার রাতে ঐতিহাসিক এ স্টেডিয়ামে ২৩ হাজার দর্শকের সামনে অনুশীলন করেন লামিনে ইয়ামাল–রবার্ট লেভানডফস্কিরা। নিজের বেড়ে ওঠার এই মাঠে গোপনে ঘুরে গেলেন মেসি।

আলোঝলমলে ক্যাম্প ন্যুতে মেসির পা পড়েছিল গতকাল রাতে। মাঠে তোলা নিজের কিছু ছবিও নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে পোস্ট করেন ইন্টার মায়ামি ফরোয়ার্ড। ক্যাপশনে মেসি লিখেছেন, ‘গত রাতে আমি ফিরে গিয়েছিলাম এমন এক জায়গায়, যেটাকে আমি মনপ্রাণ দিয়ে মিস করি। এমন এক জায়গা, যেখানে আমি অসম্ভব সুখে ছিলাম। যেখানে তোমরা সবাই আমাকে অনুভব করিয়েছিলে যে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। আশা করি একদিন আবার ফিরতে পারব, শুধু খেলোয়াড় হিসেবে বিদায় জানাতে নয়, বরং যেমনটা আগে কখনো পারিনি.

..।’

আরও পড়ুন৮৯৪ দিন পর ক্যাম্প ন্যুতে ফিরল বার্সেলোনা০৮ নভেম্বর ২০২৫

এর আগে বিভিন্ন সময় ক্যাম্প ন্যুতে মেসিকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। বার্সার অনুশীলনে ফেরার দিনও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন বার্সা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা। তিনি বলেছিলেন, ‘ক্যাম্প ন্যুর উদ্বোধন লিওনেল মেসিকে সম্মান জানিয়ে করাটা দারুণ হবে।’ মেসির ক্যাম্প ন্যু ভ্রমণের পর সেই আলোচনা নিশ্চিতভাবে আরও ডালপালা মেলবে।

এই মাঠেই একের পর এক ইতিহাস গড়েছিলেন মেসি

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিবিসির মহাপরিচালক ও বার্তাপ্রধান কেন পদত্যাগ করলেন, ট্রাম্পের তথ্যচিত্রে সমস্যাটা কোথায়

বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং সংবাদ বিভাগের প্রধান ডেবোরাহ টারনেস গতকাল রোববার পদত্যাগ করেছেন। প্যানোরমা অনুষ্ঠানে প্রচারিত এক তথ্যচিত্রকে কেন্দ্র করে বিবিসি ব্যাপক বিতর্কের মধ্যে আছে। আর এর মধ্যেই তাঁরা দুজন পদত্যাগ করেছেন।

বিবিসির প্যানোরমা অনুষ্ঠানে প্রচারিত তথ্যচিত্রে ট্রাম্পের একটি ভাষণ ভুলভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ট্রাম্পের ভাষণের আলাদা আলাদা অংশ সেখানে জোড়া দেওয়া হয়েছে এবং সেটি শুনে মনে হচ্ছে ট্রাম্প মানুষকে ক্যাপিটল হিলে আক্রমণ করতে প্ররোচিত করছেন।

কর্মীদের কাছে পাঠানো ই–মেইলে ডেভি ও টারনেস দুজনই ভুলভ্রান্তি হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

গত সপ্তাহে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, বিবিসির অভ্যন্তরীণ একটি চিঠি ফাঁস হয়েছে। বিবিসির সম্পাদকীয় মান পর্যালোচনাবিষয়ক কমিটির সাবেক স্বাধীন উপদেষ্টা মাইকেল প্রেসকট চিঠিটি দিয়েছিলেন।

টিম ডেভি ও ডেবোরাহ টারনেস কে

২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বিবিসির মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান টিম ডেভি। তিনি বিবিসির বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার কার্যক্রম তদারক করতেন এবং এর সম্পাদকীয়, কার্যক্রম পরিচালনা ও অন্য সৃজনশীল কাজগুলোতে নেতৃত্ব দিতেন।

ডেভি যে বিবিসিতে নতুন মুখ ছিলেন, তা নয়। মহাপরিচালক হওয়ার আগে তিনি সাত বছর ধরে বিবিসি স্টুডিওসের প্রধান নির্বাহী পদে ছিলেন।

বিবিসিতে যোগদানের আগে প্রোক্টার অ্যান্ড গ্যাম্বল এবং পেপসিকোর মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন ডেভি।

আর ডেবোরাহ টারনেস ২০২২ সাল থেকে বিবিসি নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। যেখানে তিনি বিবিসি নিউজ ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স প্রোগ্রামের তদারক করেন।

টিম ডেভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ