ঝালকাঠিতে বাসচাপায় প্রাণ গেল স্কুলশিক্ষকের
Published: 6th, October 2025 GMT
ঝালকাঠিতে বাসচাপায় তোফাজ্জেল হোসেন (৫৮) নামের এক স্কুলশিক্ষক নিহত হয়েছেন। সোমবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে, বিকেলে উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের প্রতাপ এলাকায় ঝালকাঠি-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তোফাজ্জেল হোসেন সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
আরো পড়ুন:
বাসচাপায় পথচারী নিহত, প্রতিবাদে চালক-হেলপারকে গণপিটুনি
নাটোরে নিহত ৩ জনের পরিচয় মিলেছে
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঢাকাগামী সাকুরা পরিবহনের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে মোটরসাইকেলচালক তোফাজ্জেল হোসেন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস ছালাম বলেন, ‘‘বাসচাপায় এক স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন। দুর্ঘটনাকবলিত বাসস ও মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/অলোক/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রিটসের রেকর্ডভাঙা সেঞ্চুরিতে দ. আফ্রিকার জয়
ইন্দোরের গরম বিকেলে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এক ঠাণ্ডা মাথার ঝড় তুললেন তাজমিন ব্রিটস। ৩৪ বছর বয়সেও যেন সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকা এই ব্যাটার খেললেন এক অনবদ্য ইনিংস, ৮৭ বলে ১০১ রানের ঝলমলে সেঞ্চুরি। যা শুধু জয় এনে দেয়নি, ইতিহাসও লিখে দিয়েছে নতুন করে।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্রিটস ও লুইসের ব্যাটে ভর করে ৪০.৫ ওভারে জয় ছিনিয়ে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দল। এটি ছিল আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ-২০২৫ এর সপ্তম ম্যাচ। কিন্তু তাজমিন ব্রিটসের ইনিংস এটিকে পরিণত করেছে এক স্মরণীয় অধ্যায়ে।
আরো পড়ুন:
লো স্কোরিং ম্যাচে রংপুরের জয়, বরিশাল-রাজশাহীর পয়েন্ট ভাগাভাগি
বাংলাদেশ সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন সালিম
এই ইনিংস খেলার মাধ্যমে ব্রিটস ভেঙে ফেললেন ভারতের স্মৃতি মান্ধানার রেকর্ড, এক ক্যালেন্ডার বছরে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে সেঞ্চুরির। এটি ছিল ২০২৫ সালে তার পঞ্চম সেঞ্চুরি। আর সর্বমোট সপ্তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। তাও মাত্র ৪১ ইনিংসে। যা তাকে করে তুলেছে ইতিহাসের দ্রুততম নারী ক্রিকেটার হিসেবে এই মাইলফলক ছোঁয়ার অধিকারী। আগের রেকর্ডটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার মেগ ল্যানিংয়ের (৪৪ ইনিংসে ৭ সেঞ্চুরি)।
ব্রিটসের ইনিংসটি আরও বিশেষ হয়ে ওঠে তার পার্টনার সুনে লুইসের সঙ্গে ১৫৯ রানের অসাধারণ জুটিতে। সেই জুটিই আসলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। যেখানে ধীরে ধীরে নিউ জিল্যান্ডের আশা হারিয়ে যেতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং দৃঢ়তায়। ব্রিটস ৮৯ বলে ১৫টি চার ও ১ ছক্কায় ১০১ রান করে আউট হলেও লুইস ১০টি চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
আজকের ইনিংসের মাধ্যমে তাজমিন ব্রিটস যেন বয়স ভুলে গেছেন। ৩৪ বছর বয়সেও ব্যাটে তার সেই তেজ, টেম্পারামেন্ট আর আত্মবিশ্বাস চোখে পড়ার মতো। আগ্রাসন আর স্থিরতা; দুটোকেই তিনি একসঙ্গে নিয়ে এগিয়েছেন। যে পিচে নিউ জিল্যান্ড ব্যাটাররা হিমশিম খেয়েছেন, সেখানে ব্রিটস খেললেন এমন এক ইনিংস, যা ছিল নিখুঁত ব্যাটিংয়ের পাঠ। এটি তার শেষ পাঁচ ওয়ানডেতে চতুর্থ সেঞ্চুরি। যা এক অভূতপূর্ব ধারাবাহিকতা এবং যা নারী ক্রিকেটে খুব কমজনই দেখাতে পেরেছেন।
এই ইনিংস কেবল রেকর্ড নয়, দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলের জন্য এক মানসিক উত্থান। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে মাত্র ৬৯ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর সমালোচনায় মুখ থুবড়ে পড়েছিল তারা। কিন্তু ব্রিটসের এই ব্যাটিং দলটিকে ফিরিয়ে এনেছে আত্মবিশ্বাসের জায়গায়। তার ব্যাটে যে দৃঢ়তা, যে তাড়না; তা পুরো দলের ভেতর নতুন এক প্রাণসঞ্চার করেছে।
নিউ জিল্যান্ড ম্যাচটি শুরু করেছিল বেশ দৃঢ়ভাবে। একসময় তাদের স্কোরবোর্ডে ৩ উইকেটে ছিল ১৮৭ রান। মনে হচ্ছিল বড় সংগ্রহ আসছে। কিন্তু আফ্রিকান স্পিনার ননকুলুলেকো ম্লাবার নেতৃত্বে বোলাররা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। শেষ পর্যন্ত কিউই নারীরা অলআউট হয় ২৩১ রানে। শেষ ৭ উইকেট তারা মাত্র ৪৪ রানের ব্যবধানে। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন সোফি ডিভাইন। ৪৫ রান আসে ব্রুকি হ্যালিডের ব্যাট থেকে। এছাড়া জর্জিয়া পিলমার ৩১ ও অ্যামেলিয়া কের করেন ২৩ রান।
বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্লাবা ১০ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে দক্ষিণ আফ্রিকার অবশ্য খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। ৬ উইকেটে জয়, হাতে রইল আরও ৯.১ ওভার।
এ নিয়ে প্রথম দুই ম্যাচেই হার মানল নিউ জিল্যান্ড। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচ বাজেভাবে হেরে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ঢাকা/আমিনুল