ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি করে পালানোর সময় তিনজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী।

সোমবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার বেজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বজলুল করিমের বাড়িতে ডাকাতি হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে একই গ্রামের বাসিন্দা সাথী খাতুনকে থানায় নিয়েছে পুলিশ।

আরো পড়ুন:

মোহনগঞ্জে মুদি দোকানদারকে গলাকেটে হত্যা

ভিন্ন ধর্মের একটি বিয়ে নিয়ে গাইবান্ধায় শোরগোল

আটক ডাকাত সদস্যরা হলেন- ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পার্বতীপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে শাহাবুর মন্ডল, বইটাপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন সরদারের ছেলে রানা হোসেন ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চান্দুয়ালী গ্রামের আবাইদুল মন্ডলের ছেলে তুষার আহমেদ সাব্বির। 

গ্রামবাসী জানান, মাদকদ্রব্য অভিযানের কথা বলে বজলুল করিমের বাড়িতে পুলিশ পরিচয়ে প্রবেশ করেন আটজন। এ সময় বাড়িতে বজলুলের স্ত্রী ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। ওই ব্যক্তিরা বাড়ির আলমারি ও শোকেজের ড্রয়ার ভেঙে ১৫-২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও প্রায় ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী নারীর চিৎকারে গ্রামবাসী ছুটে আসেন। পরে গ্রামের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে পালিয়ে থাকা তিন ডাকাতকে আটক করেন গ্রামবাসী। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আটক ডাকাতদের থানায় নিয়ে যায়।

ডাকাতি হওয়া বাড়ির গৃহিনী রিজিয়া খাতুন বলেন, ‍“৮ জনের একটি দল পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে আসে। তারা থানা থেকে এসেছে বলে জানায়। বাড়িতে গাঁজা নিয়ে কেউ প্রবেশ করেছে জানিয়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে তারা। তাদের সবার হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। তারা আমাকে বাড়ির দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যায়। পরে নিচে এসে দেখি, তারা আলমারিসহ ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্রের ড্রয়ার ভেঙে ১৫ থেকে ২০ ভরি স্বর্ণ, নগদ প্রায় ২০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। আমার চিৎকারে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসেন।”  

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন ডাকাত সদস্যকে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।”

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক ঝ ন ইদহ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আসন্ন নির্বাচনে কমনওয়েলথের পূর্ণ সমর্থন চাই: প্রধান উপদেষ্টা

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে আয়োজনের জন্য কমনওয়েলথের পূর্ণ সমর্থন চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়োরকর বচওয়ের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ সমর্থন চান।

আরো পড়ুন:

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

এ সময়ে তিনি বলেন, “আমাদের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে আপনারা সমর্থন দেবেন বলে আশা করি।”

তিনি কমনওয়েলথ মহাসচিবকে বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রতি গভীর আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

জবাবে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেন, “কমনওয়েলথ বাংলাদেশের নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী রূপান্তরের ক্ষেত্রে পূর্ণ সমর্থন দেবে।”

তিনি বলেন, “কমনওয়েলথের ৫৬টি দেশ-যেখানে জি-৭ ও জি-২০-এর সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত-যাদের হাতে বিপুল সম্পদ রয়েছে। এই দেশগুলো একে অপরকে শক্তিশালী করতে সেই সম্পদ ব্যবহার করতে পারে।”

মহাসচিব আরো জানান, তিনি দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে প্রধান বিচারপতি, আইন উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি যোগ করেন, “দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি খুব আশাবাদী।”

মহাসচিব নিশ্চিত করেন, “আসন্ন নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর জন্য কমনওয়েলথ প্রস্তুতি নিচ্ছে।”

বৈঠকে দুই নেতা তরুণদের ক্ষমতায়ন, উদ্যোক্তা তৈরি, সামাজিক ব্যবসা সৃষ্টি এবং বেকারত্ব, কার্বন নির্গমন ও বৈষম্য হ্রাসের লক্ষ্য নিয়ে তিন-শূন্য ভিশন বাস্তবায়ন সম্পর্কেও আলোচনা করেন। খবর বাসসের।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ