হাবিপ্রবিতে বকেয়া টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিন পরিচালককে মারধর
Published: 7th, October 2025 GMT
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বকেয়া টাকা চাওয়ায় এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ক্যান্টিন পরিচালক জহুরুল হককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন:
রাত আড়াইটায় হাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৮তম ব্যাচের জাহাঙ্গীর আলম।
জানা যায়, মঙ্গলবার আনুমানিক রাত ৮টার দিকে ক্যান্টিনে বাকি টাকা নিয়ে বিজয় ২৪ হলের ক্যান্টিন পরিচালক জহুরুল হকের সঙ্গে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলমের কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে তাকে মারধর করেন ওই শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী ক্যান্টিন পরিচালক জহুরুল বলেন, “আজ রাত ৮টার দিকে তিনি দোকান থেকে জিনিস নিয়ে বাকীতে লিখতে বলেন। আমি বলি, ‘আপনি বাকি নিবেন সেই কথা আগে বলবেন না। আগেরই তো অনেক বাকি আছে সেগুলো এখনো দেন নাই। ৮০০ টাকা বাকি আপনার।’ তখন তিনি বলেন, ‘তোর ব্যবসা আমি করাচ্ছি। তুই এখানে ব্যবসা করিস বিদ্যুৎ বিল দিস না, চাঁদা দিস না।’ এই বলে তিনি আমাকে খাঁচার ভিতর দিয়ে হাত ঢুকিয়ে থাবা দেন। পরবর্তীতে আবার রুমে গিয়ে পাইপ নিয়ে এসে সেটা দিয়ে মারা শুরু করে।”
তিনি বলেন, “এ সময় আমি দোকান থেকে বের হয়ে ডাইনিংয়ের দিকে লোক ডাকতে যায়। কিন্তু সে রকম লোকজনও ছিল না। পরে এক ভাই এগিয়ে এসে মার ঠেকান। তা না হলে মার খেয়ে আমাকে হাসপাতালে যেতে হত। এর আগেও উনি আমাকে বকাঝকা করেছেন এবং মেরেছেন।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজয় ২৪ হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, “গত রমজান মাসের আগে জাহাঙ্গীর ভাইয়ের থেকে জহুরুল ভাই টাকা পেতেন। তিনি টাকা না দিয়ে খারাপ আচরণ ও মারধর করেন। আমরা তো জহুরুল ভাইকে ভালোই দেখি। তিনি ভালোভাবেই ক্যান্টিন পরিচালানা করেন। এমন মারধরের ঘটনা দুঃখজনক।”
বিজয় ২৪ হলের হল সুপার অধ্যাপক ড.
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ঢাকা/সাকিব/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ ক য ন ট ন পর চ ল ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
আসন্ন নির্বাচনে কমনওয়েলথের পূর্ণ সমর্থন চাই: প্রধান উপদেষ্টা
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে আয়োজনের জন্য কমনওয়েলথের পূর্ণ সমর্থন চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়োরকর বচওয়ের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ সমর্থন চান।
আরো পড়ুন:
জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
এ সময়ে তিনি বলেন, “আমাদের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে আপনারা সমর্থন দেবেন বলে আশা করি।”
তিনি কমনওয়েলথ মহাসচিবকে বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রতি গভীর আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
জবাবে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেন, “কমনওয়েলথ বাংলাদেশের নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী রূপান্তরের ক্ষেত্রে পূর্ণ সমর্থন দেবে।”
তিনি বলেন, “কমনওয়েলথের ৫৬টি দেশ-যেখানে জি-৭ ও জি-২০-এর সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত-যাদের হাতে বিপুল সম্পদ রয়েছে। এই দেশগুলো একে অপরকে শক্তিশালী করতে সেই সম্পদ ব্যবহার করতে পারে।”
মহাসচিব আরো জানান, তিনি দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে প্রধান বিচারপতি, আইন উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি যোগ করেন, “দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি খুব আশাবাদী।”
মহাসচিব নিশ্চিত করেন, “আসন্ন নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর জন্য কমনওয়েলথ প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
বৈঠকে দুই নেতা তরুণদের ক্ষমতায়ন, উদ্যোক্তা তৈরি, সামাজিক ব্যবসা সৃষ্টি এবং বেকারত্ব, কার্বন নির্গমন ও বৈষম্য হ্রাসের লক্ষ্য নিয়ে তিন-শূন্য ভিশন বাস্তবায়ন সম্পর্কেও আলোচনা করেন। খবর বাসসের।
ঢাকা/এসবি