হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বকেয়া টাকা চাওয়ায় এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ক্যান্টিন পরিচালক জহুরুল হককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন:

রাত আড়াইটায় হাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৮তম ব্যাচের জাহাঙ্গীর আলম।

জানা যায়, মঙ্গলবার আনুমানিক রাত ৮টার দিকে ক্যান্টিনে বাকি টাকা নিয়ে বিজয় ২৪ হলের ক্যান্টিন পরিচালক জহুরুল হকের সঙ্গে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলমের কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে তাকে মারধর করেন ওই শিক্ষার্থী। 

ভুক্তভোগী ক্যান্টিন পরিচালক জহুরুল বলেন, “আজ রাত ৮টার দিকে তিনি দোকান থেকে জিনিস নিয়ে বাকীতে লিখতে বলেন। আমি বলি, ‘আপনি বাকি নিবেন সেই কথা আগে বলবেন না। আগেরই তো অনেক বাকি আছে সেগুলো এখনো দেন নাই। ৮০০ টাকা বাকি আপনার।’ তখন তিনি বলেন, ‘তোর ব্যবসা আমি করাচ্ছি। তুই এখানে ব্যবসা করিস বিদ্যুৎ বিল দিস না, চাঁদা দিস না।’ এই বলে তিনি আমাকে খাঁচার ভিতর দিয়ে হাত ঢুকিয়ে থাবা দেন। পরবর্তীতে আবার রুমে গিয়ে পাইপ নিয়ে এসে সেটা দিয়ে মারা শুরু করে।”

তিনি বলেন, “এ সময় আমি দোকান থেকে বের হয়ে ডাইনিংয়ের দিকে লোক ডাকতে যায়। কিন্তু সে রকম লোকজনও ছিল না। পরে এক ভাই এগিয়ে এসে মার ঠেকান। তা না হলে মার খেয়ে আমাকে হাসপাতালে যেতে হত। এর আগেও উনি আমাকে বকাঝকা করেছেন এবং মেরেছেন।” 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজয় ২৪ হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, “গত রমজান মাসের আগে জাহাঙ্গীর ভাইয়ের থেকে জহুরুল ভাই টাকা পেতেন। তিনি টাকা না দিয়ে খারাপ আচরণ ও মারধর করেন। আমরা তো জহুরুল ভাইকে ভালোই দেখি। তিনি ভালোভাবেই ক্যান্টিন পরিচালানা করেন। এমন মারধরের ঘটনা দুঃখজনক।”

বিজয় ২৪ হলের হল সুপার অধ্যাপক ড.

মো. আরিফুজ্জামান বলেন, “আমরা ঘটনা শুনে হলে এসেছি। প্রক্টর স্যাররাও এসেছেন। পুরো ঘটনা  বিস্তারিত শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা  করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ঢাকা/সাকিব/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ ক য ন ট ন পর চ ল ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

হাবিপ্রবিতে বকেয়া টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিন পরিচালককে মারধর

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বকেয়া টাকা চাওয়ায় এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ক্যান্টিন পরিচালক জহুরুল হককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন:

রাত আড়াইটায় হাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৮তম ব্যাচের জাহাঙ্গীর আলম।

জানা যায়, মঙ্গলবার আনুমানিক রাত ৮টার দিকে ক্যান্টিনে বাকি টাকা নিয়ে বিজয় ২৪ হলের ক্যান্টিন পরিচালক জহুরুল হকের সঙ্গে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলমের কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে তাকে মারধর করেন ওই শিক্ষার্থী। 

ভুক্তভোগী ক্যান্টিন পরিচালক জহুরুল বলেন, “আজ রাত ৮টার দিকে তিনি দোকান থেকে জিনিস নিয়ে বাকীতে লিখতে বলেন। আমি বলি, ‘আপনি বাকি নিবেন সেই কথা আগে বলবেন না। আগেরই তো অনেক বাকি আছে সেগুলো এখনো দেন নাই। ৮০০ টাকা বাকি আপনার।’ তখন তিনি বলেন, ‘তোর ব্যবসা আমি করাচ্ছি। তুই এখানে ব্যবসা করিস বিদ্যুৎ বিল দিস না, চাঁদা দিস না।’ এই বলে তিনি আমাকে খাঁচার ভিতর দিয়ে হাত ঢুকিয়ে থাবা দেন। পরবর্তীতে আবার রুমে গিয়ে পাইপ নিয়ে এসে সেটা দিয়ে মারা শুরু করে।”

তিনি বলেন, “এ সময় আমি দোকান থেকে বের হয়ে ডাইনিংয়ের দিকে লোক ডাকতে যায়। কিন্তু সে রকম লোকজনও ছিল না। পরে এক ভাই এগিয়ে এসে মার ঠেকান। তা না হলে মার খেয়ে আমাকে হাসপাতালে যেতে হত। এর আগেও উনি আমাকে বকাঝকা করেছেন এবং মেরেছেন।” 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজয় ২৪ হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, “গত রমজান মাসের আগে জাহাঙ্গীর ভাইয়ের থেকে জহুরুল ভাই টাকা পেতেন। তিনি টাকা না দিয়ে খারাপ আচরণ ও মারধর করেন। আমরা তো জহুরুল ভাইকে ভালোই দেখি। তিনি ভালোভাবেই ক্যান্টিন পরিচালানা করেন। এমন মারধরের ঘটনা দুঃখজনক।”

বিজয় ২৪ হলের হল সুপার অধ্যাপক ড. মো. আরিফুজ্জামান বলেন, “আমরা ঘটনা শুনে হলে এসেছি। প্রক্টর স্যাররাও এসেছেন। পুরো ঘটনা  বিস্তারিত শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা  করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ঢাকা/সাকিব/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ