ইনডেক্স অ্যাগ্রোর পর্ষদ সভা ১৬ অক্টোবর
Published: 8th, October 2025 GMT
পুঁজিবাজারে বিবিধ খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইনডেক্স অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ব্যবসায় লভ্যাংশ সংক্রান্ত পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ নির্ধারণ করেছে। আগামী ১৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভা আগামী ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটে এ সভা শুরু হবে। ওইদিন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ব্যবসায় আয়-ব্যয়ের হিসাব অনুমোদন ও প্রকাশ করা হবে। আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হতে পারে।
ঢাকা/এনটি/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮.৩৬%
মূল্যস্ফীতি আবার বাড়ল। গত আগস্ট মাসের চেয়ে সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। গত মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ। গত আগস্ট মাসে এই হার ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। ফলে মূল্যস্ফীতি আবার বাড়তি ধারায় এল।
আজ সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সেপ্টেম্বর মাসের মূল্যস্ফীতির চিত্র প্রকাশ করেছে।
কয়েক মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ওঠানামার মধ্যে আছে। তবে এখন ৮ শতাংশের ঘরেই মূল্যস্ফীতি আছে।
বিবিএসের হিসাব অনুসারে, গত সেপ্টেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয় ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়লেও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কমেছে।
তিন বছর ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতি একধরনের করের মতো। আপনার প্রতি মাসে আয়ের পুরোটাই সংসার চালাতে খরচ হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ জিনিসপত্রের দাম বাড়লে এবং সে অনুযায়ী আপনার আয় না বাড়লে আপনাকে ধারদেনা করে সংসার চালাতে হবে কিংবা খাবার, কাপড়চোপড়, যাতায়াতসহ বিভিন্ন খাতে কাটছাঁট করতে হবে। মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি বৃদ্ধি বা আয় বৃদ্ধি কম হলে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। প্রকৃত আয় কমে যায়।
তবে মূল্যস্ফীতির হার কমে যাওয়া মানে জিনিসপত্রের দাম কমে যাওয়া নয়। অন্যান্য মাসের তুলনায় ওই নির্দিষ্ট মাসে মূল্যবৃদ্ধি হয়তো কিছুটা কম হয়েছে, এটাই বোঝায়। উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে, ২০২৪ সালে বাজার থেকে পণ্য ও সেবা কিনতে যদি আপনার খরচ হয় ১০০ টাকা। গত সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ হওয়ার মানে হলো, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অর্থাৎ এক বছর পর একই পণ্য ও সেবা কিনতে আপনাকে ১০৮ টাকা ৩৬ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। প্রতি ১০০ টাকায় আপনার খরচ বেড়েছে ৮ টাকা ৩৬ পয়সা।
এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নানা উদ্যোগ নেয়। এর কিছুটা সুফল মিলছে।
দুই-তিন বছর ধরে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। এনবিআরও তেল, আলু, পেঁয়াজ, ডিমসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যে শুল্ক-কর কমিয়ে দেয়। বাজারে নিত্যপণ্যের আমদানিপ্রবাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করা হয়।