রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু (৫৩) মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৭টা ১০ মিনিটে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। তার মৃৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ১৪ অক্টোবর রংপুর জেলা বিএনপির সম্মেলন হওয়ার কথা। সম্মেলন উপলক্ষে আনিছুর রহমান লাকু দলীয় কাজ শেষে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা থেকে রংপুরে ফিরছিলেন। পথে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। আজ সকাল ৭টা ১০ মিনিটে আনিছুর রহমান লাকু মারা যান।

আরো পড়ুন:

নড়াইলে পুকুর থেকে ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জে নির্যাতনে গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ, স্বামী আটক

জেলা বিএনপির আহবায়ক সাইফুল ইসলাম জানান, আজ বুধবার বাদ আসর রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে আনিছুর রহমান লাকুর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে ছোট নুরপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

রংপুর নগরীর নুরপুরের বাসিন্দা আনিছুর রহমান লাকু ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক এবং মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।  তিনি ২০২২ সাল থেকে তিনি জেলা বিএনপির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন। 

আনিছুর রহমান লাকু আগামী ১৪ অক্টোবর হতে যাওয়া জেলা বিএনপির সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন। তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।

ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র স

এছাড়াও পড়ুন:

হাবিপ্রবিতে বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

বর্ণাঢ্য আয়োজনে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিতীয় সমাবর্তন ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে, সমাবর্তন উপলক্ষে আসা হাজারো গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক, অতিথি এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিণত হয় উৎসব ও উদ্দীপনার মিলনস্থলে।

আরো পড়ুন:

হাবিপ্রবিতে স্কলার সামিট অনুষ্ঠিত

এবারো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেবে হাবিপ্রবি

শনিবার (২২ নভেম্বর) এ উপলক্ষ্যে দুপুর দেড়টায় শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এর নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সমাবর্তনস্থলে যায়।

জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো পাঠ শেষে  শিক্ষা উপদেষ্টা সমাবর্তনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এর সভাপতিত্বে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন হাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা।

এরপর স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ডিনগণ গ্র্যাজুয়েটদের শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে ডিগ্রি প্রদানের সমার্পণ করেন। ডিগ্রি প্রদান শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা ‘আচার্য স্বর্ণপদক’ প্রদান করেন।

পরবর্তীতে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন হাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজিম উদ্দিন খান। 

সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সিআর আবরার বলেন, “ফ্যাসিবাদী শক্তির দমননীতি অতিক্রম করে শিক্ষার্থীরা যে সাহস, মনোবল ও  দেশপ্রেম প্রদর্শন করেছে, তা ইতিহাসে অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। দেশ আজ নতুন সূচনার পথে। দীর্ঘ দেড় দশকের দমন—পীড়নের অবসান ঘটিয়ে আমরা একটি মুক্ত ও প্রাণবন্ত পরিবেশে ফিরেছি। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা দেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”

তিনি বলেন, “দেশের সীমিত সম্পদের মধ্যেও গবেষণা উন্নয়নে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছে।” তিনি শিক্ষকবৃন্দকে গবেষণা জোরদার করা, শিক্ষার্থীদের যুক্ত করা এবং নতুন জ্ঞানের অনুসন্ধানে আরো অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, “১৮ কোটি মানুষের কষ্টার্জিত অর্থে পরিচালিত এই বিশ্ববিদ্যালয় আপনাদের কাছে একটি পবিত্র আমানত। প্রশাসনিক, আর্থিক ও একাডেমিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।”

এবারের দ্বিতীয় সমাবর্তনে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি মিলিয়ে ৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ডিগ্রি অর্জন করেন।

ঢাকা/সাকিব/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ