রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ৫ দশমিক ৭ ছিল বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

আকস্মিক ভূমিকম্পের তীব্রতায় সারা দেশের মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করে। দ্রুত রাস্তায় নেমে আসেন রাজধানীবাসী। এই কম্পনে আতঙ্কগ্রহস্ত হয়ে পড়েন দেশের তারকারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথাও প্রকাশ করেছেন তারা। তবে ব্যতিক্রম বার্তা দিয়েছেন আলোচিত অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক।   

আরো পড়ুন:

ভূমিকম্প: আতঙ্কের অভিজ্ঞতা জানালেন তারকারা

তামাক নিয়ন্ত্রণে বিনোদন সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন

চমক তার ফেসবুকে বেশ কয়েকটি পোস্ট দিয়েছেন। একটি পোস্টে এই অভিনেত্রী লেখেন, “মেয়েদের জীবনের থেকে, একটা ওড়না বেশি গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাশট্যাগ দিয়ে এ অভিনেত্রী লেখেন, “ভূমিকম্প ফ্যাক্ট।” চমকের এ পোস্ট নিয়ে বেশ চর্চা চলছে অন্তর্জালে। অনেক নারী এ পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। বলা যায়, দুটো শিবিরে বিভিক্ত হয়ে মন্তব্য করছেন তারা।  

মনিরা নামে একজন লেখেন, “সত্যি কথা বলতে, আমার হাতে ওড়না ছিল, জামা একটু ছোট ছিল। কিন্তু সালোয়ারটা পাতলা ছিল, এই পাতলাটুকুর কারণে আমি নিচে নামেনি। আমি ঘরে বসে ছিলাম এবং আল্লাহকে স্মরণ করতে ছিলাম। কারণ ওই অবস্থায় আমি নিচে নামব না। কোনোভাবেই না। আমার বাসার সবাই নেমে গিয়েছিল, বিধায় বিড়ালটাকে আমি কোলে নিয়ে বসে ছিলাম। আমার মেয়ে ঘরে ফিরে আসার সাথে সাথে বিড়ালটাকে নিয়ে নেমে যেতে বলেছিলাম।”  

মনিরার এই ভাবনার সঙ্গে একমত নন তাজকিয়া বিলকিস। তিনি লেখেন, “বাংলালিরা অনেক সময় নিজেদেরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। কারণ তারা অতিরিক্ত ভাবতে থাকে—লোকে কী বলবে।” লাভলী ইসলাম লেখেন, “যাইহোক ওড়না আর বাচ্চাটা নিয়ে নিচে দৌড়ে নেমে গেছিলাম। তবে এরকম সময়ে মানুষের এতকিছু ভাবার সময় থাকে না। তারপরও যারা ওড়না ছাড়া কখনো বাহিরে বের হতে পারেন না, তারা ওড়না না পেলেও গামছা/তোয়ালে নিয়েও দৌড় দিবে আর যাদের ওড়না লাগে না তাদের হিসেব আলাদা।” 

চমককে উদ্দেশ্য করে ইশিতা লেখেন, “জানি না কথাটা ব্যঙ্গ করে বলেছেন কি না। কিন্তু অনেকেই ভাবে সম্মান আগে, ওভাবেই তাদের চিন্তাভাবনাও সেট করা। আজকের ভূমিকম্পে আমি প্রথমে ওড়না ছাড়া বের হয়ে যাচ্ছিলাম, হুট করেই আবার রুমে ঢুকে ওড়না নিয়ে বের হইছি। এটা নিয়ে ব্যঙ্গ করার কিছু নেই, যার যার চিন্তাভাবনা তার তার কাছে। আপনি না মানেন, সেটাও আপনার বিষয়।” তবে লামিয়া নামে একজন লেখেন, “আমার মনে হয়, জীবনের থেকে ইজ্জত আগে।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক ভ ম কম প

এছাড়াও পড়ুন:

এলোমেলো শিক্ষা খাত, বাড়ছে সংকট

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) প্রায় ৯ মাস ধরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা রবিউল কবীর চৌধুরী। একই সঙ্গে তিনি প্রতিষ্ঠানটির সদস্য (শিক্ষাক্রম) এবং সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম)–এর দায়িত্বেও ছিলেন। ৬ নভেম্বর তিনি অবসর–উত্তর ছুটিতে গেছেন। ফলে একসঙ্গে এনসিটিবির চেয়ারম্যানসহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য হয়ে যায়।

প্রথা ভেঙে প্রতিষ্ঠানটির বাইরে থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে এনসিটিবির চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে; কিন্তু পাঠ্যবই ছাপানোর এ মৌসুমে কার্যত নেতৃত্বহীন এনসিটিবি এখন নতুন বছরের শুরুতে সময়মতো পাঠ্যবই বিতরণ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় বাড়ছে।

শিক্ষা খাতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) মহাপরিচালক নেই মাসখানেক ধরে। একজন কর্মকর্তা কেবল রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন; কিন্তু নীতিনির্ধারণী বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। ফলে প্রশাসনিক কাজে গতি ফিরছে না। অথচ এসব পদে পদায়ন করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত কাজের একটি।

‘মাউশি এখন স্লো গতিতে চলছে,’ বললেন এই দপ্তরের একজন কর্মকর্তা।

এখন পর্যন্ত শিক্ষাক্রমের রূপরেখা তৈরির জন্য কোনো কমিটি হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে রূপরেখা আর হচ্ছে না। কারণ, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা।

প্রশাসনিক নেতৃত্বহীনতা, শিক্ষাক্রমের অনিশ্চয়তা, শিক্ষক আন্দোলন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিশেষ করে ঢাকার সাত কলেজ নিয়ে তৈরি সংকট আর বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরসুবিধা পাওয়ায় ভোগান্তি—সব মিলিয়ে শিক্ষা খাতে এখন একধরনের এলোমেলো ও অচলাবস্থার চিত্র ক্রমে স্পষ্ট হচ্ছে।

শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, গণ–অভ্যুত্থানের পর মানুষ আশা করেছিল অন্তত শিক্ষা খাতে পরিবর্তন আসবে; কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষাকে সবচেয়ে কম গুরুত্ব দিয়েছে। ফলে ইতিবাচক পরিবর্তনের বদলে নেতিবাচক দিকগুলো ঘুরেফিরে আলোচনায় আসছে। শিক্ষাব্যবস্থার সামগ্রিক দুর্বলতা আরও প্রকট হচ্ছে।

যদিও আন্দোলনের মুখে এরই মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। উৎসব ভাতাও কিছু বেড়েছে। অন্যদিকে রিট আবেদনকারী ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের পর দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড এক ধাপ বেড়ে দশমে উন্নীত হচ্ছে। সম্মতি দিয়েছে অর্থ বিভাগ, এখন প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির সুপারিশ নিয়ে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

সবশেষ প্রাথমিকে দক্ষ শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে দেশের প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোতে (পিটিআই) চালু হচ্ছে ১০ মাস মেয়াদি একটি ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম। এগুলোই বর্তমান সময়ে এসে শিক্ষা খাতের কিছু ইতিবাচক দিক। তুলনামূলকভাবে প্রাথমিকে কাজ কিছুটা হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন কাজকর্মের অবস্থা বেশি এলোমেলো।

আন্দোলন, অস্থিরতা, কর্মবিরতি

গত কয়েক মাসে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা একের পর এক দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। এতে শিক্ষাবর্ষের শেষ সময়ে পাঠদান ব্যাহত হয়েছে।

বেতন গ্রেড বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা; গত ৮ নভেম্বর শাহবাগে তাঁদের মিছিলে চড়াও হয় পুলিশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজীপুরে ঘোড়া জবাই করে মাংস প্রস্তুতের সময় একজন আটক
  • নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত
  • চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে প্রাইভেট কার ছিটকে পড়ে একজনের মৃত্যু
  • ফেনীতে পৃথক ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু
  • কামাল সিদ্দিকী: আমলাতন্ত্রের ঘেরাটোপ ভাঙা একজন দেশপ্রেমী
  • চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু
  • গাজার ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানটি আসলে কারা চালাচ্ছে
  • যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রস্তাব, জমি ছাড়তে হবে ইউক্রেনকে
  • এলোমেলো শিক্ষা খাত, বাড়ছে সংকট