ভিয়েতনামে বন্যায় ৪১ জনের মৃত্যু
Published: 21st, November 2025 GMT
ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাত ও বন্যায় কমপক্ষে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছা্ড়া এখনো নিখোঁজ নয়জনের সন্ধান চলছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে শুক্রবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, বন্যার ফলে ৫২ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ডুবে গেছে এবং পাঁচ লাখ বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত অঞ্চল থেকে কয়েক হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত তিন দিনে বেশ কয়েকটি এলাকায় ১ দশমিক ৫ মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, এমনকি কিছু অংশে ১৯৯৩ সালের বন্যার সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ২ মিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভিয়েতনাম চরম আবহাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়েছে। কালমায়েগি এবং বুয়ালোই নামে দুটি টাইফুন কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যু ও ধ্বংসের ধারা রেখে গেছে।
সরকারি হিসাব অনুসারে, ভিয়েতনামে প্রাকৃতিক দুর্যোগে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে ২০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে।
সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাতের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে উপকূলীয় শহর হোই আন এবং নাহা ট্রাং। কেন্দ্রীয় উচ্চভূমির একটি গুরুত্বপূর্ণ কফি উৎপাদন অঞ্চল ডাক লাকের কৃষকরা ইতিমধ্যেই পূর্ববর্তী ঝড়ের কারণে ফসল কাটা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছেন।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা টুওই ট্রে অনুসারে, দেশের বৃহত্তম কফি উৎপাদনকারী অঞ্চল ডাক লাক প্রদেশে কয়েক হাজার বাড়িঘর ডুবে গেছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘মেয়েদের জীবনের থেকে, ওড়না বেশি গুরুত্বপূর্ণ’
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ৫ দশমিক ৭ ছিল বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আকস্মিক ভূমিকম্পের তীব্রতায় সারা দেশের মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করে। দ্রুত রাস্তায় নেমে আসেন রাজধানীবাসী। এই কম্পনে আতঙ্কগ্রহস্ত হয়ে পড়েন দেশের তারকারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথাও প্রকাশ করেছেন তারা। তবে ব্যতিক্রম বার্তা দিয়েছেন আলোচিত অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক।
আরো পড়ুন:
ভূমিকম্প: আতঙ্কের অভিজ্ঞতা জানালেন তারকারা
তামাক নিয়ন্ত্রণে বিনোদন সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন
চমক তার ফেসবুকে বেশ কয়েকটি পোস্ট দিয়েছেন। একটি পোস্টে এই অভিনেত্রী লেখেন, “মেয়েদের জীবনের থেকে, একটা ওড়না বেশি গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাশট্যাগ দিয়ে এ অভিনেত্রী লেখেন, “ভূমিকম্প ফ্যাক্ট।” চমকের এ পোস্ট নিয়ে বেশ চর্চা চলছে অন্তর্জালে। অনেক নারী এ পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। বলা যায়, দুটো শিবিরে বিভিক্ত হয়ে মন্তব্য করছেন তারা।
মনিরা নামে একজন লেখেন, “সত্যি কথা বলতে, আমার হাতে ওড়না ছিল, জামা একটু ছোট ছিল। কিন্তু সালোয়ারটা পাতলা ছিল, এই পাতলাটুকুর কারণে আমি নিচে নামেনি। আমি ঘরে বসে ছিলাম এবং আল্লাহকে স্মরণ করতে ছিলাম। কারণ ওই অবস্থায় আমি নিচে নামব না। কোনোভাবেই না। আমার বাসার সবাই নেমে গিয়েছিল, বিধায় বিড়ালটাকে আমি কোলে নিয়ে বসে ছিলাম। আমার মেয়ে ঘরে ফিরে আসার সাথে সাথে বিড়ালটাকে নিয়ে নেমে যেতে বলেছিলাম।”
মনিরার এই ভাবনার সঙ্গে একমত নন তাজকিয়া বিলকিস। তিনি লেখেন, “বাংলালিরা অনেক সময় নিজেদেরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। কারণ তারা অতিরিক্ত ভাবতে থাকে—লোকে কী বলবে।” লাভলী ইসলাম লেখেন, “যাইহোক ওড়না আর বাচ্চাটা নিয়ে নিচে দৌড়ে নেমে গেছিলাম। তবে এরকম সময়ে মানুষের এতকিছু ভাবার সময় থাকে না। তারপরও যারা ওড়না ছাড়া কখনো বাহিরে বের হতে পারেন না, তারা ওড়না না পেলেও গামছা/তোয়ালে নিয়েও দৌড় দিবে আর যাদের ওড়না লাগে না তাদের হিসেব আলাদা।”
চমককে উদ্দেশ্য করে ইশিতা লেখেন, “জানি না কথাটা ব্যঙ্গ করে বলেছেন কি না। কিন্তু অনেকেই ভাবে সম্মান আগে, ওভাবেই তাদের চিন্তাভাবনাও সেট করা। আজকের ভূমিকম্পে আমি প্রথমে ওড়না ছাড়া বের হয়ে যাচ্ছিলাম, হুট করেই আবার রুমে ঢুকে ওড়না নিয়ে বের হইছি। এটা নিয়ে ব্যঙ্গ করার কিছু নেই, যার যার চিন্তাভাবনা তার তার কাছে। আপনি না মানেন, সেটাও আপনার বিষয়।” তবে লামিয়া নামে একজন লেখেন, “আমার মনে হয়, জীবনের থেকে ইজ্জত আগে।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে।
ঢাকা/শান্ত