২৫২ কোটি রুপির মাদক–কাণ্ডে ওরি! আবার তোলপাড় বলিউডে
Published: 21st, November 2025 GMT
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয় মুখ ওরহান অবাত্রামণি। সবাই তাঁকে চেনে ‘ওরি’ নামেই। বলিউড তারকাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, পার্টিতে নিয়মিত উপস্থিতির কারণে প্রায়ই খবরের শিরোনাম হন। এবার তিনি আলোচনায় এসেছেন ভিন্ন এক কারণে; ২৫২ কোটি রুপির মেফেড্রোন মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠিয়েছে মুম্বাই পুলিশের অ্যান্টি-নারকোটিকস সেল (এএনসি)।
গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছিল; কিন্তু ওরি নিজে হাজির হননি। তাঁর হয়ে উপস্থিত হন আইনজীবী। তাঁর আইনজীবী তদন্ত কর্মকর্তাদের জানান, ‘ওরি বর্তমানে ব্যক্তিগত কারণে হাজির হতে পারছেন না।’ একই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের তারিখ ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। এখন এএনসির সিনিয়র কর্মকর্তারা সেই আবেদন বিবেচনা করছেন।
কীভাবে আলোচনায় এল ওরির নাম
এই হাইপ্রোফাইল মামলার মোড় ঘোরে মূল অভিযুক্ত মোহাম্মদ সেলিম মোহাম্মদ সুহেল শেখ, ওরফে ‘ল্যাভিশ’, তদন্তে নতুন তথ্য দেওয়ার পর। বিলাসী জীবনযাপনের কারণে পরিচিত ল্যাভিশ তদন্তে দাবি করেন, তিনি যে মাদক পার্টিগুলো আয়োজন করতেন, সেখানে মুম্বাইয়ের পরিচিত তারকা, ফ্যাশন দুনিয়ার ব্যক্তিত্ব, প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য এবং আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের এক আত্মীয় নিয়মিত উপস্থিত থাকতেন। সেই তালিকায় ওরির নামও উঠে আসে।এই তথ্যের ভিত্তিতেই এএনসি তাঁকে সমন পাঠায়। যদিও এখনো তাঁর বিরুদ্ধে কোনো সরাসরি অভিযোগ আনা হয়নি।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ কারাগারে
অগ্রণী ব্যাংকের ১৮৯ কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারি মামলায় ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি একসময় অগ্রণী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ছিলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মশিউর রহমান জানান, আজ ওবায়েদ উল্লাহকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। দুদকের পক্ষে তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজালাল তাঁকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে আজ সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে ওবায়েদ উল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আবেদনে বলা হয়েছে, আসামির বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে অগ্রণী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আছাদগঞ্জ শাখা থেকে বিতরণকৃত ট্রাস্ট রিসিপ্ট (টিআর) ঋণের মাধ্যমে ৫১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করায় মামলা হয়েছে। বর্তমানে সুদে-আসলে এ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। মামলার তদন্ত ও বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কারাগারে রাখা প্রয়োজন।
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ২০২৫ সালের ১৬ জুলাই ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে তিনি রূপালী ব্যাংকের এমডি, অগ্রণী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর অগ্রণী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আছাদগঞ্জ শাখা থেকে নিয়ম ভেঙে ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে ১৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মামলার অপর আসামিরা হলেন অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ আবদুল হামিদ, অগ্রণী ব্যাংকের আছাদগঞ্জ শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ও মহাব্যবস্থাপক মোস্তাক আহমেদ, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. আবুল হোসেন তালুকদার, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক তাজরীনা ফেরদৌসী ও সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. মোফাজ্জল হোসেন। এ ছাড়া মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মিজানুর রহমান, জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেডের এমডি জহির আহমেদ, ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক টিপু সুলতান ও ফরহাদ মনোয়ারকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের নামে ছোলা ও গম আমদানির জন্য ঋণ মঞ্জুর করা হলেও প্রকৃত সুবিধাভোগী ছিল নুরজাহান গ্রুপ ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেড। বেতনভোগী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন ও উত্তোলন করে। নুরজাহান গ্রুপের একটি বেনামি প্রতিষ্ঠানের নামে শাখায় হিসাব খোলা থেকে শুরু করে হিসাব পরিচালনার জন্য নুরজাহান গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাসমীর ভেজিটেবল অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমেদকে হিসাব পরিচালনার জন্য দেওয়া হয়। নতুন এই প্রতিষ্ঠানকে বিপুল অঙ্কের ঋণ মঞ্জুরি এবং পরে ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্তাবলি যথাযথভাবে পরিপালন নিশ্চিত না করে সুপরিকল্পিতভাবে ব্যাংকের ৫১ কোটি টাকা (বর্তমানে সুদে-আসলে ১৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা) আত্মসাৎ করেন আসামিরা।