রোমান্স, কমেডি আর তরুণদের ‘ক্যাওটিক’ জীবন
Published: 8th, October 2025 GMT
আজ মুক্তি পাচ্ছে ‘লিটল মিস ক্যাওস’। রোমান্স, কমেডি আর তরুণদের ‘ক্যাওটিক’ জীবন নিয়ে নির্মিত ওয়েব ফিল্মটি পরিচালনা করেছেন মাহমুদা সুলতানা। ফিল্মটি আজ বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে চরকিতে দেখা যাবে।
নবীন শিল্পীদের নিয়ে নির্মিত ‘লিটল মিস ক্যাওসের’ গল্পে রয়েছে মেট্রোপলিটনের তরুণ-তরুণীদের বেড়ে ওঠা, সম্পর্কের জটিলতা আর জীবনের এলোমেলো মুহূর্তগুলো। ফিল্মে অভিনয় করেছেন হোসনে আরা আলী, দীপা খন্দকার, রফিউল কাদের, সাদিকা স্বর্ণা, নাহিন শফিক, ফারিহা রাহমান প্রমুখ।
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র দুজন—ইরা ও মারুফ। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ইরাকে ঘিরে গল্পের শুরু। ফ্যাশনসচেতন, প্রাণবন্ত এই তরুণীর জীবনে প্রতিদিনই ঘটে নানা রকম ঝামেলা। তার জীবন এলোমেলো, অগোছালো, তবে রঙিন অভিজ্ঞতায় ভরপুর। সে কারণেই ফিল্মের নাম রাখা হয়েছে ‘লিটল মিস ক্যাওস’। ইরা চরিত্রে অভিনয় করেছেন নবীন অভিনেত্রী সাদনিমা বিনতে নোমান। এটি তাঁর প্রথম ওয়েব ফিল্ম। সাদনিমা বলেন, ‘আমিও এ জেনারেশনের দর্শক। আমি ছাড়া অন্যরা যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরাও তরুণ। এ গল্পে রোমান্স আছে, কমেডি-সার্কাজম আছে। আর আমিই যেহেতু “লিটল মিস ক্যাওস”, শুটিংয়ের সময় অনস্ক্রিন-অফস্ক্রিন ক্যাওস করে বেরিয়েছি। মজা করে কাজটি করেছি। আশা করছি ভালোও হয়েছে।’
মারুফ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাদ সালমি নাওভী। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া এক তরুণ, যিনি নিজে কিছু করতে চান—ফুড কার্ট চালিয়ে। নাওভী বলেন, ‘এই ফিল্মে একটু একটু করে সবকিছুই এসেছে। ফান, ড্রামা, দুষ্টুমি, রোমান্স, বন্ধুত্বসহ নানা অনুভূতির সুন্দর মিশ্রণ। আশা করছি, দর্শকদের ভালো লাগবে। কারণ, আমরা যখন শুটিং করেছি, তখনই মনে হচ্ছিল কাজটা মজা হচ্ছে। আমার চরিত্রটাও ডিফারেন্ট। সাধারণত এনার্জেটিক, ফান লাভিং কাজ করি। কিন্তু “লিটল মিস ক্যাওস”-এ আমি একটু ধীরস্থির। চ্যালেঞ্জ ছিল, তাই কাজটি করে মজা লেগেছে।’ ‘লিটল মিস ক্যাওস’-এ ইরার বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্রিস্টাল ডি’রোজারিও ও আইশা খান। মারুফের বন্ধুর চরিত্রে আছেন তামজিদ তন্ময়।
ওয়েব ফিল্মটি পরিচালনার পাশাপাশি গল্প ও সংলাপ লিখেছেন মাহমুদা সুলতানা। গল্পটাকে তিনি ‘রোমান্টিক ড্রামেডি’ ঘরানার বলতে চান। তাঁর ভাষ্যে, ‘মেট্রোপলিটনের ক্যাওটিক জীবনে আমাদের সবারই আছে অতীতের ট্রমা আর ব্যাগেজ। সেগুলো কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়াই জীবনের অংশ। কিন্তু এই ক্যাওটিক জার্নিতে যদি পেয়ে যান একটুখানি আশ্রয় আর ভরসার জায়গা, তাহলে কেমন হয়?’
সেনসেশন কনডমস ‘প্রেজেন্টস লিটল মিস ক্যাওস’ শহুরে জীবনের রোমান্স, কমেডি ও ক্যাওসের গল্পকে তুলে ধরবে এক নতুন ভঙ্গিতে, এমনটাই মনে করে চরকি।
চরকি তরুণ নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে কাজ করছে কেন? এর আগে এমন প্রশ্নের জবাবে প্ল্যাটফর্মটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, ‘চরকি সব ধরনের দর্শকের জন্যই কনটেন্ট তৈরি করছে। “লিটল মিস ক্যাওস” তরুণদের গল্প হলেও সবারই এটি ভালো লাগবে। তরুণদের নিয়ে কাজ করার বিশেষ একটি কারণ আছে, তরুণেরা না এলে ইন্ডাস্ট্রি বড় হবে না। চরকি শুরু থেকেই সেই পরিবেশ তৈরির জন্য কাজ করছে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২২ দিন মা ইলিশ রক্ষা করতে পারলে উৎপাদন বাড়বে: উপদেষ্টা
ডিম ছাড়া ও প্রজননের জন্য সরকার নির্ধারিত ২২ দিন সফলভাবে কার্যকর করার মধ্য দিয়ে মা ইলিশ রক্ষা করতে পারলে আগামী মৌসুমে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার সাভার উপজেলার কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের কেন্দ্রীয় কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানিক দলের ওপর হামলা
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে মৎস্যকর্মীর ইলিশ শিকার: তদন্ত কমিটি গঠন
ইলিশের ডিম ছাড়া ও প্রজনন বৃদ্ধির জন্য মা ইলিশ রক্ষায় ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিন দেশের নদী-সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ সময় ইলিশ ধরা, বিক্রয়, পরিবহন বন্ধ থাকবে।
সাভারে ল্যাবরেটরি পরিদর্শন শেষে সন্তোষ প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমাদের যে সুযোগ-সুবিধা আছে, তা যদি কাজে লাগানো যায়, দেশের খামারিরা তাদের গো-প্রজননের ক্ষেত্রে বড় সেবা পাবে। এর মাধ্যমে উন্নত ও সংকর প্রজাতির প্রজনন এবং গো-মাংস ও দুগ্ধ উৎপাদন বাড়বে।’’
এ সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর ইলিশের আকাল হওয়ার পেছনে অন্যান্য আরো কারণ আছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘নদীতে নাব্যতার অভাব, দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টি ঠিকমতো না হওয়া এছাড়াও এখন বড় দুটি সমস্যা আছে, একটি হচ্ছে অবৈধ জালের ব্যবহার, আরেকটি হচ্ছে জাটকা ধরা।’’
ফরিদা আখতার বলেন, ‘‘এই জাটকা নিধন বন্ধে আমরা যদিও এপ্রিল মাসে ৫৮ দিনের (মাছ ধরার ওপর) নিষেধাজ্ঞা দেই, সেসময় কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী, নৌপুলিশ এবং আমাদের কর্মকর্তারা অনেক কাজ করেন, কিন্তু তারপরও এটা দুঃখজনক, অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা স্বল্পমেয়াদী মুনাফা চান, তারা জেলেদের বাধ্য করেন এগুলো (জাটকা) ধরতে। এটার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করি, আগামী মৌসুমে আপনারা ভালো রেজাল্ট পাবেন।’’
ঢাকা/সাব্বির/বকুল