Prothomalo:
2025-11-22@17:03:53 GMT

সচিবহীন জনপ্রশাসন আর কত দিন

Published: 8th, October 2025 GMT

১৬ দিন হয়ে গেল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে কোনো সচিব নেই। গুরুত্বপূর্ণ এই দপ্তরের দায়িত্ব কাকে দেবে, সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে পারছে না অন্তর্বর্তী সরকার। ফলে কাজে নেমেছে স্থবিরতা। প্রশ্ন আসছে, এমন অবস্থা আর কত দিন চলবে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমানকে জনপ্রশাসন সচিব পদে নিয়োগ দিয়েছিল। দুই বছরের জন্য চুক্তিতে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হলেও গত ২১ সেপ্টেম্বর বদলি করে পাঠানো হয় পরিকল্পনা কমিশনে। তার পর থেকে জনপ্রশাসন সচিবের পদটি ফাঁকা।

সচিবালয়ে গুঞ্জন আছে, জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব পদ ঘিরে ভেতরে–ভেতরে চলছে তীব্র টানাপোড়েন। দুটি রাজনৈতিক দলের সমর্থক–কর্মকর্তারা চাইছেন, তাঁদের পছন্দের কেউ যেন এই পদে বসেন। কারণ, জেলা প্রশাসকসহ মাঠ প্রশাসন ও অন্যান্য পর্যায়ের বদলি ও পদোন্নতির মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসে এ মন্ত্রণালয় থেকেই।

পাঁচ মাস পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা রয়েছে। ফলে এখন যিনি নিয়োগ পাবেন, ভোটের সময় তাঁরই সেই দায়িত্বে থাকার কথা।

আবার সচিবালয়ে আলোচনা আছে, বিতর্কের আশঙ্কায় অনেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এখন এই পদে যেতে অনাগ্রহী। কেউ কেউ মনে করছেন, অন্য মন্ত্রণালয়ে চুক্তিতে নিয়োগে থাকা কোনো সচিবকে জনপ্রশাসনে আনা হতে পারে। তাতে আবার আপত্তি নিয়মিত কর্মকর্তাদের। তাঁরা বলছেন, জনপ্রশাসন সচিব করা উচিত নিয়মিত কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেই কাউকে, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে নয়।

এসব মিলিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ পদ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দোদুল্যমানতা অনেকটাই স্পষ্ট।

মোখলেস উরকে বদলির পর আলোচনা ছিল, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন থেকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ফেরার পরপরই নতুন সচিব নিয়োগ দেওয়া হবে। তিনি ২ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন, তারপর সপ্তাহ গড়ালেও জনপ্রশাসন সচিব পদ শূন্যই রয়েছে।

জনপ্রশাসন সচিব প্রশাসনের সবচেয়ে প্রভাবশালী পদের একটি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিবের পর এই পদের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে মন্ত্রণালয়টির গুরুত্ব এখন আরও বেড়েছে।

আরও পড়ুনজনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমানকে বদলি২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আজ বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সচিব পদে কাকে, কবে নিয়োগ দেওয়া হবে—তা নিয়ে কর্মকর্তারাও অনিশ্চয়তায় আছেন। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলি, নিয়োগ ও পদোন্নতির কাজ প্রায় স্থবির হয়ে আছে। আটকে আছে কিছু আর্থিক বিষয়ও। আপাতত একজন অতিরিক্ত সচিব কেবল রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আজ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা আশা করছেন শিগগির জনপ্রশাসন সচিব পদে নিয়োগ হয়ে যাবে।। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো সময় তাঁরাও বলতে পারছেন না। কারণ, এই নিয়োগের বিষয়টি তাঁদের হাতে নেই।

আরও পড়ুনএই সরকারও পুরোনো পথে, প্রশাসনে পদ ছাড়াই পদোন্নতি ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কবে নাগাদ জনপ্রশাসন সচিব নিয়োগ হবে, সে বিষয়ে জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটির সভাপতি অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বা কমিটির অন্য সদস্যদের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রাজশাহী ও ময়মনসিংহে রেলপথ অবরোধ

৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রাজশাহী ও ময়মনসিংহে রেলপথ অবরোধ করেছেন প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা।

আজ শনিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী রেলপথ অবরোধ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির একদল শিক্ষার্থী। আর ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা বিকেল পাঁচটার দিকে ক্যাম্পাস সংলগ্ন রেলপথ অবরোধ করেন। এর মধ্যে বাকৃবির শিক্ষার্থীরা রাত আটটার দিকে অবরোধ তুলে নিলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাত পৌনে ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময় অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

বিকেল পৌনে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন স্টেশন বাজার রেললাইন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে রাজশাহী থেকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অস্বাভাবিকভাবে কম। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তাঁরা দাবি করেন, প্রথমবার লিখিত পরীক্ষায় বসতে যাওয়া পরীক্ষার্থীদের জন্য মাত্র দুই মাস সময় দেওয়া বৈষম্যমূলক। এত কম সময়ে ১ হাজার ১০০ নম্বরের সিলেবাস শেষ করা সম্ভব নয়।

অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘সময় চাই, সময় চাই, যৌক্তিক সময় চাই’, ‘এক দুই তিন চার, পিএসসি স্বৈরাচার’, ‘সবাই পায় ছয় মাস, আমরা কেন দুই মাস’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রোনমি অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা আকতার বলেন, ‘প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর লিখিতের জন্য মাত্র দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে, এটা অযৌক্তিক। আমরা শুধু যৌক্তিক সময় চাই।’

মেহেদি হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে যৌক্তিক সময়ের দাবিতে আন্দোলন করছি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পরীক্ষার্থীরা আমাদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়েছে। তবু পিএসসির অবস্থান একই রয়ে গেছে। আমরা চাই, পরীক্ষার সময় পেছানো হোক, যাতে সবাই সমানভাবে প্রস্তুতি নিয়ে প্রতিযোগিতা করতে পারে।’

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

৪৭ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সময়সূচিকে ‘অবাস্তব ও বৈষম্যমূলক’ উল্লেখ করে তিন ঘণ্টা রেললাইন অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পরীক্ষার্থীরা। আজ বিকেল পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এর ফলে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী তিস্তা ও মহুয়া এক্সপ্রেস এবং ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের চলাচল বিঘ্নিত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার বিকেলে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আব্দুল জব্বার মোড়ে আসেন। পরে তারা আব্দুল জব্বার মোড় সংলগ্ন রেললাইনের ওপর অবস্থান করেন।

৪৭ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি পেছানোর দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রেলপথ অবরোধ

সম্পর্কিত নিবন্ধ