গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার লিটার চোলাই মদ জব্দ করে প্রকাশ্যে ধ্বংস করেছে যৌথ বাহিনী। মদ তৈরিতে জড়িত ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। 

বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে কালিয়াকৈর উপজেলার ঠাকুর পাড়ায় জঙ্গলে অভিযানকালে মাটি খুঁড়তেই বের হয়ে আসে ড্রামভর্তি চোলাই মদ বা বাংলা মদ। 

দীর্ঘদিন ধরে বসতবাড়িতে এসব চোলাই মদ তৈরি করা হয়। এরপর তা পুকুরের পাড় বা বাগানে লুকিয়ে রাখেন মাদক ব্যবসায়ীরা। 

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সকাল ৭ থেকে ১১টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার লিটার চোলাই মদ জব্দ করে যৌথ বাহিনী। পরে সেগুলো স্থানীয় লোকজনের সামনে ধ্বংস করা হয়। 

সেনাবাহিনীর মৌচাক ক্যাম্প, বিজিবি, কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ও মধ্যপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশের সদস্যরা এ অভিযানে অংশ নেন।

স্থানীয়রা বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কালিয়াকৈর উপজেলার ঠাকুর পাড়ায় চোলাই মদ তৈরি করা হতো। স্থানীয় যুবকরা মাদকে আসক্ত হচ্ছে। এই অভিযানের ফলে আমরা স্বস্তি পাব। 

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান বলেছেন, মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটক ৬ জনের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ 

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ ল ই মদ

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় মেঘনা তেল ডিপোতে চালক ও শ্রমিকদের কর্মবিরতি পালন

ফতুল্লার সরকারি মেঘনা তেল ডিপোতে চালক ও শ্রমিকদের বিক্ষোভ করে কর্ম বিরতি পালন করছে। ফলে সকাল নয়টা  থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত তেল উত্তোলন ও পরিবহন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। 

বুধবার সকাল ৯ টার দিকে ডিপোর প্রধান ফটকের সামনে শতাধিক চালক ও শ্রমিক অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন  সহকারী কমিশনার (ভূমী) ফতুল্লা সার্কেল মোঃ আসাদুজ্জামান নুর  ও ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) আনোয়ার হোসেন। পরে দুপুর ১২ টার দিকে মেঘনা তেল ডিপোর কতৃপক্ষ,  মেঘনা ডিপো চালক শ্রমিক ইউনিয়ন  ফতুল্লা শাখার নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রি পাক্ষিক আলোচনা করে সমোঝতা হয়। পরে ডিপোর কার্যক্রম স্বাভাবিক  হয়।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অভিযোগ করেন,মেঘনা ডিপোতে সদ্য যোগদান করা ডিএস  মোঃ জালাল উদ্দিন শ্রমিকদের সাথে খারাপ আচরন সহ জ্বালানী তেল সরবরাহে লিটারে কম দিচ্ছে।পাশাপাশি চালকেরা অভিযোগ করেন, তেল লোড ও আনলোড করার সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় তারা প্রায়ই দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে কাজ করেন।

চালক-শ্রমিকদের আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে মেঘনা তেল ডিপোর ডি,এস মোঃ জালাল উদ্দিন জানায়,তিনি কারো সাথে খারাপ আচরন করেন নি। সকলের  সাথে তার সু সম্পর্ক রয়েছে। জ্বালানী তেল কম দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি দ্ধায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ কাজটি করতে দেওয়া হচ্ছেনা।

বরং চালক-শ্রমিকরা কিছু ইনভয়েজ করা লিটারের চাইতে কিছু তেল ট্যাংকে রেখে যাওয়ার আপত্তি করে বা রেখে যেতে চায়। পরে জ্বালানী তেল পেট্রোল পাম্পে দিয়ে এসে ট্যাংকে রেখে যাওয়া জ্বালানী তেল নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে পোষন করে। তিনি এর প্রতিবাদ সহ এ কাজ বন্ধ করে দেয়। আর এ কারনে  আজ (বুধবার) 

ইকবাল চৌধুরী এ রকম আবদার করলে তিনি তা প্রত্যাখান করেন। আর তাতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে চালক -শ্রমিকদের ভুল বুজিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে ফেলেন।

অন্যদিকে, মেঘনা ডিপোর চালক-শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি বাচ্চু মিয়া জানান, আলোচনার মাধ্যমে বিষয়গুলো সমাধান করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সহকারী কমিশনার (ভূমী) ফতুল্লা সার্কেল মোঃ আসাদুজ্জামান নুর জানান, সংবাদ পেয়ে তিনি জেলা প্রশাসনের হয়ে এখানে এসেছেন। উভয় পক্ষের সাথে  সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ