মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রেস সচিবের বক্তব্য শুনে ‘অসুস্থ’ বোধ করার কথা বললেন নূর খান
Published: 8th, October 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম মনে করেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল। মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে চিত্র গণমাধ্যমে দেখা যায়, বাস্তবতা তার চেয়ে অনেক ভালো। ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আজ বুধবার বিকেলে মানবাধিকার সংগঠন সপ্রাণ আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিবেদনের একটা বড় সমস্যা হলো পত্রিকাগুলোর রিপোর্টের ওপর নির্ভর করা। যে পত্রিকার রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়, সেই রিপোর্ট কতটা বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য, সে প্রশ্ন তোলেন তিনি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের ঘটনাগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করার কথাও বলেন প্রেস সচিব।
বৈঠকে শফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জ থাকার পরও অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে। বক্তব্যের শেষে জরুরি কাজ থাকায় বৈঠক ত্যাগ করেন তিনি।
তবে প্রেস সচিবের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেন একাধিক বক্তা। গুমসংক্রান্ত কমিশনের সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম নব ধ ক র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
শাহরিয়ার কবিরের মুক্তি দাবি ৫ সংগঠনের
কারাবন্দী সাংবাদিক ও লেখক শাহরিয়ার কবিরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে এবং তাঁর নিরাপত্তা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের পাঁচটি সংগঠন।
সংগঠনগুলো হলো সাউথ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরাম, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরাম, ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশ ইন জার্মানি, আর্থ সিভিলাইজেশন নেটওয়ার্ক (গ্লোবাল নেটওয়ার্ক), ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস অ্যালায়েন্স (গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম)।
রোববার একটি যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনগুলো বলেছে, এক বছর ধরে ‘মিথ্যা’ হত্যা মামলায় শাহরিয়ার কবির কারাগারে বন্দী রয়েছেন। তিনি কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তিনি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার রক্ষার জন্য নিবেদিত ছিলেন।
কারাগারে শাহরিয়ার কবিরের সঙ্গে ‘অমানবিক আচরণ’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে বিবৃতিতে। এতে বলা হয়, সম্প্রতি তাঁকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে, যেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে। তিনি নিয়মিত অপমানজনক আচরণ ও মানবেতর পরিবেশের সম্মুখীন হচ্ছেন।
বন্দী অবস্থায় সাবেক মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হুমায়ুনের মর্মান্তিক মৃত্যু আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে, বন্দীদের চিকিৎসা দিতে অবহেলা করলে কী ভয়াবহ ফল হতে পারে। আমরা কারাগারে এ ধরনের আরও মৃত্যু দেখতে চাই না।’