নৌকা বাইচ দেখতে আড়িয়াল বিলে হাজারো জনতার ঢল
Published: 9th, October 2025 GMT
ঢেউয়ের কলতান ও বৈঠার ছলাত ছলাত শব্দে উত্তাল হয়ে উঠেছিল আড়িয়াল বিল। বিলের দুই পাড়ে হাজারো দর্শকদের করতালিতে পরিবেশ হয়ে উঠেছিল উৎসবমুখর। আশ্বিনের বিকেলে গ্রাম বাঙলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের মানুষ।
বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার উত্তর সেলামতি পল্টন আড়িয়াল বিলে শহীদ জিয়া স্মৃতি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়ন যুবদল ও ছাত্রদল। এতে নিউ বুলেট দয়হাটা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মাদারীপুরে ভেলা প্রতিযোগিতায় দর্শনার্থীদের ভিড়
নড়াইলে নৌকাবাইচ দেখতে হাজারো দর্শনার্থীর ভীড়
প্রতিযোগিতায় শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়ীখাল এক্সপ্রেস, নিউজ বুলেট, বাগবাড়ী, লস্করপুর একতাসহ বিশালাকার ছিপ নৌকা ও কোষা নৌকা অংশ নেয়। বাইচ শেষে বিজয়ী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জকারী দলকে পুরস্কৃত করা হয়।
প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন- মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী দেলোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতিন, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আলম প্রধান।
আরো উপস্থিত ছিলেন- ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নুরুল আলম দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক আ.
ঢাকা/রতন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
চকরিয়ার বাসা থেকে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ, রোহিঙ্গা শিবির থেকে উদ্ধার
কক্সবাজারের চরকিয়ার পৌরসভার একটি বাসা থেকে অপহরণের শিকার তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি ওই ছাত্রী। ছাত্রীকে উদ্ধার করা হলেও তার অপহরণকারীকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
গতকাল রাত ১১টার দিকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধারের পর চকরিয়া থানায় আনা হয় বলে জানান অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ওই ছাত্রীর অপহরণকারী একজন রোহিঙ্গা যুবক। অন্য এক রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করে চকরিয়া পৌরশহরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। সেই বাসায় অপহৃত ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতেন তিনি। ওই রোহিঙ্গা যুবক বাংলাদেশের ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করতেন বলে জানা গেছে।
গতকাল রাতে চকরিয়া থানা চত্বরে ওই ছাত্রীর বাবা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাসার পাশে এক দম্পতি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। গৃহকর্তা মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান তাঁর বাসায় প্রাইভেট পড়ানো শুরু করলে আমার মেয়েকেও সেখানে পড়তে দিই। তাঁরা যে রোহিঙ্গা, সেটি আমরা জানতাম না। হঠাৎ গত মঙ্গলবার বিকেলে মেয়ে পড়তে গিয়ে আরে ফেরেনি। শিক্ষকের বাসাও তালা দেওয়া। শিক্ষককে ফোন দিলেও ধরেননি তিনি। পরদিন সকালে আমার মুঠোফোনে কল করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। কণ্ঠ শুনে নিশ্চিত হই, এটি মুজিবুর রহমানের কণ্ঠ। একপর্যায়ে ওই শিক্ষক স্বীকার করেন, তিনি আমার মেয়েকে অপহরণ করেছেন। মুক্তিপণের টাকা পাঠাতে তিনি একটি বিকাশ নম্বর দেন।’
চকরিয়া থানার পুলিশ জানায়, মুক্তিপণের টাকা পাঠাতে ছাত্রীর বাবাকে একটি বিকাশ নম্বর দেন শিক্ষক মুজিবুর। সেই নম্বরে কিছু টাকা পাঠিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অপহরণকারীর অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেনের নেতৃত্বে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে অভিযান চালিয়ে গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশ অপহরণকারীকে ধরতে পারেনি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, অপহৃত ছাত্রীকে পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। অপহরণকারীও শিগগিরই ধরা পড়বেন। এ ঘটনায় গতকাল রাতে ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।