মালিবাগে জুয়েলারি দোকান থেকে ‘৪০০ ভরি’ স্বর্ণালংকার চুরি
Published: 9th, October 2025 GMT
রাজধানীর মালিবাগের একটি বিপণিবিতানের জুয়েলারি দোকান থেকে প্রায় ৪০০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দোকানমালিকের ভাষ্য, গতকাল বুধবার গভীর রাতে এই স্বর্ণালংকার চুরি হয়। চুরি হওয়া ৪০০ ভরি স্বর্ণালংকারের দাম ৮ কোটি টাকার বেশি।
বর্তমানে দেশের বাজারে, প্রতি ভরি সোনার দাম দুই লাখ টাকার বেশি।
ঘটনায় জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারিনি পুলিশ। চুরির খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশ বলছে, চুরি হওয়া স্বর্ণের পরিমাণ নিয়ে বিভ্রান্তি আছে।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, মালিবাগের ফরচুন শপিং মলের দ্বিতীয় তলায় শম্পা জুয়েলার্স। এই দোকান থেকে ৪০০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি হয়েছে বলে দোকানমালিকের অভিযোগ।
ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় দেখা যায়, গতকাল দিবাগত রাত ৩টা ১০ মিনিটের দিকে শপিং মলের পেছনের তৃতীয় তলার জানালার গ্রিল ভাঙা।
এই তথ্য জানিয়ে ওসি গোলাম ফারুক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, এখান থেকেই চোর শপিং মলের ভেতরে ঢোকে। পরে তারা দ্বিতীয় তলার শম্পা জুয়েলার্সের শাটার ভাঙে। দোকানের ভেতরে ঢুকে শোকেসে রাখা স্বর্ণালংকার তারা চুরি করে নিয়ে যায়।
শপিংমলের সবগুলো সিসি ক্যামেরা দেখে চোর শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি গোলাম ফারুক।
আরও পড়ুনদেশে সোনার দাম ২৬ মাসেই দ্বিগুণ০৮ অক্টোবর ২০২৫পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো.
সিসি ক্যামেরা দেখে চোর শনাক্তসহ লুট হওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ আলম। তবে তিনি বলেন, চুরি হওয়া স্বর্ণের পরিমাণ নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে।
ঘটনার পর শপিং মলজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুনসোনার ভরি দুই লাখ টাকা ছাড়াল, নতুন দাম কাল থেকে কার্যকর০৬ অক্টোবর ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স বর ণ ল ক র চ র
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুরে পাখি শিকারিকে কারাদণ্ড
শেরপুরে বক ও পাখি শিকারের অপরাধে এক ব্যক্তিকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার ধলাকান্দা এলাকায় ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই শিকারির নাম মো. উকিল মিয়া (১৯)। তিনি সদর উপজেলার চান্দের নগর মৃত সামিদুল মিয়া ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধলাকান্দা গ্রামের নিচু এলাকার ধানক্ষেত ও বিলের ধারে হালা (দেশীয় পাখি ধরার ফাঁদ) দিয়ে দেশীয় বক শিকার চলে আসছিল এবং প্রকাশ্যে বক বিক্রিও হচ্ছিল।
পরে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনাস্থল থেকে হালা ও ছয়টি বকসহ এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা ঘোষণা করা হয়।
এসময় শেরপুরের বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মো. আব্দুল্লাহ আল আমিনসহ বন বিভাগের বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে জনগণকে পাখি শিকার বন্ধে সচেতন করার জন্য লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া বলেন, “বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এর ৬ ধারা লঙ্ঘন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণ পাওয়ায় সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে।”
ঢাকা/তারিকুল/এস