রাজশাহীতে দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় জামায়াত কর্মীর মৃত্যু
Published: 9th, October 2025 GMT
রাজশাহীর বাগমারায় দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর এক কর্মী নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ওই কর্মীর নাম মামুনুর রশিদ (৬৪)। তিনি জামায়াতে ইসলামীর বাগমারা বাসুপাড়া ইউনিয়ন শাখার কর্মী ও উপজেলার হলুদঘর গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় একটি মসজিদের মুয়াজ্জিনও ছিলেন তিনি।
দলীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে বাগমারা উপজেলার সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থী আবদুল বারী সরদারের গণসংযোগ ও পথসভা হওয়ার কথা ছিল। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মামুনুর রশিদসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে যাচ্ছিলেন। বাসুপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাইনুল ইসলামের মোটরসাইকেলের পেছনে বসে ছিলেন মামুনুর রশিদ। বহরটি দ্বীপপুর ইউনিয়নের খাঁপুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ধানবোঝাই একটি অটোভ্যানের সঙ্গে তাঁদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুজনই গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামুনুর রশিদ মারা যান। তাঁর শরীর ও পায়ে গুরুতর আঘাত ছিল, ডান পা ভেঙে যায় এবং রক্তক্ষরণ হয়।
এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামীর বাগমারা শাখা। দলের পক্ষ থেকে আজকের ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সব কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
বাগমারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল বাগমারায় হলেও এ ঘটনায় রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম র ব গম র ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুরে পাখি শিকারিকে কারাদণ্ড
শেরপুরে বক ও পাখি শিকারের অপরাধে এক ব্যক্তিকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার ধলাকান্দা এলাকায় ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই শিকারির নাম মো. উকিল মিয়া (১৯)। তিনি সদর উপজেলার চান্দের নগর মৃত সামিদুল মিয়া ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধলাকান্দা গ্রামের নিচু এলাকার ধানক্ষেত ও বিলের ধারে হালা (দেশীয় পাখি ধরার ফাঁদ) দিয়ে দেশীয় বক শিকার চলে আসছিল এবং প্রকাশ্যে বক বিক্রিও হচ্ছিল।
পরে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনাস্থল থেকে হালা ও ছয়টি বকসহ এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা ঘোষণা করা হয়।
এসময় শেরপুরের বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মো. আব্দুল্লাহ আল আমিনসহ বন বিভাগের বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে জনগণকে পাখি শিকার বন্ধে সচেতন করার জন্য লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া বলেন, “বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এর ৬ ধারা লঙ্ঘন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণ পাওয়ায় সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে।”
ঢাকা/তারিকুল/এস