নতুন টেলিভিশনের অনুমোদন নিয়ে যে হাহাকার, তা ‘পুরাতন বন্দোবস্তের’
Published: 9th, October 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের সময় পুরোনো প্রক্রিয়ায় নতুন দুটি টেলিভিশনের লাইসেন্স বা অনুমোদন দেওয়া নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, “আজকে টেলিভিশন অনুমোদন নিয়ে যে হাহাকার, এই হাহাকার হচ্ছে পুরাতন বন্দোবস্ত এবং যারা মনে করে যে নতুন কোনো মানুষ বা নতুন কোনো মুখ যাতে না আসে, তাদের হাহাকার। এগুলো আমরা বুঝি।”
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকায় প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমে জুলাই ও তারপর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহফুজ আলম এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ
শহরে প্রাইমারি হেলথ কেয়ার অনেক দুর্বল: স্বাস্থ্য সচিব
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে পিআইবির পাঁচটি প্রকাশনা ‘তারিখে জুলাই’, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ও রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবিতা’, ‘নিরীক্ষা: অভ্যুত্থান মিডিয়া বয়ান’, ‘যে সাংবাদিকদের হারিয়েছি’ এবং ‘ঘটনাপঞ্জি ২০২৪’ প্রকাশনা উৎসব উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় বক্তব্যের এক পর্যায়ে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, “আজকে টেলিভিশন অনুমোদন নিয়ে যে হাহাকার, এই হাহাকার হচ্ছে পুরাতন বন্দোবস্ত এবং যারা মনে করে যে নতুন কোনো মানুষ বা নতুন কোনো মুখ যাতে না আসে, তাদের হাহাকার। এগুলো আমরা বুঝি। এজন্য আমি গতকাল স্পষ্ট বলেছি এবং আমি যদি এক দিনও থাকি সরকারে, আমি চেষ্টাটাই করব যে আমি নতুন মিডিয়া (গণমাধ্যম) দিয়ে দেব। আমরা যেহেতু ফ্যাসিবাদের মিডিয়া বন্ধ করিনি, আমরা নতুন মিডিয়া দেব।”
উপদেষ্টা বলেন, “নতুন মিডিয়ার মাধ্যমে নতুন মুখ আসবে, নতুন ন্যারেটিভ আসবে, নতুন বক্তব্য আসবে এবং এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে বক্তব্যের লড়াই হবে। যেহেতু আমরা ভায়োলেন্সে (সবিংসতা) যাইনি, ফলে বক্তব্যের বিরুদ্ধে বক্তব্যের লড়াই ও চিন্তার বিরুদ্ধে চিন্তার লড়াইয়ে আমরা যাব। আমরা মনে করি, আমরা অবশ্যই জয়ী হব। এগুলো খুবই স্পষ্ট কথা। এখানে কোনো ধোঁয়াশা রাখার কিছু নেই।”
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ভূমিকা নিয়ে পিআইবিকে একটি গবেষণা করার আহ্বান জানান মাহফুজ আলম। পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থান এবং তার আগে আওয়ামী লীগের স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের সময় দেশের গণমাধ্যমগুলোর ভূমিকার মূল্যায়ন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মাহফুজ জানান, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ভূমিকা মূল্যায়ন করে একটি প্রতিবেদন তৈরির অনুরোধ জানিয়ে তিনি গত জুনে জাতিসংঘকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। আগস্টে তাকে ইউনেসকোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। ইউনেসকোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বাংলাদেশের সাংবাদিকদের জন্য একটি কোড অব কন্ডাক্ট তৈরি করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। সেই কাজটি তারা করছে।
অনুষ্ঠানে সভাপ্রধান ছিলেন পিআইবির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরদৌস আজিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ, লেখক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এবং লেখক ও গবেষক সাইমুম পারভেজ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পিআইবির তথ্য ও গবেষণা কর্মকর্তা সহুল আহমেদ মুন্না। পাঁচটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনার পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানে পিআইবির ফ্যাক্ট চেকিং উদ্যোগ ‘বাংলা ফ্যাক্ট’–এর ওয়েবসাইটও উদ্বোধন করেন তথ্য উপদেষ্টা।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন নত ন ক ন প আইব র উপদ ষ ট নত ন ম
এছাড়াও পড়ুন:
বিপিএল নিয়ে বিতর্ক কি এড়াতে পারবে আমিনুলের বোর্ড
বিসিবির নির্বাচন শেষ। আমিনুল ইসলামের নতুন পরিচালনা পর্ষদের সামনে শুরুতেই বড় চ্যালেঞ্জ বিপিএল। ডিসেম্বর–জানুয়ারিতে টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গেছে। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান আইএমজির সঙ্গে দ্রুতই চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে জানিয়েছে বিপিএলের নতুন গভর্নিং কাউন্সিল। এরপর শুরু হবে ফ্র্যাঞ্চাইজি বাছাই, প্লেয়ারস ড্রাফটসহ অন্যান্য কার্যক্রম।
ডিসেম্বরে বিপিএল শুরু করা মানে হাতে মাত্র দুই মাসের মতো সময়। একই রকম সময় নিয়ে বিপিএলের গত আসরও আয়োজন করতে হয়েছিল বিসিবিকে। কিন্তু তাড়াহুড়া করে সবকিছু করতে গিয়ে বিপিএল নিয়ে বেশ ঝামেলাই পোহাতে হয়েছিল ফারুক আহমেদের বোর্ডকে। পরে তো খেলোয়াড়দের পাওনা বকেয়া আর স্পট ফিক্সিং বিতর্কে টালমাটাল হয়ে ওঠে টুর্নামেন্টটাই। অভিযোগ ওঠে ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম না মানারও।
ফারুক আহমেদের মতো এবারও বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের প্রধান হয়েছেন আমিনুল, সদস্যসচিব হিসেবে আছেন বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান। তাঁদেরও অল্প সময়ের মধ্যেই টুর্নামেন্ট আয়োজনের পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। বিপিএল নিয়ে এবারও তাই জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা থাকছে।
সর্বশেষ বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল