বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গবেষণাভিত্তিক প্রারম্ভিক শিক্ষার বিকাশ, শিশুদের মানসিক ও নৈতিক বিকাশে উদ্ভাবনী পদ্ধতি প্রয়োগ এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্য নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ আর্লি এডুকেশন রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বেরি)।

সম্প্রতি ঢাকার তেজগাঁওয়ে উদ্বোধনী সেমিনারে প্রতিষ্ঠানটি শিশুশিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষক উন্নয়ন, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও সামাজিক উন্নয়নে গবেষণার ভূমিকা জোরদারের অঙ্গীকার করে।

‎অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক কমিটি সদস্য শামীমা আক্তার, সাইফুর রহমান খোকন, রফিকুল ইসলাম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সানাহ। প্রতিষ্ঠানটি অর্গানাইজেশন ফর ডিজেবলড ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড রাইটস (ওডিআইআর) সহপ্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে।

‎সেমিনারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে  সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক শাকিল আজাদ মনন বলেন, “প্রারম্ভিক (শিশু) শিক্ষা পদ্ধতি, সিলেবাস ও কারিকুলামকে সময়োপযোগী ও বাস্তবমুখী করা এবং গবেষণাভিত্তিক শিশু শিক্ষা কার্যক্রমকে সম্প্রসারিত করা আমাদের লক্ষ্য। আমরা অন্তর্ভুক্তি, নৈতিক শিক্ষা ও শিক্ষণ উদ্ভাবনে জোর দেওয়া, আর্থিক অসুবিধায় থাকা শিক্ষকবৃন্দকে গবেষণায় সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ প্রদান করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ও প্রান্তিক পর্যায়ের সংগঠনের সহায়তায় রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণীদের কাছে উপস্থাপন করব। পাশাপাশি আমরা পরিবেশ ও সুস্বাস্থ্য খাদ্য উৎপাদনে কাজ করে যাব যেন শিশুদের বিকাশ সঠিকভাবে হয়।”

‎অনুষ্ঠানের শুরুতে জার্মানি থেকে অনলাইনে সংগঠনটির উপদেষ্টা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত শিশু শিক্ষা বিষয়ক গবেষক ও আইটি বিশেষজ্ঞ কামরুজ্জামান বলেন, “আমি ৩০ বছর যাবৎ বাংলাদেশের শিশু শিক্ষা নিয়ে কাজ করছি। শিশুদের জন্য তেমন কোনো মানসম্মত বই না থাকায় আমি নিজেই বই ছাপিয়েছি। এছাড়া, শিশুদের বিকাশ হওয়ার জন পুষ্টিকর খাদ্য ও পরিবেশ নিশ্চিত করাও হবে এ সংগঠনের কাজ।”

“পাশাপাশি আমাদের শহরে বা আশেপাশের পরিবেশ বসবাস যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। আমরা ধীরে ধীরে সকল বিষয় নিয়ে সমাজে কাজ করব এর জন্য আগে আমাদের এসব বিষয় জানতে হবে।”

‎প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন ‎বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি,  শিক্ষকসহ অন্যান্য পেশাজীবীরা।

ঢাকা/এইচএম/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র লক ষ য পর ব শ ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলিম ব্রাদারহুডের বিভিন্ন শাখাকে নিষিদ্ধ তালিকায় আনতে ট্রাম্পের নির্দেশ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মিসর, লেবানন ও জর্ডানে মুসলিম ব্রাদারহুডের শাখাগুলোকে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু করতে তাঁর সহযোগীদের নির্দেশ দিয়েছেন। ট্রাম্পের অভিযোগ, মুসলিম ব্রাদারহুডের এসব শাখা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে সমর্থন দেয়।

মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে ইসরায়েলের শত্রুদের বিরুদ্ধে চাপ জোরালো করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যেই গতকাল সোমবার ট্রাম্প এ আদেশ দিয়েছেন।

আদেশে বলা হয়েছে, জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতারা হামাসকে বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করছে এবং সংগঠনটির লেবানন শাখা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে হামাস ও হিজবুল্লাহর পক্ষ নিচ্ছে। মুসলিম ব্রাদারহুডের লেবানন শাখাটি আল-জামা আল-ইসলামিয়া নামে পরিচিত।

আরও পড়ুনমুসলিম ব্রাদারহুডকে কেন ত্যাগ করছেন এরদোয়ান১২ আগস্ট ২০২৩

ট্রাম্পের আদেশে আরও বলা হয়েছে, মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুডের এক নেতা গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্থাপনায়’ সহিংস হামলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে হোয়াইট হাউস এটি দিয়ে ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। মুসলিম ব্রাদারহুড মিসরে নিষিদ্ধ। তারা বেশির ভাগ সময় সেখানে গোপনে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।

হোয়াইট হাউস বলেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মুসলিম ব্রাদারহুডের আন্তদেশীয় নেটওয়ার্ককে মোকাবিলা করছেন। এ নেটওয়ার্ক মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন স্বার্থসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র এবং মিত্রদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ডকে উসকে দেয়।

ট্রাম্পের আদেশে বলা হয়েছে, জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতারা হামাসকে বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করছে এবং সংগঠনটির লেবানন শাখা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে হামাস ও হিজবুল্লাহর পক্ষ নিচ্ছে। মুসলিম ব্রাদারহুডের লেবানন শাখাটি আল-জামা আল-ইসলামিয়া নামে পরিচিত।

ট্রাম্পের আদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে দেশটির গোয়েন্দাপ্রধানের সঙ্গে পরামর্শ করে ৩০ দিনের মধ্যে এ–সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদন জমা দেওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে মুসলিম ব্রাদারহুডের শাখাগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ তকমা পাবে।

প্রক্রিয়াটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। তকমা দেওয়ার কাজটি দ্রুতই হয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুনমুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করে বিপদে জর্ডান০৩ মে ২০২৫

ট্রাম্পের আদেশ মুসলিম ব্রাদার হুডের অন্য শাখাগুলোকেও নিষিদ্ধ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পথ খুলে দিচ্ছে।

হোয়াইট হাউস এসব সংগঠনকে ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা করারও চেষ্টা করছে।

হোয়াইট হাউস বলেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মুসলিম ব্রাদারহুডের আন্তদেশীয় নেটওয়ার্ককে মোকাবিলা করছেন। এ নেটওয়ার্ক মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন স্বার্থসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র এবং মিত্রদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ডকে উসকে দেয়।

এসব তকমা দেওয়ার পর মুসলিম ব্রাদারহুডকে যেকোনো ধরনের সহায়তা দেওয়াকে অবৈধ বলে বিবেচনা করা হবে। এ ছাড়া এর আওতায় সংগঠনটির বর্তমান ও সাবেক সদস্যদের মধ্যে বড় অংশেরই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। সংগঠনটির আয়ের উৎস নষ্ট করতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের সুযোগ তৈরি হবে।

মিসরের মুসলিম চিন্তাবিদ হাসান আল-বান্না ১৯২৮ সালে মুসলিম ব্রাদারহুড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে সংগঠনটির বিভিন্ন শাখা আছে।

মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে যুক্ত রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেয়। সংগঠনটির দাবি, তারা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অংশগ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তবে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মুসলিম ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুসলিম ব্রাদারহুডের বিভিন্ন শাখাকে নিষিদ্ধ তালিকায় আনতে ট্রাম্পের নির্দেশ