এক্সিলেন্স আইফেল স্কলারশিপে ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষার সুযোগ, আবেদন দুই ধাপে
Published: 13th, October 2025 GMT
উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপে পড়াশোনা করার স্বপ্ন এখন আরও সহজ হচ্ছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য। ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য শুরু হয়েছে বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ফ্রান্স এক্সিলেন্স আইফেল স্কলারশিপ ২০২৬। এই ফরাসি সরকারি বৃত্তি প্রোগ্রামটি সারা বিশ্বের সেরা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ে ফ্রান্সে পড়াশোনার সুযোগ করে দেয়।
আরও পড়ুনবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ফ্রি অনলাইন কোর্স: নেই নিবন্ধন ফি বা সময়সীমা১১ অক্টোবর ২০২৫আবেদনপ্রক্রিয়া দুই ধাপেবৃত্তির সময়কাল—
মাস্টার্স (M1): সর্বোচ্চ ২৪ মাস
মাস্টার্স (M2): সর্বোচ্চ ১২ মাস
পিএইচডি: সর্বোচ্চ ৩৬ মাস
–আবেদনকারীকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হতে হবে।
–পূর্বে যাঁরা আইফেল স্কলারশিপ পেয়েছেন, তাঁরা পুনরায় আবেদন করতে পারবেন না।
–আবেদন ফরাসি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করতে হবে।
–বর্তমানে ফ্রান্সে মাস্টার্স পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না।
–পিএইচডি পর্যায়ে ফ্রান্সের বাইরে থাকা আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
–বয়সসীমা: মাস্টার্সের জন্য সর্বোচ্চ ২৯ বছর এবং পিএইচডির জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।
–মাসিক ভাতা: মাস্টার্সের জন্য€১ হাজার ২০০ ইউরো এবং পিএইচডির জন্য€২ হাজার ১০০ ইউরো।
–আন্তর্জাতিক বিমান ভ্রমণের ব্যয় (সবচেয়ে সাশ্রয়ী শ্রেণিতে)।
–ফ্রান্সে স্থানীয় পরিবহনের (ডোমেস্টিক ট্রাভেল) সহায়তা।
–আবাসন–সুবিধায় সহায়তা।
–স্বাস্থ্যবিমা।
–সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ।
–ফ্রান্সে পড়াশোনার আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ।
*এই বৃত্তিতে টিউশন ফি অন্তর্ভুক্ত নয়, তবে অন্যান্য ব্যয়ের জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে কক্সবাজারের নারী মাদক ব্যবসায়ীসহ গ্রেপ্তার ২
বন্দরে পৃথক অভিযান চালিয়ে এক নারী মাদক কারবারিসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওই সময় সংশ্লিষ্ট পুলিশ ধৃত মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২০১৬ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
ধৃত মাদক কারবারিরা হলো সুদূর কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার জালিয়াপাড়া এলাকার মৃত হাজী আবুল হোসেন মিয়ার মেয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী সলিমা বেগম (৫০) ও বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের আকাশ মিয়ার ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী হৃদয় (২৫)।
পৃথক স্থান থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারি সংস্থা বাদী হয়ে ধৃতদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মাদক আইনে পৃথক মামলা রুজু করেছে। যার মামলা নং- ৩৮(১১)২৫ ও ৩৯(১১)২৫। ধৃতদের বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বন্দর থানায় রুজুকৃত পৃথক মাদক মামলায় এদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে গত বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় বন্দর থানার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুরস্থ রাফি ফিলিং স্টেশনের সামনে যাত্রীবাহী ঢাকা মেট্রো ব ১৪- ৯৯৪৫ নাম্বারে ষ্টার লাইন পরিবহন ও একই তারিখ দিবাগত রাত সোয়া ২টায় বন্দর থানার মাহমুদনগর ছোট ব্রীজের সামনে পৃথকঅভিযান চালিয়ে উল্লেখিত ইয়াবাসহ এদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ধৃত মাদক কারবারিরা দীর্ঘ দিন ধরে অবাধে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উল্লেখিত পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ এদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।