বরগুনায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু
Published: 13th, October 2025 GMT
পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের বরগুনার শাখারিয়ায় নসিমনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী সোহাগ হাওলাদার (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন।
রবিবার (১২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাখারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
আরো পড়ুন:
নেত্রকোণা থেকে ঢাকা ও ময়মনসিংহ রুটে বাস চলাচল বন্ধ
ঝিনাইদহে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের, আহত মেয়ে
মারা যাওয়া সোহাগ বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চিলা গ্রামের মজিবর হাওলাদারের ছেলে। আহত ব্যক্তির নাম সাইদুল ইসলাম। তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোহাগ এবং সাইদুল মোটরসাইকেলে করে পটুয়াখালী যাচ্ছিলেন। শাখারিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি নসিমন তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এসময় দুই জনই সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত সাইদুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক।
হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবুল কাশেম গাজী বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় আমাদের এলাকার সোহাগ হাওলাদার নিহত হয়েছেন। মোটরসাইকেল চালক সাইদুলকে মুমূর্ষু অবস্থায় বরিশাল মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।”
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, “নসিমনের হেডলাইট না থাকায় দুর্ঘটনা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি পরিবার। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন আহত দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বিজিবি সদস্য আহত
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে নায়েক আক্তার হোসেন নামের একজন বিজিবি সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা পৌনে ১১টায় এই ঘটনা ঘটেছে। বিজিবি সদস্যকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর রামু সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসরুরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে সীমান্তের সাধারণ মানুষ মাইন বিস্ফোরণে আহত হলেও এই প্রথম কোনো বিজিবি সদস্য আক্রান্ত হলেন। চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত সাড়ে আট মাসে ১৫ জনের বেশি মানুষ মাইন বিস্ফোরণে আহত হন। আহতরা অধিকাংশ পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে কক্সবাজার বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের বাইশফাঁড়ি এলাকার রেজু আমতলী সীমান্ত চৌকি (বিওপি) থেকে একটি টহলদল বের হয়। দলটি ৪০ নম্বর সীমান্ত পিলারের আনুমানিক ৫০০ গজের কাছাকাছি সীমান্ত সড়কের পাশে প্রস্তাবিত নতুন একটি বিওপির জায়গায় যায়। সেখানে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায় একটি মাইন, তিনটি হাতবোমা, একটি মর্টারশেল পাহারা দেওয়ার জন্য বিজিবির টহল দলটি গিয়েছিল। ওই স্থানেই হঠাৎ মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মাইনের স্প্লিন্টার ও বারুদের আগুনে বিজিবির নায়েক আক্তার হোসেন দুই পায়ে গুরুতর আঘাত পান। তাঁকে সেখান থেকে দ্রুত উদ্ধার করে রামু সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রেজু আমতলী এলাকাটি কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির আওতায় হলেও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মধ্যে অবস্থিত। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসরুরুল হক জানিয়েছেন, মাইন বিস্ফোরণের স্থানটি সীমান্তের কাছাকাছি হলেও বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্যে পড়েছে। মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে বিজিবি সদস্য আক্তার হোসেন আহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।