প্যানেলের বাইরের প্রার্থীকে সমর্থন, ছাত্রদল নেতাকে আজীবন বহিষ্কার
Published: 13th, October 2025 GMT
চাকসু নির্বাচন/প্যানেলের বাইরের প্রার্থীকে সমর্থন, ছাত্রদল নেতাকে আজীবন বহিষ্কার
অথর: হাসান আবরার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
সম্পাদনা: ২০০৭৭
সেকশন: -বাংলাদেশ
ট্যাগ:
ছবি: হোয়াটসঅ্যাপের চট্টগ্রাম ডিজিটালে
ক্যাপশন:
একসার্পট + সোশ্যাল:
মেটা টাইটেল: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এক নেতাকে আজীবন বহিষ্কার
মেটা ডেসক্রিপশন:
চাকসু নির্বাচন/প্যানেলের বাইরের প্রার্থীকে সমর্থন, ছাত্রদল নেতাকে আজীবন বহিষ্কার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ মামুন উর রশিদকে আজীবনের জন্য সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল রোববার কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো.
ছাত্রদল সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে সংগঠনের ঘোষিত প্যানেলের বাইরের এক প্রার্থীকে সমর্থনের অভিযোগ ওঠার পর মামুনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্রদল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক নেতাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কেবল সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে মামুনকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির কেন্দ্রীয় কমিটির এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন। একই সঙ্গে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সব স্তরের নেতা-কর্মীদের মামুন উর রশিদের সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন বলেন, চাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতারা ক্যাম্পাসে অবস্থান করেছেন। এ সময় তাঁরা মামুনের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছেন। সেই কারণে কেন্দ্রীয় সংগঠন শেষ পর্যন্ত বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।
আলাউদ্দিন মহসিন আরও বলেন, ‘আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি প্যানেল ঘোষণা করেছি; কিন্তু প্যানেলের বাইরে গিয়ে তাঁর অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে আমরা শেষ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।’
জানতে চাইলে বহিষ্কার হওয়া মোহাম্মদ মামুন উর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পদে থাকলেও তাঁর কোনো মতামত নেওয়া হতো না। তাই অনেক আগেই কমিটি থেকে সরে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্রদলের প্যানেলের বাইরের কাউকে সমর্থন করার অভিযোগ সত্য নয়।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে দাবি করে মোহাম্মদ মামুন উর রশিদ আরও বলেন, প্যানেল ঘোষণার সময় তাঁর কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। ছাত্রদলের অনেকেই প্যানেলের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের অনুমোদিত আংশিক কমিটির অধীন কার্যক্রম পরিচালনা করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। ওই কমিটিতে মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মহসিনকে সভাপতি ও আবদুল্লাহ আল নোমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এ ছাড়া মামুনুর রশিদ জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি, মো. ইয়াসিন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাজ্জাদ হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র স য় ছ ত রদল র ম হ ম মদ উদ দ ন স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
‘৫ দফা দাবি মেনে নিন, অন্যথায় আবার গণ–আন্দোলনের সূচনা হবে’
জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, পিআর পদ্ধতির নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবি করায় বলা হচ্ছে, আমরা নাকি নির্বাচন চাই না। অথচ এক বছর আগেই ২০০ আসনে আমরা প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছি। বড় দলটির একটি আসনে এখানো ১০ জনের বেশি প্রার্থী কাজ করছেন। প্রার্থী ঘোষণা করে দেখেন না, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে।’
আজ শুক্রবার দুপুরে সিলেটে জামায়াতের কেন্দ্রঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এহসানুল মাহবুব এ কথা বলেন। নগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় এই কর্মসূচির আয়োজন করে সিলেট মহানগর জামায়াত।
অন্তর্বর্তী সরকারকে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে উল্লেখ করে এহসানুল মাহবুব আরও বলেন, ‘কেউ কেউ পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) বোঝেন না। সময় গেলে এটাও বুঝবেন। কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) পদ্ধতির মতো পিআর পদ্ধতিও এ দেশে কার্যকর এবং গ্রহণযোগ্য হবে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানসহ জামায়াত ঘোষিত ৫ দফা দাবি মেনে নিন। অন্যথায় আবার গণ–আন্দোলনের সূচনা হবে।’
আরও পড়ুন‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নেই, উপদেষ্টা অনেকের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ: গোলাম পরওয়ার২ ঘণ্টা আগেএহসান মাহবুব বলেন, পিআর পদ্ধতি নিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। ভুল বোঝানো হচ্ছে। অথচ পিআর পদ্ধতি হলে বেশি ভোট কাস্ট হবে। মনোনয়ন–বাণিজ্য বন্ধ হবে। জনগণের ভোটের সঠিক মূল্যায়ন থাকবে। তাই আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে। স্বৈরশাসকের সঙ্গে থাকা জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। নির্বাচন সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের জন–আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না।
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে কোর্ট পয়েন্ট থেকে গণমিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টা মোড়ে গিয়ে সমাপ্ত হয়। মিছিলে সিলেট মহানগর ও বিভিন্ন থানা-ওয়ার্ড-ইউনিটের নেতা–কর্মীরা অংশ নেন।
মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। সহকারী সেক্রেটারি জাহেদুর রহমান চৌধুরী ও মাওলানা ইসলাম উদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য সিলেট জেলার আমির হাবিবুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন জেলার নায়েবে আমির আবদুল হান্নান, মহানগরের নায়েবে আমির নূরুল ইসলাম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান লোকমান আহমদ, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিলেট মহানগর সভাপতি জামিল আহমদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি শাহীন আহমদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি তারেক মনোয়ার প্রমুখ।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগর শাখার উদ্যোগে জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানসহ ৬ দফা দাবিতে গণমিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুরে সিলেট নগরের বন্দরবাজার থেকে গণমিছিল শুরু হয়ে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টা এলাকায় গিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সিলেট মহানগরী সভাপতি তাজুল ইসলাম হাসানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদু হান্নান। মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরে মাওলার সঞ্চালনায় গণমিছিল ও সমাবেশে বক্তব্য দেন মহানগরের সহসভাপতি শাহ আশিকুর রহমান, সিলেট জেলার সহসভাপতি মুখলিসুর রহমান, মহানগরের সহসভাপতি শামসুদ্দিন মুহাম্মদ ইলয়াস, আবদুল হান্নান তাপাদার, মুহাম্মদ ফয়জুল হক, ইমদাদুল হক নোমানী, জেলার শাখার সাধারণ সম্পাদক দিলওয়ার হোসাইন প্রমুখ।