উষ্ণতার কারণে বিশ্বের অধিকাংশ প্রবালপ্রাচীর ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা
Published: 13th, October 2025 GMT
বিশ্বের উষ্ণমণ্ডলীয় প্রবালপ্রাচীরগুলো এমন এক সীমা অতিক্রম করেছে, যেখান থেকে আর ফেরার পথ নেই। কারণ, সমুদ্রের তাপমাত্রা এখন এমন মাত্রায় পৌঁছেছে, যেখানে অধিকাংশ প্রবালের টিকে থাকা অসম্ভব। আজ সোমবার প্রকাশিত এক বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদনে এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানীরা বলেছেন, পৃথিবী সম্ভবত একটি ‘বিপজ্জনক’ সীমারেখায় পৌঁছেছে। এতে বিশ্বের প্রকৃতিতে বড় ধরনের, এমনকি স্থায়ী পরিবর্তনও দেখা যেতে পারে।
প্রতিবেদনের মূল লেখক এবং এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু ও বিশ্বব্যবস্থাবিষয়ক বিজ্ঞানী টিম লেন্টন এএফপিকে বলেন, ‘দুঃখজনক বিষয় হলো, এখন আমরা অনেকটাই নিশ্চিত যে আমরা উষ্ণ পানির বা উষ্ণমণ্ডলীয় প্রবালপ্রাচীরের একটি ‘বিপজ্জনক সীমা’ অতিক্রম করেছি।’
বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের ১৬০ জন বিজ্ঞানী প্রতিবেদনটি তৈরি করছেন। বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে একমত যে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির হার শিল্পপূর্ব যুগের চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হলেই অধিকাংশ প্রবালপ্রাচীর ধ্বংস হয়ে যাবে। আর কয়েক বছরের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা সে সীমারেখাকে ছুঁয়ে ফেলতে পারে।
উষ্ণ সমুদ্রে চাপের কারণে প্রবালগুলো তাদের স্বাভাবিক রং ও খাদ্যের উৎস হারাচ্ছে। যদি সমুদ্র ঠান্ডা না হয়, তাহলে রং হারিয়ে ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া প্রবাল আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারে না। তা ছাড়া খাবার না পেয়ে এগুলো ধীরে ধীরে মরে যায়।
২০২৩ সালের পর থেকে সমুদ্রবিজ্ঞানীরা এমন মাত্রায় প্রবালের মৃত্যু দেখেছেন, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। প্রশান্ত, ভারত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরে প্রবালপ্রাচীরগুলো ভুতুড়ে সাদা রং ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন২০২৪ সাল ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর১০ জানুয়ারি ২০২৫বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রবালপ্রাচীর পুরোপুরি নষ্ট না হয়ে তা কম বৈচিত্র্যপূর্ণ বাস্তুব্যবস্থায় পরিণত হবে। অ্যালজি, স্পঞ্জের মতো যেসব প্রাণী উষ্ণ সমুদ্রে টিকে থাকতে সক্ষম, তাদের আধিপত্য দেখা যাবে। নতুন জলজ পরিবেশে এসব প্রজাতি আধিপত্য করবে। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মৃত প্রবালের কঙ্কালগুলো ভেঙে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে।
এ ধরনের পরিবর্তন প্রবালপ্রাচীরের ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষ এবং প্রায় ১০ লাখ প্রজাতির প্রাণীর জন্য বিপদের কারণ হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুনবিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবালের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা১৫ নভেম্বর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রব ল র
এছাড়াও পড়ুন:
টাঙ্গাইলে মহাসড়ক থেকে সরলেন আন্দোলনকারীরা, যান চলাচল স্বাভাবিক
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক থেকে সরে গেছেন আন্দোলনকারীরা। সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপর সাড়ে ১২টার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে যমুনা সেতুর পূর্ব গোল চত্বর এলাকা থেকে সরে যান তারা। ফলে মহাসড়কটিতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
এর আগে, আজ সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবনার প্রতিবাদে ছাত্র-জনতা যমুনা সেতুর পূর্ব গোলচত্বর এলাকায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এ কারণে মহাসড়কের উভয় পাশে অন্তত ৬ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহ বিভাগে নেওয়ার প্রস্তাবের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস চলাচল শুরু
আন্দোলনকারী রাকিব মিয়া জানান, কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহ বিভাগে যোগ করে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এরই প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।
সুমন চক্রবর্তী নামে অপর আন্দোলনকারী জানান, টাঙ্গাইল নিয়ে টানাহেঁচড়া চলবে না। টাঙ্গাইল ঢাকা বিভাগে না থাকলে টাঙ্গাইলকে বিভাগ ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করবেন তারা ।
আন্দোলনকারীরা জানান, ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহকে দেশের অষ্টম বিভাগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তখন টাঙ্গাইলকে এই বিভাগে যুক্ত করার কথা ছিল। জেলাবাসীর আন্দোলনের মুখে টাঙ্গাইলকে ঢাকা বিভাগেই রাখা হয়।
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান জানান, আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক দাবিগুলো লিখিতভাবে জমা দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। তাদের দাবিগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ