স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, “দেশে স্তন ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্যান্সার প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা থেকে শুরু করে জনসাধারণকে আরো বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে।”

সোমবার (১৩অক্টোবর) রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে ‘স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা.

মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের দেশের ৬৪ জেলায় ক্যান্সার সচেতনতার বিষয়টি পৌঁছে দিতে হলে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করতে হবে। বর্তমান সরকার প্রতিটি বিভাগীয় হাসপাতালে ক্যান্সার, কিডনি ও ডায়ালাইসিস চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।”

ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য অপরিহার্য লিনাক মেশিন সম্পর্কে উপদেষ্টা আরো বলেন, “এই মেশিন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বর্তমান সরকার ৩৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আরো ছয়টি লিনাক মেশিন ক্রয়ের ব্যবস্থা নিয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মেশিনগুলো দেশে আসবে বলে আশা করছি।”

স্তন ক্যান্সার চিকিৎসায় যুগোপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে নূরজাহান বেগম বলেন, “এ ক্ষেত্রে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।”

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, “স্তন ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে শতভাগ নিরাময় সম্ভব। এজন্য আমাদের লজ্জা বা ভয় না পেয়ে যথাসময়ে স্ক্রিনিং করতে হবে।”

তিনি বলেন, “বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে দেখা গেছে, ৩০ বছরের কম বয়সেও অনেকের স্তন ক্যান্সার হতে পারে। তাই বয়সের দিকে না তাকিয়ে কোনো ধরনের উপসর্গ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।”

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ঘোড়া

ছোট্ট পুমুকেলকে দেখে যে কেউ অবাক হবেন—এটি ঘোড়া, গাধা, কুকুর নাকি পুতুল, তা বুঝতে কারও কারও কয়েক সেকেন্ড সময়ও লেগে যেতে পারে।

পুমুকেলের বাস জার্মানিতে। এটি দেখে আপনার যা–ই মনে হোক, পুমুকেল কিন্তু একটি জীবন্ত ঘোড়া। বাদামি ও উজ্জ্বল সাদা রঙের ঘোড়াটির ঘাড়ে-মাথায় বেশ বড় বড় লোম। সেগুলো অনেকটা চুলের মতো ঝুলে থাকে। এ কারণে হঠাৎ দেখায় সেটিকে একটি পুতুল বলে মনে হতে পারে।

তবে এসবের কিছুই পুমুকেলের মূল বৈশিষ্ট্য নয়। প্রাণীটির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো সেটির উচ্চতা। পুমুকেলের উচ্চতা মাত্র ২১ দশমিক ১ ইঞ্চি। নিজের এ উচ্চতার কারণে প্রাণীটি এখন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের মালিক। পুমুকেল এখন সবচেয়ে কম উচ্চতার জীবন্ত ঘোড়া।

২০২০ সালে ক্যারোলা ভাইডেমান নামের এক নারী পুমুকেলকে পালন করতে নেন। সে সময় এটির বয়স ছিল মাত্র ৫ মাস, উচ্চতা মাত্র ১৮ ইঞ্চি।

পুমুকেলকে প্রথমবার দেখার দিনের কথা এখনো স্পষ্ট মনে আছে ক্যারোলার। তিনি একটি থেরাপি ঘোড়া খুঁজছিলেন। তখন এক বন্ধু তাঁকে পুমুকেলের কথা জানান এবং তিনি পুমুকেলকে দেখতে যান।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকে ক্যারোলা বলেন, ‘আমি গাড়ি চালিয়ে সেখানে গিয়ে ওকে দেখি এবং সত্যিই, পুরোপুরি ধাক্কা খাই। এর আগে আমি এত ছোট ঘোড়া কখনো দেখিনি।’

এর আগে যে ঘোড়া এই রেকর্ডের মালিক ছিল, সেটির চেয়ে পুমুকেলের উচ্চতা দেড় ইঞ্চি কম।

পুমুকেল একটি প্রশিক্ষিত ঘোড়া। প্রাণীটি থেরাপি দেওয়ার কাজ করে। এ জন্য সেটিকে নিয়মিত বিভিন্ন নার্সিং হোম, হাসপাতাল, স্কুল ও প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য নানা প্রতিষ্ঠানে নেওয়া হয়।

ক্যারোলা বলেন, ‘সে খুবই মিষ্টি স্বভাবের। সে শিশুদের সঙ্গে অবিশ্বাস্য রকম ভালো আচরণ করে, খোঁচাখুঁচি ও আলিঙ্গন পছন্দ করে। পুমুকেল মনোযোগের কেন্দ্রে থাকতে খুবই পছন্দ করে।’

পুমুকেল কোনো ছোট আকারের ঘোড়ার প্রজাতি নয়। ক্যারোল বলেন, পুমুকেল স্বাভাবিক আকারের ঘোড়ার প্রজাতি। প্রকৃতিই প্রাণীটিকে এই আকার দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ